শসার উপকারিতা, খিরাই এর উপকারিতা, রাতে শসা খাওয়ার উপকারিতা

শসার উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন

শসার উপকারিতা

শসার উপকারিতা

আজকে আলোচনা করব শসার উপকারিতা  সম্পর্কে । সাধারণত সহসা আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি রান্নার কাজে সালাতের কাজে। শসার উপকারিতা প্রচুর পরিমাণে। ডায়েট চার্ট করার জন্য শসা খেতে পারেন সালাদের জন্য শসা ব্যবহার করতে পারেন রান্নার কাজে শসা ব্যবহার করতে পারেন ত্বকের জন্যে শসা ব্যবহার করতে পারেন ইত্যাদি। শসার গুনাগুন প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।  শরীরের জন্য খুবই কার্যকরী। অতিরিক্ত ব্যক্তিদের জন্য শসা খাওয়া খুবই জরুরী। শসা খুবই কার্যকরী উপকারিতা অনেক বেশি।

শসায় ভিটামিন বি রয়েছে। ভিটামিন সি ভিটামিন প্রোটিন পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও ফ্লোরিন অপদার্থ ইত্যাদি তাই শসার উপকারিতা ।

শসায় ভিটামিন বি থিয়ামিন (বি১), রাইবোফ্লাবিন (বি২), নিয়াসিন (বি৪), প্যানটোথেনিক, বি৫, বি৬, ফোলেট (বি৯),

চলুন জেনে নেই শসার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।

শসার উপকারিতাঃ

শসাতে রয়েছে পটাশিয়াম , ম্যাগনেশিয়াম , ফাইবার , এবং পানির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। উচ্চ রক্তচাপের জন্য শসা খুবই কার্যকরী। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শসা খুবই কার্যকরী। অতিরিক্ত ওজন যাদের রয়েছে তারা শসা খাওয়ার অভ্যাস করুন। শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি।

শসায় রয়েছে স্টেরল নামের এক ধরনের উপাদান, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন, শসার খোসায়ও স্টেরল থাকে।

শসা খুবই উপকারী ওবিসিটি নিয়ন্ত্রণে রাখে

শসার উপকারিতা প্রচুর পরিমাণে। আপনার কিডনি ইউনিলিভার ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ।

পানিশূন্যতাঃ

আপনার শরীরে পানিশূন্যতা মেটানোর জন্য শসা খাওয়ার অভ্যাস করুন শসা খুবই উপকারী। শসা পানির ক্ষুধার্ত মিটাতে পারে।  এক পিস  পানির পরিমাণ 95 শতাংশ থাকে। পানি আমাদের জীবন পানির অপর নাম হচ্ছে জীবন আমরা সকলেই জানি। তবে এক পিস শসা খেলে পানির মত কাজ করবে। আপনার শরীরের দুর্বলতা কাটার জন্য শসা খাওয়ার অভ্যাস করুন।

ভিটামিনের চাহিদাঃ

আপনি যদি আপনার শরীরে ভিটামিনের চাহিদা মেটাতে চান সেক্ষেত্রে প্রতিদিন  শসা খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রশসা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর করতে সাহায্য করবে। তাই আপনি চাইলে পানির পরিবর্তে প্রচুর পরিমাণে শসা খেতে পারেন।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধঃ

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শসা খুবই কার্যকরী তাই যাদের ডায়াবেটিস রোগের সমস্যা রয়েছে তারা খাওয়ার অভ্যাস করুন প্রচুর পরিমাণে। যদি আপনার ডায়াবেটিস বা সুগারের সমস্যা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে শসা খাওয়ার অভ্যাস করুন।

কিডনির পাথরঃ

শসা কিডনির জন্য খুবই কার্যকরী। কিডনি ভালো রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে শসা খাওয়ার অভ্যাস করুন।

শশার জলীয় অংশ দেহের বর্জ্য ও দূষিত পদার্থ বের করতে দারুণ কাজ করে। নিয়মিত শশা খেলে কিডনিতে সৃষ্ট পাথর গলে যেতে সহায়তা হয়। ইউরিনারি, ব্লাডার, লিভার ও প্যানক্রিয়াসের সমস্যার সমাধানে বেশ সাহায্য করে শশা।

শসা স্মৃতি শক্তির উপকারীঃ

শশার রস নিয়মিত খাওয়ার ফলে মস্তিস্কে ও ধমনীতে জমে থাকা প্রচুর এলডিএল হ্রাস করে। ফলে স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পায়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য শসা ব্যবহার করতে পারেন।  শসা তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। শসা তে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, সিলিকা, পদার্থ, পটাশিয়াম, ইত্যাদি যা আপনার শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করেন। শসা হাট ফুসফুসের সমস্যা খুবই উপকারী। তাই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শসা খাওয়ার অভ্যাস করুন।

হজম শক্তিঃ

শসা হজম শক্তি খুব ভালো কাজ করে থাকেন। কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে হজমশক্তি ভালো হয়। কাঁচা শসা খেতে পারলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে সাহায্য করে। কাঁচা শসা খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অবশ্যই কাঁচা শসা খেতে হবে।

ওজন হাঁসঃ

শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি। তাই পানির পরিবর্তে আপনি শসা খেতে পারেন পানির মতোই কাজ করবে। শসা আপনার শরীরের দুর্বলতা দূর হতে সাহায্য করবে। শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করবে ইত্যাদি।

মাথা ব্যাথাঃ

শসাতে রয়েছে ভিটামিন যা আপনার শরীরের সুগার দূর করতে সাহায্য করবে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকের মাথা ব্যথা মাথা ঘুরে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি প্রচুর পরিমাণে শসা খাওয়ার অভ্যাস করুন। ঘুমানোর সময় যদি পরিমাণ মতো শসা খেতে পারেন ঘুম থেকে ওঠার পর দেখবেন আপনার শরীরের সমস্যাগুলো দূর হতে সাহায্য করবে।

গেঁটেবাতঃ

শসাতে প্রচুর পরিমাণে সিলিকা রয়েছে। শসার রসের সঙ্গে গাজরের রস মিশিয়ে খেতে হবে। এই উপকরণটি আপনার শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করবে। গেটে বাতের ব্যথা কমে যাবে।

চোখের যত্নঃ

শসা আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করি। এখন জানবো শসা চোখের যত্ন করে রাখে সেই বিষয়ে।  শসা গোল করে কেটে চোখের পাতার ওপর বসিয়ে রাখুন। চোখের পাতায় ময়লা দূর করে ফেলবে  শসা দিয়ে।

ক্যান্সারঃ

শসা খুবই উপকারী বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি করতে সাহায্য করে থাকেন। শেষ তিনটি  আয়ুর্বেদিক উপাদান রয়েছে। শসা আপনার জরায়ু, স্তন, যদি ক্যান্সার হয়ে থাকে সে ক্যান্সার মুক্তি করতে সাহায্য করবে শসা।

মুখের গন্ধঃ

শসা আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করি। এখন আলোচনা করব মুখের গন্ধ দূর করার জন্য শসা এর ব্যবহার। শসা গোল করে কেটে এক টুকরো শসা ওপরে তালুতে চাপ দিয়ে বিশ মিনিট রেখে দিন। শসা আপনার মুখের জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করবে। আপনার মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে। আপনার দাঁতের মাড়ির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।

নখ ও চুলঃ

শসাতে রয়েছে খনিজ ও সালফার আপনার চুল অন্যকে শক্তিশালী করে তুলবে। চুল ভালো রাখার জন্য শসা ব্যবহার করুন।

রূপচর্চাঃ

শসা খুবই খুবই উপকারী। বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন রোগের জন্য ব্যবহার করা হয়। স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ত্বক ভালো রাখার জন্য চুল ভালো রাখার জন্য শসা ব্যবহার করুন। আজকের এই আলোচনায় আমরা আলোচনা করেছি শসার উপকারিতা সম্পর্কে।

দেহকলায়ঃ

শসা ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী। সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব হলে ত্বকে শসা ব্যবহার করুন ভালো একটি ফল পাবেন। এতে উপস্থিত সিলিকা কার্টিলেজ, লিগামেন্টের কানেকটিভ টিস্যু গড়ে ওঠে এবং দেহকলাকে শক্তিশালী ও মজবুত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *