নবীন বরণ অনুষ্ঠানে নবীনদের পক্ষ থেকে বক্তব্য বা ভাষণ এবং নবীন বরণ উক্তি

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ,
তোমাদের স্কুলে কলেজে অথবা মাদ্রাসায় অনেক সময় তোমাদেরকে ভাষণ দিতে হয় । কিন্তু অনেক সময় তোমরা বুঝ উঠতে পারো না কিভাবে শুরু করব এবং কি বলবো।  কখনো মঞ্চে উঠে ভাষণ দেওয়ার অভিজ্ঞতা নেই এক্ষেত্রে আমার কি করার আছে।  আজকে আমি ভাষণ দেওয়ার জন্য একদম সহজ একটি পদ্ধতি বলে দেবো।  যে পদ্ধতিটি অনুসরণ করে যে কেউই খুব সহজেই ভাষণ দিতে পারে।
ভাষণ দেওয়ার খুব সাধারণ একটা নিয়ম হচ্ছে যে, প্রথমে যারা মঞ্চে উপস্থিত রয়েছে এছাড়াও অত্র প্রতিষ্ঠানে অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত রয়েছে তাদের সবাইকে সম্ভাষণ অথবা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করতে হবে । অবশ্যই সভাপতি সাহেব কে সবার আগে সম্ভাষণ জানাতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে একে একে সকলের প্রতি শুভেচ্ছা বিনিময় করে তারপর মূল আলোচনায় ঢুকতে হবে।
সবাইকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়ে গেলে যে বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করবে সেই বিষয়ে ধীরে ধীরে আলোচনা সামনে এগিয়ে নিতে থাকো। চেষ্টা করতে হবে যেন তথ্যবহুল একটি বক্তব্য প্রদান করা যায়।  এরপর মূল আলোচনা বিশেষ করে সকলের কাছ থেকে বিদায় নিতে হবে।  বক্তব্য শেষে সবার প্রতি একটি অঙ্গীকার নিতে হবে।  আজকের এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য কি এবং কেন আমরা এখানে সমবেত হয়েছি, ভবিষ্যতে আমরা এখান থেকে কি নিয়ে যাচ্ছি এধরনের কয়েকটা অঙ্গীকার নিয়ে বক্তব্য শেষ করা ভালো। কয়েকটা নিয়ম অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজে বক্তব্য দিতে পারবে।
নিচে একটি নমুনা বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে আশা করছি তোমাদের কাছে এটা ভালো লাগবে।
নমুনা ০১ঃ
আমি মো:,,,,,,,,, আজকের এই নবীন বরন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনুষ্ঠানের সভাপতি, প্রধান অথিতি,বিশেষ অথিতি সহ আমার প্রিয় নবীন ভাই ও বোনেরা সবাইকে আমার পক্ষ থেকে সালাম, প্রিতি ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি আজ অত্যন্ত আনন্দিত যে এই রকম নামকরা একটি প্রতিষ্ঠানের একজন ছাত্র/ছাত্রী হিসেবে আজ থেকে আমার নতুন শিক্ষা জীবন শুরু করছি। এই প্রতিষ্ঠান একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এখানে যারা শিক্ষা দেন তারা অত্যন্ত আন্তরিক ও সহযোগীতাপূর্ণ মনোভাব রাখেন এটা আমারা শুনে এসেছি। তো আজকের এই দিনে আমি আশা রাখবো যে আগামী দিনেও যেনো এই প্রতিষ্ঠান তার সুনাম আরো বৃদ্ধি করতে পারে, সেই সাথে আজ থেকে এই প্রতিষ্ঠানে আমাদের যে নতুন পথচলা শুরু হলো সেটা যেনো সফলতার সাথে আমরা সমাপ্ত করতে পারি .
জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্বের সফল সমাপ্তির পরে আমরা  আজ সম্পূর্ণ নতুন এবং মুক্ত জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করেছি । এখানে রয়েছে জ্ঞানচর্চার উন্মুক্ত অবকাশ এবং স্বাধীন চিন্তা বিকাশের অপূর্ব সুযোগ। নিরন্তর সাধনা ও পঠন-পাঠনের মাধ্যমে বিকশিত হোক আমাদের মেধা ও মননশীলতা— এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
আমরা জেনে খুুশি হয়েছি যে  আমাদের এ কলেজ থেকেই অতীতে পড়ালেখা করে জ্ঞানীগুণী পণ্ডিত হিসেবে দেশে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেছেন অনেকে। ডাক্তার, প্রকৌশলী, রাজনীতিক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থীই পরবর্তী জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন সমাজে। আমরাও তাদের মতোই দেশ ও জাতির মুখ উজ্জ্বল করব ।
আমাদের এ শিক্ষালয়ের দীর্ঘদিনের এক সুমহান ঐতিহ্য ও খ্যাতি রয়েছে দেশব্যাপী। এখানকার শিক্ষা-শৃঙ্খলা, ছাত্র-শিক্ষক সুসম্পর্ক, পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় ফলাফল সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে প্রতিবছরই। আজ আমরা যারা নতুন প্রাণশক্তি ও অমিত সম্ভাবনা নিয়ে এখানে এসেছি, আমাদের সাদরে বরণ করে নিয়ে আমাদেরকেও ঐতিহ্য রক্ষার সুমহান দায়িত্বে অংশীদার করার জন্য অনুরোধ করছি । আশা করি, এ প্রতিষ্ঠানের গৌরব বৃদ্ধিতে আমরাও অবদান রাখতে পারব।
এ প্রতিষ্ঠানে আমাদের শিক্ষাজীবন সফল-সার্থক ও গৌরবময় হোক এটার জন্য সকলে কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি । এখানকার শিক্ষা নিয়ে আমরা দেশ-জাতি ও বিশ্বমানবতার কল্যাণে নিয়োজিত হতে চাই।
 এই প্রত্যাশায় শেষ করছি। সবাইকে ধন্যবাদ, সবার জন্য শুভকামনা।
নমুনা ০২ঃ

“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” পরম করুনাময় মহান আল্লাহ তাআলার নামে শুরু করিতেছি-

মঞ্চে উপস্থিত সম্মানিত সভাপতি,

আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমন্ডলী, নবাগত শিক্ষার্থীবৃন্দ, আমার সহপাঠী ও সিনিয়র ছাত্রছাত্রী ভাই – বােনেরা, আস্সালামু আলাইকুম ।

আমি আমার বক্তব্যের শুরুতেই কলেজের / ইউনিভার্সিটির নবাগত ভাইবােনদের জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

আমরা তােমাদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে উষ্ণ আবেগে, ভালােবাসার আশ্বাসে একান্ত নিবিড় করে গ্রহণ করলাম।

তােমাদের আগমন শুভ হােক। এই শিক্ষায়তনের উন্মুক্ত অঙ্গনে তােমরা জীবন বিকাশে সক্ষম হও, সফল হও — এটাই আমাদের একান্ত কামনা।

প্রিয় ভাই ও বােনেরা ,

তােমরা স্কুল জীবন পেরিয়ে আজ কলেজ নামক বৃহত্তর শিক্ষায়তনে এসেছ।

স্কুলের সংকীর্ণ আবদ্ধ পরিসর, বাঁধাধরা নিয়মবিধির থেকে কলেজের পরিসর অতি উদার, এখানকার সামগ্রিক পরিবেশও অনেক বেশি উন্মুক্ত।

এই পরিবেশে মতামত প্রকাশ, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে রয়েছে অনেক বেশি স্বাধীনতা।

আশা করা যায় তােমরা এখানেে একজন পূর্ণ মানুষের স্বীকৃতিতেই আত্মনির্মাণ ও আত্মবিকাশে সক্ষম হতে পারবে।

প্রসঙ্গক্রমে তোমাদের একটি উপদেশ না দিয়ে পারছি না।

এ কথাটি আমাদের সবারই জানা যে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে তাকে রক্ষা করা অধিকতর কষ্টকর। তােমাদের ক্ষেত্রে এই কথাটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তোমরা এই স্বাধীনতার যে সুযােগ পাচ্ছো আশা করি তা সঠিকভাবে কাজে লাগাবে।

তােমরা তোমাদের বৃহত্তর জীবনের এই আহবানে নিজেদেরকে  আগামী জাতীর কাণ্ডারী – রূপে গড়ে তুলতে সচেষ্ট থাকবে, এটাই সবার প্রত্যাশা।

এই বলে আমি আমার নবীন বরণ অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য তোমাদের সকলের জন্য শুভকামনা আশা করে সংক্ষিপ্ত আকারে শেষ করছি।

নমুনা ০৩ঃ

কিভাবে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দিবেন 

“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” শুরু করিতেছি পরম করুনাময় মহান আল্লাহ তায়ালার নামে- 

স্নেহের ছােট ভাই – বােনেরা ,

তোমরা জানো, আমাদের এই অত্র কলেজের সুনাম রয়েছে সমগ্রহ বাংলাদেশে।

নকল ও সন্ত্রাসমুক্ত একটি আদর্শ কলেজ হিসেবে এর নাম আমরা সগৌরবে উচ্চারণ করি।

তাছাড়া একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেও এর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।

এই ঐতিহ্য ও সুনাম একদিনের নয়, শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমণ্ডলীর আন্তরিক প্রয়াস ও শিক্ষার্থীদের চেষ্টা ও সহযােগিতায় এ কলেজ সারা দেশে একটি উজ্জ্বল ভাবমূর্তি স্থাপন করেছে।

এই সুনাম ধরে রাখার এবং উত্তরােত্তর বৃদ্ধি করার দায়িত্ব তােমাদের।

লেখাপড়ায়, আচার – আচরণে, আদব – কায়দায় সবক্ষেত্রে তােমরা তােমাদের স্বাতন্ত্র্য হিসেবে প্রমাণ করবে।

আমরা তােমাদের পূর্বসূরি হিসেবে তোমাদের কাছে এই দাবি করা অসঙ্গত নয় বলেই মনে করি।

তোমাদের পথপরিক্রমায় নির্দেশনা প্রদান করার ক্ষেত্রে আমাদেরও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আমরা সর্বদা এ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব ইনশাআল্লাহ।

আমাদের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা গ্রহণে কখনো কোনাে দ্বিধা করবে না।

আমরা তােমাদের সাথে মিলে শ্রদ্ধা ও স্নেহ, ভালােবাসা ও শাসনের সম্মিলনে এ পবিত্র শিক্ষাঙ্গণকে আরও গৌরবদীপ্ত করে তোলার চেষ্টা  করব।

আমরা যেমন আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমণ্ডলীকে মান্য করি, তাদের অনুসরণ ও আদর্শরূপে গ্রহণ করি তােমরাও তেমনি সবক্ষেত্রে তাঁদের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

পরিশেষে তােমাদের সুস্থ দেহ-মন ও কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষাজীবন কামনা করি।

তােমাদের কলরবে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নবপ্রাণের জোয়ারে ভেসে যাক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

আবারও নবাগত ভাইবােনদের ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি n

নমুনা ০৪ঃ

কিভাবে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দিবেন – নবীন বরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য


মাননীয় অধ্যক্ষ মহােদয়, শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমণ্ডলী, বন্ধুপ্রতিম ও নবাগত শিক্ষার্থীবৃন্দ সবাইকে আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।

ঐতিহ্যবাহী এই কলেজে তোমরা যারা নবাগত শিক্ষার্থী হিসেবে পদার্পণ করেছ তাদের বরণ করে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই এ অনুষ্ঠানের আয়ােজন।

দ্বাদশ শ্রেণির একজন ছাত্র হিসেবে তাদের স্বাগত জানাতে কিছু বলার সুযােগ পেয়ে আমি বেশ আনন্দ অনুভব করছি ।

আমি আজ অত্যন্ত আনন্দিত যে এই রকম নামকরা একটি প্রতিষ্ঠানের একজন ছাত্র/ছাত্রী হিসেবে আজ থেকে তোমরা নতুন শিক্ষা জীবন শুরু করতে চলেছ।

সারা দেশে এই প্রতিষ্ঠান একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান।

এখানে যারা শিক্ষক হিসেবে আছেন তারা অত্যন্ত আন্তরিক ও সহযোগীতাপূর্ণ মনোভাব রাখেন।

নমুনা ০৫ঃ

কিভাবে বক্তব্য রাখতে হয় – নবীন বরণ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার স্ক্রিপ্ট


তো আজকের এই দিনে আমি প্রত্যাশা রাখবো যে আগামী দিনেও যেনো এই প্রতিষ্ঠান তার সুনাম আরো বৃদ্ধি করতে পারে, সেই সাথে আজ থেকে এই প্রতিষ্ঠানে তোমাদের যে নতুন পথচলা শুরু হলো সেটা যেনো সফলতার সাথে তোমরা সমাপ্ত করতে পারো। .

জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্বের সফল সমাপ্তির পরে তোমরা আজ সম্পূর্ণ নতুন এবং মুক্ত জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করেছো।

এখানে রয়েছে জ্ঞানচর্চার উন্মুক্ত পরিবেশ এবং স্বাধীন চিন্তা বিকাশের অপূর্ব সুযোগ।

নিরন্তর সাধনা ও পঠন-পাঠনের মাধ্যমে তোমাদের মেধা ও মননশীলতা বিকশিত হোক — এটিই আমাদের প্রত্যাশা।

তোমরা অনেকেই  জানো যে আমাদের এ কলেজ থেকেই অতীতে পড়ালেখা করে জ্ঞানীগুণী পণ্ডিত হিসেবে অনেকেই দেশে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেছেন।

ডাক্তার, প্রকৌশলী, রাজনীতিক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থীই পরবর্তী জীবনে সমাজে খুব ভালোভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।

তোমরাও তাদের মতোই দেশ ও জাতির মুখ উজ্জ্বল করবে এটাই আমরা আশা করি।

আমাদের এ শিক্ষালয়ের দীর্ঘদিনের এক সুমহান ঐতিহ্য ও খ্যাতি রয়েছে সারা দেশব্যাপী।

এখানকার ছাত্র-শৃঙ্খলা, ছাত্র-শিক্ষক সুসম্পর্ক, প্রতিবছর পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় ফলাফল সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

আজ তোমরা যারা নতুন প্রাণশক্তি ও অমিত সম্ভাবনা নিয়ে এখানে এসেছো, তোমাদেরকে এ ঐতিহ্য রক্ষার সুমহান দায়িত্বে অংশীদারিত্ব করার জন্য অনুরোধ করছি।

আশা করি, এ প্রতিষ্ঠানের গৌরব বৃদ্ধিতে তোমরা অবদান রাখতে পারব।

এ প্রতিষ্ঠানে তোমাদের শিক্ষাজীবন সফল-সার্থক ও গৌরবময় হোক এটার জন্য সকলে কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।

সবাইকে ধন্যবাদ, সবার জন্য শুভকামনা।

কলেজে / ইউনিভার্সিটিতে নবীন বরণ স্বাগত বক্তব্য

 

আইডিয়াল ল্যাবরেটরি স্কুল নবাগত ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা / নবীনবণ উপলক্ষে হৃদয় নিড়রানো সংবর্ধনা।
হে নবাগত সাথীরা,
তোমাদের শুভাগমনে আমাদের শুভ্রাস্নাত প্রীতি ও প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। শিক্ষাজীবনে এক ধাপ উত্তীর্ণ হয়ে জীবন কুসুমকে প্রস্ফুটিত করার দুর্বার বাসনায় তোমরা এসেছ স্বপ্নীল যাত্রাপথের অন্যতম কেন্দ্র অত্র বিদ্যালয়ের শান্ত-শ্যামল চত্বরে। জয় হোক তোমাদের এ শুভাগমনে-সার্থক হোক এ পবিত্র অঙ্গন তোমাদের সুললিত পদচারণায়। তোমাদের এ শুভাগমন আমাদের ত্বরান্বিত করবে, এটাই স্বাভাবিক। তোমরা আমাদের যোগ্যতম উত্তরসূরি হবে, যথার্থ অধ্যবসায়ের মাধ্যমে এ বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করবে জাতীয় আঙ্গনে।
হে স্বজনরা,
হৃদয়ের সমস্ত অর্ঘ্য দিয়ে তোমাদের বরণ করতে ইচ্ছে হয়, কিন্তু সাধ্য আমাদের সীমিত। তাই কবিতার নান্দনিক উচ্চারণে হৃদয়াকুতি প্রকাশ করতে চাই এভাবে-
‘নেই আয়োজন নেই আভরণ
কি দিয়ে তোমাদের করিব বরণ,
পেতেছি তাই তো হৃদয়ে আসন
তোমাদের বরিব বলে।’
সূর্য সারথি বন্ধুগণ,
তোমরা নবীন। তোমাদের আগমনকে আমরা জানাই স্বাগত সম্ভাষণ। আমাদের অনাড়ম্বর সার্মথ্যের মধ্যেও বিরাজিত হৃদয়ের সকল উৎসবধারা, তোমাদের সাহচর্যে ধন্য আমরা। লও আমাদের হৃদয়ের মুক্ত প্রাঙ্গন হতে উৎসারিত নিখাত ভালোবাসা। সকল বাধার প্রাচীর ডিঙিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষে পৌঁছাবে তোমরা এ কামনা আমাদের।
হে মৃত্যুঞ্জয়ী সৈনিকরা,
জ্ঞান সাম্রাজ্যের দুর্বার গতিবেগ প্রবাহিত করার ও উজ্জীবিত ভাব ধারায় জীবনকে সুন্দর সুশোভিত করে তোলার গুরুদায়িত্ব তোমাদের রয়েছে। আজ আমরা বিদায়ের বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে। তোমাদের জীবনের দৃশ্যপটও নবতর প্রাঙ্গণে উপনীত। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্যের ভাষায়-
‘তোমরা এসেছ ভেঙেছো অন্ধকার 
তোমরা এসেছ ভয় করি নাকো আর
পায়ের স্পর্শে মেঘ কেটে যাবে উজ্জ্বল রোদ্দুর
ছড়িয়ে পড়বে দূর বহুদূর।’
তোমাদের অনাগত দিনগুলো সুন্দর, মধুময় ও প্রাণ প্রাচুর্যে সমৃদ্ধ হয় উঠুক, এ প্রার্থনা করছি। তোমরা সুখী হও, তোমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক।
তোমাদেরই পূর্বসূরি –
আইডিয়াল ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

একই স্বাগত বক্তব্য আবার সংগ্রহ করে দেওয়া হলো

তোমার কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের বরণ করার জন্য স্বাগত বক্তব্য লিখো।


 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 
নব আনন্দে জাগো 
আজ এ নব রবির কিরণে।
শুভ্র সুন্দরো
প্রীতি উজ্জ্বলো
নির্মলো জীবনে।
কলেজ কর্তৃক আয়োজিত আজকের এই নবীনবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত মাননীয় সভাপতি, প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, শিক্ষকমন্ডলী, অভিভাবকমন্ডলী এবং সামনে উপবিষ্ট আমাদের নবীন শিক্ষার্থী বন্ধুরা, সকলের প্রতি রইল আমার আন্তরিক সালাম, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। 
এসেছে শত পুষ্পের দল
করছি তাদের বরন।
হাতে হাতে শোভা পাবে
তাদের দেওয়া মন।
বিশাল এই পৃথিবীতে
সৃষ্টি হয়েছে সব,
সেই সৃষ্টির বরনে হচ্ছে কলরব।
আমাদের এ ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ নতুন প্রাণের স্পর্শে স্পন্দিত ও আনন্দিত। 
নবাগত শিক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা, 
স্কুলের ১০ বছরের জীবন পেরিয়ে তোমরা এসেছ আমাদের কলেজের আঙিনায়, ছোট্ট গণ্ডি পেরিয়ে মুক্ত জ্ঞানের আলোয়, উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের প্রাথমিক ক্ষেত্রে। তোমাদের এ আগমন শুভ হোক এ কামনা করি। তোমাদের সবার প্রতি রইল আমার আন্তরিক উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
নবাগত ভাই ও বোনেরা, 
তোমরা জেনে খুশি হবে যে এই অঞ্চলের মধ্যে আমাদের এ প্রতিষ্ঠানটি নানা দিক থেকে গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের অধিকারী। এক মহান ব্রত ধারণ করে আছে এ পবিত্র বিদ্যাঙ্গণ। কাঙ্খিত আলোকিত জীবনের জন্য তোমাদের অভিযাত্রা শুভ হোক সুন্দর হোক। 
নবাগত বন্ধুরা,
জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্বের সফল সমাপ্তির পর তোমরা আজ সম্পূর্ণ নতুন এবং মুক্ত জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করেছ।এখানে রয়েছে জ্ঞানচর্চার উন্মুক্ত অবকাশ এবং স্বাধীন চিন্তা বিকাশের অপূর্ব সুযোগ।
নিরন্তর সাধনা ও পঠন-পাঠনের মাধ্যমে বিকশিত হোক তোমাদের মেধা ও মননশীলতা— এটিই আমাদের প্রত্যাশা। 
বন্ধুরা, 
তোমরা জেনে খুশি হবে যে আমাদের এ কলেজ থেকেই  অতীতে পড়ালেখা করে জ্ঞানীগুণী পণ্ডিত হিসেবে দেশে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেছেন অনেকে। ডাক্তার, প্রকৌশলী, রাজনীতিক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থীই পরবর্তী জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন সমাজে। তোমরাও তাদের মতোই দেশ ও জাতির মুখ উজ্জ্বল করবে। 
নবীন বন্ধুরা, 
আমাদের এ বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের এক সুমহান ঐতিহ্য ও খ্যাতি রয়েছে দেশব্যাপী। এখানকার শিক্ষা-শৃঙ্খলা, ছাত্র-শিক্ষক সুসম্পর্ক, পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় ফলাফল সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে প্রতিবছরই। আজ তোমরা যারা নতুন প্রাণশক্তি ও অমিত সম্ভাবনা নিয়ে এখানে এসেছ, তোমাদের সাদরে বরণ করে নিয়ে তোমাদেরকেও ঐতিহ্য রক্ষার সুমহান দায়িত্বে অংশীদার করছি। 
আশা করি, এ প্রতিষ্ঠানের গৌরব বৃদ্ধিতে তোমরাও প্রাণপণ চেষ্টা করবে। 
প্রতিদিনেই নবীন বাড়বে,
প্রবীন হবে সবাই।
আদর্শকে পুজি করে
থাকব মোরা ভাই-ভাই।
রোগে শোকে কাতর হলে,
সবাই আসবে দলে-দলে
করবে সবই জয়।
আমরা তোমাদের পাশে থাকব,
নেইকো যে আর ভয়। 
বন্ধুরা, 
এ প্রতিষ্ঠানে তোমাদের শিক্ষাজীবন সফল-সার্থক ও গৌরবময় হোক। এখানকার শিক্ষা নিয়ে তোমরা দেশ-জাতি ও বিশ্বমানবতার কল্যাণে নিয়োজিত হও। যৌবনের আলোয় আলোকিত হোক তোমাদের ভুবন এই প্রত্যাশায় আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি। 
সবাইকে ধন্যবাদ, সবার জন্য শুভকামনা।
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।
 
 

নবীন বরণ উক্তিঃ

এই নবীন বরণ উপলক্ষ্যে কবি প্রদীপ কুমার রায় বলেছেন —

এসো নবীন

করি বরণ,

তোমাদের আগমনে

ধন্য হোক এ ভুবন।

পৃথিবীর বিখ্যাত লোকদের কিছু বিখ্যাত উক্তি আছে যা আমাদের জীবনে প্রয়োগ করলে আমাদের জীবন অনেক সুন্দর হয়ে উঠতে পারে।

পৃথিবীতে মাত্র দুটি উপায়ে সফল হওয়া যায়।

 

একটি হচ্ছে সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা, ঠিক যা তুমি করতে চাও। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, সেই লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করে যাওয়া।

ডেল কার্নেগির একটি বিখ্যাত উক্তি হচ্ছে অনুকরণ নয়, অনুসরণ নয়, নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে জানুন, নিজের পথে চলুন, নিজের পথ নিজে তৈরি করুন॥

হ্যাঁ এবং না এই শব্দ দুটো সবচেয়ে পুরনো এবং সবচেয়ে ছোট। কিন্তু এ কথা দুটো বলতেই সবচেয়ে বেশিবার ভাবতে হয়॥ ” —পীথাগোরাস

অ্যারিস্টটল বলেন, দুর্ভাগ্যবান হচ্ছে তারাই যাদের কোনো প্রকৃত বন্ধু নেই। তুমি যদি কাউকে জানতে চাও, তা হলে তাকে প্রথমে ভালবাসতে শেখো॥

জর্জ লিললো বলেন —  একজন আহত ব্যক্তি তার যন্ত্রনা যত সহজে ভুলে যায়, একজন অপমানিত ব্যক্তি তত সহজে তার অপমান ভোলে না॥

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ বলেন — আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেইস্বপ্নে আস্থা ছিল। আর আমি আমার কাজটা ভালোবাসতাম।

ফেসবুক বিফল হলেও আমার ভালোবাসাটা থেকে যেত। সবার জীবনে একটি স্বপ্ন থাকে এবং সেই স্বপ্নকে ভালোবাসতে হয়।

পৃথিবীতে মূলত সবাই জিনিয়াস, কিন্তু আপনি যদি ১ টি মাছকে তার গাছ বেয়ে উঠার সামর্থ্যের উপর বিচার করেন তাহলে সে সারা জীবন নিজেকে শুধু অপদার্থই মনে করবে॥ ” — আইনস্টাইন

বিখ্যাত বাস্কেটবল প্লেয়ার মাইকেল জর্ডান বলেন – আমি ব্যর্থতা কে মেনে নিতে পারি কিন্তু আমি কখনো চেষ্টা না করাকে মেনে নিতে পারিনা॥

আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন বলেন — প্রত্যেককে বিশ্বাস করা বিপদজনক; কিন্তু কাউকে বিশ্বাস না করা আরো বেশী বিপদজনক॥

বাঙালি লেখক প্রমথ চৌধুরী বলেন — আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ করছে শিক্ষার হার তত বিস্তার হচ্ছে।

প্রকৃতপক্ষে পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় কিন্তু এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুন্ঠিত হই॥

এডলফ হিটলারের একটি বিখ্যাত উক্তি — আমি আপনাদেরকে  কখনও ভালবাসতে না বলে যুদ্ধ করতে বলি।

কারণ যুদ্ধে মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় আপনি বাঁচবেন না হয় মরবেন। কিন্তু ভালবাসলে না পারবেন বাঁচতে, না পারবেন মরতে॥

হুমায়ুন আজাদ বলেন, বাঙালি কখনো সমালোচনা সহ্য করে না; কিন্তু তারা নিজেকে কখনো সংশোধনও করেনা।

নিজের দোষত্রুটি সংশোধন না করে সেগুলোকে বাড়ানোকেই বাঙালি সমালোচনার যথাযথ উত্তর মনে করে।

টমাস আলভা এডিসন বলেন, কাল আমার পরীক্ষা। কিন্তু এটা আমার কাছে বড় বিশেষ কোন ব্যাপারই না, কারণ শুধুমাত্র পরীক্ষার খাতার কয়েকটা পৃষ্ঠাই আমার ভবিষ্যৎ নির্ধারন করতে পারেনা।

সবাই অনেকদিন বাঁচতে চায়, কিন্তু কেউই কখনো বুড়ো হতে চায় না —জোনাথন সুইফট। জ্ঞানের ন্যায় পবিত্র বস্তু এই জগতে আর কিছুই নেই।

যার যৌবন সৎ, সুন্দর ও কর্মময় তার বৃদ্ধ বয়সকে স্বর্ণযুগ বলা হয়।

স্টুডেন্টদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উক্তি হলো ছেলেদের মদ্ধে বন্ধুত্ব নষ্টের অন্যতম দুইটি কারণ- টাকা এবং মেয়ে।

সব সময় এই দুইটি জিনিস বন্ধুত্ব থেকে দূরে রাখতে হবে।

বিল গেটসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উক্তি হলো, একবার আমি পরীক্ষায় কয়েকটা বিষয়ে ফেল করেছিলাম কিন্তু আমার এক বন্ধু সব বিষয়েই পাশ করে।

এখন সে আমার কোম্পানির একজন ইঞ্জিনিয়ার আর আমি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা।

নবীন বরণ উক্তি হিসেবে এমন কিছু বলা দরকার  যা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে।

বিল গেটসের আরও একটি বিখ্যাত উক্তি হলো, যদি আপনি গরীব হয়ে জন্ম নেন তাহলে এটা আপনার দোষ নয়, কিন্তু আপনি যদি গরীব থেকেই মারা যান তবে সেটা কেবলমাত্র আপনারই দোষ।

মার্ক টোয়েন বলেন, সবার সাথে যে তাল মিলিয়ে কথা বলে সে মূলত  ব্যক্তিত্বহীন। ভাগ্য বলে কোনো কিছুই নেই, প্রত্যেকের চেষ্টা ও তার যত্নের উপর তার ভবিষ্যৎ গড়ে উঠে।

বিজ্ঞানী জন. এ. শেড বলেন, আগুন দিয়ে যেমন লোহা চেনা যায় তেমনি মেধা দিয়ে মানুষ চেনা যায়।

নবীন বরণ উক্তিতে যে কথাটি বললে অনেক ভালো হয়

বাল্ব আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসন বলেন, আমি কখনো বলবনা আমি ১০০০ বার হেরেছি, আমি বলবো যে আমি হারার ১০০০ টি কারণ বের করতে সক্ষম হয়েছি।

বিজ্ঞানী থেলিস বলেন, জীবনের সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে নিজেকে চেনা এবং সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে অন্যদেরকে উপদেশ দেয়া।

Albert Schweitzer বলেছেন, সফলতা কখনো সুখের চাবিকাঠি হতে পারে না বরং সুখ হল সফলতার চাবিকাঠি। আপনার কাজকে যদি আপনি মন থেকে  ভালবাসতে পারেন অর্থাৎ যদি আপনি সবসময় নিজের কাজ নিয়ে সুখী হন তবে আপনি একদিন অবশ্যই সফল হবেন।

“এসো আলোর মিছিলে” হে নবীন, হে তরুনের দল, ফুটন্ত টগ-বগে শিরা তোমেদের। এইতো এখনি সময় কিছু করার, ভাল কিছু জাতিকে উপহার দেবার। তবে নিজেকে কেন গুহাবাসির মত, লুকিয়ে রেখেছ অন্ধকারে? তাহলে কেন অন্ধকার জগতে নির্বাসিত হয়ে, মনকে  করে ফেলেছ কলুসিত।

এসো হে নবীন,

বাজিয়ে সুর লহরী উল্লাসিত নব বীণ,

আজ সুর মিলিয়ে গাইব জয়যাত্রার গান,

আনন্দে আহ্বলাদিত নবীন প্রাণ।-

—- রুনা লায়লা

আরও একটি নবীন বরণ উক্তির ছন্দ হলো —

এসো হে নবীন,

এগিয়ে চল অবিরাম,

অন্তহীন ভোরের সূর্যের প্রথম আলো,

 স্বপ্নডানা মেলে জয়ের অগ্নি হৃদয়ে ঢালো।

 রুনা লায়লা

শেষ কথা:

আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “নবীন বরণ অনুষ্ঠানে নবীনদের পক্ষ থেকে বক্তব্য বা ভাষণ এবং নবীন বরণ উক্তি” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।

Similar Posts