Health

গরুর কোন রোগের কি ঔষধ

1 min read

গরুর কোন রোগের কি ঔষধ

গরুর কোন সমস্যা ও সমাধান গুলো কি? গরুর কোন রোগের কি ঔষধ?  গরুর রোগের লক্ষণ কি কি?  কিভাবে প্রকাশ পায়? গরুর রোগের নাম কিকি?  গরুর রোগের লক্ষণ কি?  গরুর রোগ ও তার প্রতিকার জেনে নেইî।  গরুর রোগ ও প্রতিকার কিভাবে করা যায় । গরুর কি কি রোগ হয়?  গরুর বিভিন্ন রোগের নাম।

গরুর কোন রোগের কি ঔষধ। প্রিয় পাঠকবৃন্দ আবারো একটি গরুর রোগ প্রশ্নোত্তর পর্বে আপনাদের স্বাগতম। ইতিমধ্যেই আপনারা অনেকেই গরুর রোগ বিষয়ক প্রায় অনেক ধরনের প্রশ্ন করছেন। তাই আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো উক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর। গরুর কোন রোগের কি ঔষধ।

এই পোস্টে আপনাকে আপনার-আমার খামারের পশু বিভিন্ন রোগ বিষয়ের বিস্তারের কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার জানতে পারবেন।  যদি আপনি খামারি হন আপনাকে এটি অনেক নতুন নতুন তথ্য দিবে যাতে আপনার খামারকে বিভিন্ন রোগ বালাই ও ক্ষতি থেকে বাচিয়ে আনতে পারে

গরুর কোন রোগের কি ঔষধ এবং ছাগল খামার দেওয়ার আগে এবং যেকোন গবাদিপশু লালন-পালনের সাথে সর্ম্পকৃত সকল ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বলা আজকের আমার এই পোস্ট গরুর কোন রোগের কি ঔষধ?

তাই আজকের এই আলোচনাটি শেষ অবধি মনোযোগ সহকারে অবশ্যই পড়বেন যদিও পনের বিশ মিনিট সময় ব্যয় হয় এই 15 20 মিনিট আপনার অনেক উপকারে আসতে পারে এবং আপনাকে একজন দক্ষ খামারি হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে ইনশাল্লাহ।

গরুর কোন রোগের কি ঔষধ

আপনি যদি খামারি হন নতুন খামারে বা খামার করার ইচ্ছুক হন এমন ব্যক্তি হয়ে থাকেন তবে এই আলোচনাটি অবশ্যই আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

গরুর ক্ষুরা রোগ

এ রোগ সাধারণত ভাইরাসজনিত একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। গ্রামেগঞ্জে কোথাও কোথাও এ রোগকে ক্ষুরাচল,চপ চপ পিয়া, বা বাতনা রোগ বলা হয়ে থাকে। সাধারণত গরু-মহিষ, ছাগল ভেড়া ইত্যাদি দ্বিক্ষুর বিশিষ্ট প্রাণী এ রোগে আক্রান্ত হয়।

 রোগ বিস্তার

  • রোগাক্রান্ত প্রাণী থেকে বাতাসের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
  • ক্ষুরা রোগ জীবাণু দূষিত খাদ্য ও পানির মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

কিছু রোগের লক্ষণ তুলে ধরা হলো। গরুর কোন রোগের কি ঔষধ

  • মুখে ঘা হয় মুখ দিয়ে লালা ঝরে এবং এ অবস্থায় প্রাণী খেতে পারেনা।
  • এরোগে বাসরের মৃত্যুর হার বেশি।
  • শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
  • মুখে জিহ্বায় ও ক্ষুরায় ফুসকা পরে। ফুচকা পেটে ঘা হয়।
  • পায়ের ক্ষুরায় ঘা  হওয়ায় তীব্র ব্যথা হয় ও হাঁটতে, কাজ করতে পারেনা এবং খুব অল্প সময়ে দুর্বল হয়ে পড়ে, দুগ্ধবতী গাভীর দুধ কমে যায়

 রোগের প্রতিকার 

  •  ক্ষত স্থানের চিকিৎসা।
  • অসুস্থ প্রাণীকে শ্রেষ্ঠ প্রাণী থেকে আলাদা রাখা।
  •  প্রাণীকে নরম খাদ্য সরবরাহ করা।
  • রোগ রোগ হওয়ার  আগেই সুস্থ সকল প্রাণীদের ক্ষুরা রোগের টিকা দেওয়া।
  •  প্রতিদিন গোয়ালঘর জীবাণুনাশক যেমন ডেটল বা ফিনাইল দাঁড়া ভালো করে ধুয়ে দেওয়া।

গরুর কিটোসিস রোগ- রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি। গরুর কিটোসিস রোগ ((ketosis in cattle)) দুগ্ধবতী গাভীর কার্বোহাইড্রেট ও ভোলাটাইল ফ্যাটি এসিডের ত্রুটিপূর্ণ মেটাবলিজমের কারণে সৃষ্ট একটি বিপাকীয় রোগ। আক্রান্ত প্রাণির কিটোনেমিয়া, কিটোনইউরিয়া, হাইপোগ্লাইসেমিয় ও যকৃতের গ্লাইকোজেনের স্বল্পতা এ রোগের বায়োকেমিক্যাল বৈশিষ্ট্য। কেটোসিস দুগ্ধজাত গবাদি পশুর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিপাকীয় রোগ যা রক্তে কেটোন দেহগুলি।

গাভীর মিল্ক ফিভার বা দুগ্ধ জ্বর রোগঃ কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি। গাভীর মিল্ক ফিভার (milk fever) ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত একটি নিরব ঘাতক রোগ। সাধারণত বেশী দুগ্ধ উৎপাদনশীল গাভী এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। গাভীর বাচ্চা প্রসবের ৭২ ঘন্টা আগে বা পরে এ রোগ হয়। বিপাকীয় রোগ গুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে মারাত্বক।

গবাদি পশুর ম্যাস্টাইটিস বা ওলান পাকা রোগ দুগ্ধবতী গাভী ও ছাগীর একটি মারাত্বক রোগ। গাভী গরুর ম্যাস্টাইটিস বা ওলান পাকা রোগের ফলে খামারে দুধ উৎপাদনের পরিমান ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওলানে প্রদাহ জনিত কারনে গাভীর ধরাবাহিক দুধ উৎপাদন কমে আসে এবং শারীরিক অবস্থার ব্যাপক অবনতি হতে দেখা যায়।

তড়কা রোগ কি?

এরূপ ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি অতিথি ও মারাত্মক সংক্রামক রোগ। প্রাণীর দেহে সাধারণত খাবারের সাথে এরূপ প্রবেশ করে। মাটিতে এ রোগের জীবাণু বহু বছর বেঁচে থাকে।

 রোগের বিস্তার

  • তড়কা রোগের জীবাণু দ্বারা দূষিত  খাল-বিল পুকুর, পান করল এ সকল রোগ হতে পারে।
  • সাধারণত বর্ষাকালের প্রথম শুরুতেই এ সকল রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে।
  • তড়কা রোগের আক্রান্ত প্রাণীর মৃতদেহ যে মাঠে রাখা হয় সে মাঠে তার চতুর্দিকের ঘাস খেলে রোগ হতে পারে।
  •  স্যাঁতস্যাঁতে জমির ঘাস খাওয়ালেও এ রোগ হতে পারে কেননা সেখানে রোগের জীবাণু সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  •  মৃত পশুর চামড়া থেকেও এ রোগ ছড়াতে পারে।
  •  বৃষ্টি ও বন্যার পানির সাহায্যে এ রোগ ছড়ায় তাই ভিজে যাওয়া খড় খাওয়ালেএ রোগ হয়।
  • তড়কায় আক্রান্ত মৃত প্রাণী কুকুর ও শিয়াল খেয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে এ রোগ ছড়াতে পারে।

রোগের লক্ষণ 

  • এ রোগ তীব্র প্রকৃতির হলে প্রাণী দ্রুত নিঃশ্বাস নেয় ও কৃষক খামারি কিছু বোঝার আগেই অসুস্থ প্রাণীর দেহ মাটিতে ঢলে পড়ে এবং খিঁচুনি দিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে মারা যায়,
  • প্রাণীর চোখে পর্দা লাল হতে পারে এবং দ্রুত নিঃশ্বাস নিতে পারে মিনিটে ৮০ থেকে ৯০ বার।
  • তীব্র প্রকৃতির হলে প্রাণীর দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায় জ্বর হতে পারে ১০৪ থেকে ১৬০ সেন্টিগ্রেড, এসময়ে প্রাণীর শরীরে লোম খাড়া হয়ে যেতে পারে এবং বিভিন্ন মাংসপেশির কম্পন শুরু হতে পারে
  • এক পর্যায়ে অল্প সময়ে প্রাণীটি মাটিতে পড়ে যাবে এবং দ্রুত চিকিৎসা না করলে মারা যাবে।

জন্মের পর বাছুর উঠে দাঁড়াতে পারে না এবং কোন কোন বয়সে কি কি জীবাণু দিয়ে ডায়রিয়া রোগ ভালো করা যায়। আমাদের দেশে অনেক খামারির অভিজ্ঞতা ও অসুস্থ খামার ব্যবস্থাপনা না থাকার কারণে সংকর জাতের বাছুর জন্মের পর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় অনেক গাভী গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্য খুব ভালো এবং ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর স্বাস্থ্য ও ভালো।

গরুর মারাত্মকভাবে ব্লাড ফাঁপা পরিলক্ষিত হলে চিকিৎসা

খুব বেশি ও দ্রুত বাড়তে থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্যাস বের করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এটি প্রকার এন্ড কাম পার্শ্ব ত্রিভুজ আকৃতির অংশে ব্যবহার করা হয় যে পাশে ফলাংস বেশি বোঝা যায়।

গাভী পর্যবেক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস।

একজন ভাই হিসাবে একটা গাভীর চিকিৎসা দিতে হলে গাড়িটিকে অবশ্যই ভালোভাবে পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন তাই বলি।

বাচ্চার জন্ম দেওয়ার ৩থেকে৪ চারদিন পর থেকে জরায়ুতে রক্তক্ষরণ হতে থাকে এটি একটি এমো কমন এবং গুরুতর সমস্যা। কোন কোন সাঈদীর ক্ষেত্রে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার তিন-চারদিন পর থেকে জরায়ুতে রক্তক্ষরণ হতে থাকে এটি একটি গতর এবং কমন সমস্যা অনেকেই মনে করে বাচ্চা হইলেই রক্ত পড়ে এটা স্বাভাবিক তাই কোন চিকিৎসা করেন না বাচ্চা জন্ম দেওয়ার তিন থেকে চার দিন পর সাগির জোরে দিয়ে মাঝেমধ্যে টাটকা লাল রক্তপাত হতে পারে।

গাভীর  বদলা রোগ

বদলাও গরুর ব্যাকটেরিয়া জানি তো সংক্রামক রোগ, ক্লস্ট্রিডিয়াম শোভিয়াইনামক ব্যাকটেরিয়া জীবাণু এ রোগের প্রধান কারণ-

রোগের লক্ষণ

  • তুলে ধরা হলো তীব্র রোগে প্রথমে জ্বর হয়।
  • শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে পিছনের অংশে মাংস বেশি ফুলে যায়।
  • খোলা জায়গায় চাপ দিলে পচ পচ শব্দ হয়।
  • আক্রান্ত অংশ কালচে হয়ে যায় ও পচন ধরে।
  • রোগাক্রান্ত প্রাণী দুর্বল হয়ে মারা যায়।
Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x