বিসমিল্লাহি কখন বলতে হয় তার ১১টি নিয়ম জেনে নিন
আমরা খুব সহজেই জেনে নেব কখন বিসমিল্লাহ বলতে হয়। কি কি কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে হয় জেনে নিন । বিসমিল্লাহি অর্থ কি? বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিম বাক্য কী হতে পারে তা জেনে নিন।
লিল্লাহি ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর মধ্যে সূক্ষ্ম একটি পার্থক্য রয়েছে । আমরা এখন জেনে নেবো এই পোস্টের মাধ্যমে । পোষ্টের মাধ্যমে আরও থাকবে বিসমিল্লাহি এর তাফসীর, তাহলে চলুন জেনে নেই কখন বিসমিল্লাহি বলতে হয় এবং কোন কোন কাজে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলতে হয়।
- 1.বিসমিল্লাহি কখন বলতে হয়?
- 2. বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর অর্থ কি?
- 3. বিসমিল্লাহির এর ইতিহাস
- 4. কি কি কাজে বিসমিল্লাহি বলতে হয় তার একটি উদ্দেশ্য
- 5. বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর ফজিলত জেনে নিন
- 6. বিসমিল্লাহ এর বিকল্প ব্যবহার করা কি উচিত
বিসমিল্লাহি এর অর্থ কি / বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর অর্থ জেনে নিন
বিসমিল্লাহি অর্থ কি? বিসমিল্লাহি কি এবং বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর অর্থ , আজকের এ আলোচনা হচ্ছে আমরা অনেকেই হয়তো বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম ও বিসমিল্লাহ এর অর্থ জানিনা । তাই আজকে তাদের অনুসরণ করে এই আলোচনাটি আপনাদের মাঝে পেশ করতে চাই ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর অর্থ হলো পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। যখন কোনো ভালো কাজ করা, অথবা শুভ কাজ করা এবং কাজের শুরুতে অথবা যে কোনো ভালো কাজ শুরু করার আগে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলতে হয়। আপনি যে কোন কাজ শুরু করার আগে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলে নিবেন , এর ফলে আপনার যেকোন কাজ একদম পানির মত সহজ হয়ে যাবে। বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলে যে কোন কাজ শুরু করলে এর ফলে আপনার যে কোন কাজে বরকত বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ। আপনি যদি সব সময় মহান আল্লাহর এই নামটি স্মরণ করেন , আপনার কাজে বরকত বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ।
আজকে আমরা আলোচনার মাধ্যমে খুব সহজভাবে যেনে নিলাম বিসমিল্লাহি এর অর্থ কি এবং সেটি নিশ্চিত বুঝতে পেরেছেন ।
বিসমিল্লাহি কখন পড়তে হয়
আমরা সব সময় যেকোনো ভালো কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলবো। বিসমিল্লাহি আবার যেকোনো কাজের শুরুতে বললে চলবে না আপনাকে বুঝে শুনে বলতে হবে যে জায়গায় বলা যাবে ঠিক সে জায়গায় বিসমিল্লাহি রাহমানির রাহিম বলবো ইনশাআল্লাহ। আপনার কাজের বরকত বৃদ্ধি পাবে , আপনাকে মনে রাখতে হবে যে কোন জায়গায় বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বললে হালাল হবে ঠিক সে জায়গায় বলতে হবে।
অতএব আপনি যদি কখনো ভুলেও হারাম জায়গায় বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলেন তাহলে আপনার বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়ে কোন ফল আসবে না। বিসমিল্লাহি রাহমানির রাহিম যেকোনো জায়গায় বলা যাবে না আপনি যদি ভুলেও হারাম জায়গায় বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলেন বরঞ্চ আল্লাহ নারাজ হবেন। আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম সঠিক জায়গায় বলতে হবে এবং আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কোন জায়গায় বিসমিল্লাহির রহমান রহিম বলতে হবে ।
কখন বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলতে হয় তা নিয়ে অনেক মানুষের মুখে বিভিন্ন ধরনের কথা ও মতের বিরুদ্ধ দেখা যায়। আবার অনেকেই মনে করেন বিসমিল্লাহ রাহমানির রাহিম একই ধারণ করেন , আবার অনেকেই ভেবে থাকেন, বিসমিল্লাহি রাহমানির রাহিম এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল বিসমিল্লাহি , আসলে এই কথাটি শতভাগ যুক্তিসম্মত না , কারণ এই বিষয়ে হাদিসে অনেক জায়গায় উল্লেখ্য আছে যে বিসমিল্লাহির বলতে হয় আর কখন বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলতে হয় ।
রাসুল সাঃ যখন খাওয়া শুরু করতেন তখন বিসমিল্লাহি বলতেন , তিনি তার উম্মত গনকে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন বিসমিল্লাহি কখন বলতে হয় এবং বিসমিল্লাহি রাহমানির রাহিম কখন বলতে হয় , এরপরে কেউ যদি ভস মিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে ফেলেন তাতে খুব বেশি নাজায়েজ হবেনা কিন্তু তার প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম এর নির্দেশ পালন করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর কথা মনে রাখাতে হবে। বিসমিল্লাহি কখন বলতে হয় তার উত্তর, প্রশ্ন হল বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম কখন পড়তে হবে। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়তে হবে দুইটি এক্ষেত্রে ;
আপনি যখন কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করবে ঠিক তখন বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলতে হবে।
আপনি যখন কোনো ভালো কাজ শুরু করবেন ঠিক তখন বিসমিল্লাহ রাহমানির রাহিম বলতে হবে।
সেটা যদি হয় চিঠি বা পরীক্ষার খাতা আপনাকে শুরুতেই বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ার পর লেখা শুরু করতে হবে এবং পড়া শুরু করতে হবে ।
2.বিসমিল্লাহি এর অর্থ নিয়ে ইতিহাস
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম কোথায় ব্যবহৃত হয় তা জানার আগ্রহ থাকে অনেকের মনে, তাই আপনারা এই পোস্টটিতে জানতে পারবেন প্রথম কোথায় কিভাবে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম আয়াতটি ব্যবহার করা হয় , প্রথম মিল্লাহির রাহমানির রাহিম আয়াতটি ব্যবহার করে হযরত সুলাইমান , তিনি সাবা নগরীর রানী বিলকিস এর নিকট চিঠি লেখার সময় এ আয়াতটি ব্যবহার করেছেন, পবিত্র কোরআন শরীফের সূরা নামল এ এই চিঠির কথা উল্লেখ্য করা রয়েছে। সুরা নামলেন আয়াত 29-30 এ গেলে আপনারা দেখতে পারবেন ।
শুরুতে রাসুল সাঃ বিসমিকাললাহুম লিখেছেন, সূরা হুদ এর 41 তম আয়াতে বিসমিল্লাহি মাজরেহা নাযিল হয়েছে , এরপর থেকে তিনি শুধু বিসমিল্লাহি লিখতে শুরু করেন , তারপর সূরা বনী ইসরাইলের 10 নম্বর আয়াতে কুলিlলাহা অহিদুর রহমান অবতীর্ন হয় , তখন থেকেই তিনি বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম লেখা শুরু করেন , এরপর আবার সূরা নামলের 30 তম আয়াতে বিসমিল্লাহি নাযিল হয় , তারপর থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম পুরো বিসমিল্লাহ , লেখার নিয়ম চালু করেন , [ রুহুল মাআনি ও আহকামুল কোরআন লিল জাসাস ] এই পোস্টে আমরা সবাই আশা করবো যে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম এর ইতিহাস বুঝতে পেরেছেন খুব সহজ উপায়ে ইনশাআল্লাহ
3. বিসমিল্লাহি এর বিকল্প ব্যবহার করা কি উচিত এই নিয়ে আলোচনা
বর্তমান যুগে কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা বিসমিল্লাহি এর পরিবর্তে 786 ব্যবহার করেন যেটা উচিত নয়। সাংঘাতিক ভাবে মিল হলেও বিসমিল্লাহি পড়লে যতটা মজা পাওয়া যায় কিন্তু 786 পড়লে ততটা নেকি বা মজা পাওয়া যাবে না কখনোই। তাই আমরা চেষ্টা করব আল্লাহর দেওয়া যেকোনো আমল গুলো সঠিকভাবে মেনে চলা এর মধ্যে একটি হচ্ছে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। আমরা সবসময় চেষ্টা করব মুখে বলার জন্য ।
অনেক ধরনের সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে দেখা যায় বিসমিল্লাহ লেখা থাকে, এগুলো পুরো পুরো হারাম, কেননা সাংকেতিক সবকিছুই ইসলামে হারাম , তাই আমরা বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলব, হারাম কোন কিছুর শুরুতে আল্লাহ এর নাম নেওয়া উচিত নয়, এতে আল্লাহ নারাজ হন, তাই আমরা সবসময় চেষ্টা করব নেক কাজে এটি ব্যবহার করতে ।
কখন ও কি কি কাজে বিসমিল্লাহি বলতে হয় তার একটি তালিকা / বিসমিল্লাহি কখন বলতে হয়।
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম এর অর্থ কি এবং বিসমিল্লাহি অর্থ কি এতক্ষণে জেনে যাওয়ার পর এটা নিশ্চিত আমরা বুঝে গেছি বিসমিল্লাহ এর ফল কি এবং বিসমিল্লাহি বলার কতটুক নেকি, বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম অর্থ হল আমরা আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করছি।
আল্লাহর সাহায্য কামনা করব , যখন আমরা কোনো একটি ভালো কাজ করব তখন আমরা আল্লাহ এর মঙ্গল আশা করব । আমরা আল্লাহর বান্দা আমরা যখন ভালো কাজে আল্লাহকে স্মরণ করব আল্লাহ তখন বান্দার কাজে বরকত এনে দেয় এবং কঠিন কাজ কে মহান আল্লাহতালা সহজ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ, তাই আপনি যে কোনো ভালো কাজ শুরু করার আগে আল্লাহর নাম স্মরণ করে কাজ শুরু করবেন । আপনি যদি খারাপ কাজ করার আগে বিসমিল্লাহ বলেন তাহলে আল্লাহ পছন্দ করেন না , তাই আমাদেরকে ভালো কাজে বিসমিল্লাহি বলতে হবে ।
আমরা এই পোস্টের মধ্যে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম কিছু সহজ উপায় জেনে নিলাম খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা এতক্ষণে বুঝে গিয়েছি যে আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের কোন কাজগুলো পছন্দ করেন এবং কোন কাজগুলো পছন্দ করেন না , যেকোনো হারাম কাজের পূর্বে আপনি যদি বিসমিল্লাহ বলেন তখন কোন লাভ হবে না বরঞ্চ এতে আপনার ক্ষতি হতে পারে, আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা কেন হারাম কাজে বিসমিল্লাহ বলবো না, আপনি যদি ভাল কাজে একবার নয় দুইবার বিসমিল্লাহ বলেন এতে আল্লাহ অনেক খুশি হন এবং আপনি ভালো কাজে মনের ইচ্ছে মত বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম এবং আলহামদুলিল্লাহ বলতে পারেন এতে করে আপনাকে আল্লাহ তাআলা নেক আমল করার জন্য আপনাকে সহযোগিতা করবেন ইনশাআল্লাহ ।
এই পোস্টটিতে আমরা জেনে নেব কোন কোন কাজে বিসমিল্লাহি বলতে হয় এবং কখন বিসমিল্লাহি পড়তে হয়
- 1. খাওয়া শুরু করার পূর্বে
- 2. স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পূর্বে
- 3. টয়লেটে ডুকার আগে আগ মুহূর্তে
- 4. প্রাণী জবাই করার পূর্বে
- 5. ঘুমানোর সময়
- 6. কোথায় যাত্রা করার সময়
- 7. ঘর থেকে বের হওয়ার পর
- 8. চিঠি লেখার পূর্বে
- 7. মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় / মসজিদে ঢোকার সময়
- 8. যে কোন সূরা পড়ার শুরুতে
- 9. কোরআন পড়ার শুরুতে
- 10. যেকোনো বই পড়ার শুরুতে
- 11. নৌকা যাত্রা শুরু করা পূর্বে
এসব বাদ দাও যেকোনো হালাল কাজে পূর্বে আপনাকে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলতে হবে , যেকোনো ভালো কাজের শুরুতে আল্লাহর নাম স্মরণ করা এতে আল্লাহ অনেক খুশি হন ইনশাআল্লাহ , বিসমিল্লাহ রাহমানির রাহিম পড়া সুন্নত ,
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর ফজিলত
বিমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর ফজিলত অনেক রয়েছে। আমরা যদি একটু খেয়াল করে দেখি তাহলে দেখতে পাব কোরআন শরীফের সূরা তওবা ছাড়া বাকি সব গুলো হাতে ব্যবহার করা হয়েছে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম আয়াতটি। মূলত এটি আয়াতটি ব্যবহার করা হয় একটি সূরা এবং নতুন একটি সূরা শুরু বোঝাতে ।
এটি একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ আয়াত যা যেকোনো হালাল কাজের শুরুতে পড়তে নির্দেশ করা হয়েছে । হাদীস শরীফে উল্লেখ্য আছে দরজা জানালা বন্ধ করার সময়, পানি পান করার সময়, কোন পাত্র ঢাকার সময় ইত্যাদি, বিসমিল্লাহির রাহমান বলতে হবে। হাদীস শরীফেও লক্ষ্য আছে দরজা জানালা বন্ধ করার সময় পানি পান করার সময় কোন পাত্র ঢাকার সময় ইত্যাদি মিল্লাহির রাহমানির রাহিম বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়তে হবে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পাঠ করে আল্লাহ তাআলা তাকে দশ হাজার নেকী এবং দশ হাজার বদি মার্জনা করেন ও দশ হাজার উচ্চ মর্যাদা দান করেন।
আর একটি হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে , যে ব্যক্তি দিনে একবার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পরে যে ব্যক্তি যে পরিমান গুনাহ করেছেন তার এক বিন্দুও বাকি থাকবেনা ।
এছাড়াও আপনাদের জন্য একটি গল্প উল্লেখ্য করে দেবো যেখানে আপনারা জানতে পারবেন বিসমিল্লাহি রাহমানির রাহিম এর ফজিলত কতটুকু। ঘটনাটি হল মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যখন মেরাজে তাসরিফ করেন তখন চারটি প্রবাহমান নদী পরিদর্শন করেছেন , এর চারটি নদী হল ;
- 1. পানির প্রস্রবণ
- 2. মধুর প্রস্রবণ
- 3.দুঢের প্রস্রবণ
- 4. পানীয়ে এর প্রস্রবণ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম জিব্রাইল আমিন কে জিজ্ঞাসা করলেন এই নদী গুলো কোথা থেকে এসেছে , জিব্রাইল [আ; ] উত্তর দিলেন , আমি এ সম্পর্কে জানি না , তখন আর একজন ফেরেশতা এসে বললেন আমি দেখাচ্ছি এই চারটি নদী কোথা থেকে এসেছে। তিনি তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে একটি জায়গা নিয়ে গেলেন যেখানে একটি গাছ ছিল যার নিচে একটি বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে , রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম দেখলেন ওই বিল্ডিং এর দরজা ওই তালা ঝুলছে।
তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম দরজা খুলতে বললেন , ফিরিশতা তখন বললেন তার কাছে এর দরজার চাবি নেই। কিন্তু ফেরেশতা এটাও বললেন রাসুল আপনার কাছে এই দরজার চাবি রয়েছে, দরজার চাবি হল: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। তখন তিনি তালাতে হাত দিয়ে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়লেন আর দরজাটি খুব সহজেই ভুলে গেল।
তিনি ভিতরে গিয়ে দেখতে পেলেন সেখানে চারটি খুঁটি রয়েছে যাদের প্রত্যেকের ঘাড়ে লেখা রয়েছে । বিসমিল্লাহ রাহমানির রাহিম , চারটি খুঁটি থেকে যথাক্রমে চার রকমের প্রাণী ও বের হচ্ছিল যা পূর্বে বলা হয়েছে। আর ভেতর থেকে সব আসছিল আল্লাহ আপনার যে বান্দা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়বে এই চারটি নিয়মতে হকদার হবে ।