(৩য় অধ্যায়) ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সৃজনশীল প্রশ্ন (PDF)

৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সৃজনশীল প্রশ্ন ৩য় অধ্যায় : পৃথিবীর কোনো বৃহৎ অবিরাম অবিচ্ছিন্ন ভূখণ্ডকে মহাদেশ বলা হয়, যা সাধারণত পানিরাশি দ্বারা একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। পৃথিবীতে মোট সাতটি মহাদেশ রয়েছে। আমাদের দেশটি যে মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত তার নাম এশিয়া। এশিয়া পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ।

শুধু আয়তনে নয়, জনসংখ্যার দিক দিয়েও এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাদেশ। আর বাংলাদেশ এই মহাদেশে একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে। পৃথিবীর বুকেও গর্বিত একটি দেশের নাম বাংলাদেশ। দীর্ঘ রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক সংগ্রাম ও ১৯৭১-এ একটি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিশ্বমানচিত্রে এই দেশটি তার স্থান করে নিয়েছে।

মহাদেশ ছাড়াও রয়েছে মহাসাগর যেমন প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর। বাকি দুইটি মহাসাগর হলো উত্তর মহাসাগর ও দক্ষিণ মহাসাগর। এসব মহাসাগর মহাদেশগুলোর ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু, অর্থনীতি, মানুষের।জীবনযাত্রাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। মহাসাগর ছাড়াও পৃথিবীতে রয়েছে কয়েকটি বড় সাগর বা সমুদ্র। যেমন- আরবসাগর, লোহিতসাগর, ভূমধ্যসাগর প্রভৃতি। আমাদের দেশের দক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। এটি আসলে একটি উপসাগর, যা ভারত মহাসাগরের অন্তর্ভুক্ত।

৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সৃজনশীল প্রশ্ন ৩য় অধ্যায়

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : রাইমা তার বোনের কাছে এমন একটি মহাদেশ সম্পর্কে জানতে পারে, যেটা পৃথিবীর মোট স্থলভাগের তিন ভাগের এক ভাগ এই মহাদেশের অন্তর্গত। জনসংখ্যার দিক থেকে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাদেশ।

ক. চীনের দীর্ঘতম নদীর দৈর্ঘ্য কত?
খ. দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠে কেন?
গ. রাইমার বোনের বর্ণনাকৃত মহাদেশটির ভৌগোলিক অবস্থান ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উক্ত মহাদেশের জলবায়ু বৈচিত্র্যপূর্ণ” – বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্নের উত্তর

ক. চীনের দীর্ঘতম নদীর দৈর্ঘ্য ৬৩০০ কিলোমিটার।

খ. দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জ মহাদেশগুলোর মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও এগুলো কোনো না কোনো মহাদেশের অংশ। দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জের প্রাকৃতিক দৃশ্য খুবই মনোমুগ্ধকর। তাই দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠে।

গ. রাইমার বোনের বর্ণনাকৃত মহাদেশটি হলো এশিয়া মহাদেশ।  উদ্দীপকে বর্ণিত রাইসা তার বোনের কাছে এমন একটি মহাদেশ সম্পর্কে জানতে পারে, যেটা পৃথিবীর মোট স্থলভাগের তিন ভাগের এক ভাগ জুড়ে অবস্থিত। এছাড়া জনসংখ্যার দিক থেকে এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাদেশ। এ থেকে বোঝা যায়, রাইমা তার বোনের কাছ থেকে এশিয়া মহাদেশ সম্পর্কে জেনেছে। এশিয়া মহাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান নিচে ব্যাখ্যা করা হলো—

এশিয়া মহাদেশ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। এ মহাদেশের উত্তরে উত্তর মহাসাগর, দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ পশ্চিমে লেহিত সাগর ও আফ্রিকা মহাদেশ এবং পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর ও উত্তর-পশ্চিমে ইউরোপ মহাদেশ অবস্থিত। রাশিয়ার ইউরাল পর্বতমালা এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশের মাঝখানে অবস্থিত।

ঘ. উক্ত মহাদেশের অর্থাৎ এশিয়ার জলবায়ু বৈচিত্র্যপূর্ণ— বক্তব্যটি যথার্থ। উদ্দীপকে এশিয়া মহাদেশের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। কেননা পৃথিবীর মোট স্থলভাগের তিন ভাগের এক ভাগ এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত। এছাড়া জনসংখ্যার দিক থেকে এশিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাদেশ।

এশিয়া মহাদেশের জলবায়ুর ক্ষেত্রে দেখা যায়, নিরক্ষরেখা থেকে ১০০ উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে নিরক্ষীয় জলবায়ু বিরাজ করে। সারা বছর অধিক তাপ ও বৃষ্টিপাত এ জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য। বৃষ্টিবহুল গ্রীষ্মকাল ও বৃষ্টিবিহীন শীতকাল মৌসুমি জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, ফিলিপাইন, চীন ও জাপানের দক্ষিণাংশ মৌসুমি জলবায়ুর অন্তর্গত।

বৃষ্টিহীনতা ও উষ্ণতার পার্থক্য মধ্য এশিয়ায় মরু অঞ্চলের জলবায়ু সৃষ্টি করেছে। শীতকালে বৃষ্টি কিন্তু গ্রীষ্মকালে সাধারণত বৃষ্টিহীনতা এরূপ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। উল্লেখিত আলোচনার ভিত্তিতে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, এশিয়া মহাদেশের জলবায়ু বৈচিত্র্যপূর্ণ।

নিজে অনুশীলন করো

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : সোলায়মান স্যার বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ক্লাসে বলেন, আমরা যে মহাদেশে বাস করি তা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাদেশ। এ মহাদেশেই প্রাচীন সভ্যতাসমূহ গড়ে উঠে। আমাদের দেশটি এ মহাদেশের দক্ষিণাংশে অবস্থিত। আমাদের দেশের দক্ষিণে অবস্থিত একটি উপসাগর। এটি বিভিন্ন খনিজ ও মৎস্য সম্পদে ভরপুর। এগুলোর উত্তোলন ও সুষ্ঠু ব্যবহার আমাদের দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।

ক. এশিয়ার দক্ষিণ অংশে কয়টি দেশ রয়েছে?
খ. বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ বলা হয় কেন?
গ. প্রাচীন সভ্যতা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সোলায়মান স্যার কোন জায়গার কথা উল্লেখ করেছেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিপথ পরিবর্তনে উদ্দীপকে উল্লিখিত উপসাগরের ভূমিকা মূল্যায়ন কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : আখি একটি মহাদেশ সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য তুলে ধরেন। তার দেওয়া তথ্য মতে, পৃথিবীর মোট স্থলভাগের তিন ভাগের এক ভাগ এই মহাদেশের অন্তর্গত। জনসংখ্যার দিক থেকে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাদেশ।

ক. মহাদেশ কাকে বলে?
খ. পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশের স্থান কেমন?
গ. আখির দেওয়া তথ্যগুলো যে মহাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা দেখাও।
ঘ. উক্ত মহাদেশের আয়তন ও অবস্থান বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : শিবলী পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশ ঘুরে বেড়ায়। সে একটি মহাদেশে ঘুরতে গিয়ে দেখেছে এর উত্তরে বরফে আচ্ছাদিত। আর পশ্চিমে উত্তপ্ত মরুভূমি, তবে এর অধিকাংশ সমতল। এ মহাদেশে অবস্থিত পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সে দেখেছে। শিবলীর ধারণা হয়েছে যে, এর আয়তনের বিশালতা থেকে জনসংখ্যার বিশালতা আরও বেশি।

ক. পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের নাম কী?
খ. জাপানকে সূর্যোদয়ের দেশ বলা হয় কেন?
গ. শিবলীর দেখা মহাদেশের তথ্যগুলো কোন মহাদেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ দেখাও।
ঘ. উক্ত মহাদেশের আয়তন ও জনসংখ্যা সম্পর্কে শিবলীর ধারণা বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : ‘ক’ তার দাদার কাছে জানতে চায়, পদ্মা নদীর পানি কোথায় গিয়ে মিশে। দাদা তাকে জানায়, এই নদীর পানি আমাদের দেশের দক্ষিণে বিস্তৃত বিশাল জলরাশির সাথে মিশে । শুধু তাই নয় বাংলাদেশের অসংখ্য নদ-নদীর পানি আসে এই বিশাল জলরাশিতে। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটিও এতে অবস্থিত।

ক. কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত কোন জেলায় অবস্থিত?
খ. ‘পৃথিবীর প্রায় সবগুলো প্রধান ধর্মের উদ্ভব এশিয়া মহাদেশে’– ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের বিশাল জলরাশির সাথে পাঠ্যবইয়ের যে বিষয়ের মিল রয়েছে তার বর্ণনা দাও।
ঘ. তুমি কি মনে কর, উক্ত জলরাশি নানা কারণে আমাদের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ? যুক্তি দাও।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : রিতা একটি মহাদেশ সম্পর্কে বলে, পৃথিবীর মোট স্থলভাগের তিন ভাগের এক ভাগ মহাদেশটির অন্তর্গত। সভ্যতার বিভিন্ন উজ্জ্বল নিদর্শন উক্ত মহাদেশটিতে অবস্থিত।

ক. পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের নাম কী?
খ. জাপানকে সূর্যোদয়ের দেশ বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে রিতা যে মহাদেশের ইঙ্গিত দিয়েছে তার ভূ-প্রকৃতি ও জলবায়ুর পরিচয় দাও।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত মহাদেশটির অর্থনৈতিক চিত্র তুলে ধর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : সবুজ তার পিতার কাছে জানতে চায় পদ্মা নদীর পানি কোথায় গিয়ে মিশে। পিতা তাকে জানায় এই নদীর পানি আমাদের দেশের দক্ষিণে বিস্তৃত বিশাল জলরাশির সাথে মিশে। শুধু তাই নয় বাংলাদেশের অসংখ্য নদ-নদীর পানি আসে এই বিশাল জলরাশিতে। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটিও এতে অবস্থিত।

ক. কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত কোন জেলায় অবস্থিত?
খ. ‘পৃথিবীর প্রায় সবগুলো প্রধান ধর্মের উদ্ভব এশিয়া মহাদেশে’– ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের বিশাল জলরাশির সাথে পাঠ্যবইয়ের যে বিষয়ের মিল রয়েছে তার বর্ণনা দাও।
ঘ. তুমি কি মনে কর, উক্ত জলরাশি নানা কারণে আমাদের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

ANSWER SHEET

উপরে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে এই প্রশ্নের উত্তরগুলো ডাউনলোড করে নাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *