মেধাবী হয়ে কি কেউ জন্মায় ? বিখ্যাত কি
কেউ আগে থেকেই হয়ে থাকে ? কাজ আর
শ্রমটাই আসল । পরিশ্রম আর চেষ্টার মাধ্যমে
মূল্যবান কিছু অর্জন করতে হয় । মেধাবী,
ব্রিলিয়ান্ট এই শব্দগুলো ধ্রুব নয়, আপেক্ষিক.
Once a brilliant always a brilliant বিষয়টি ঠিক
এমন নয় ।
যখন যেকোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যে
ব্যক্তিটি সময়ের কাজগুলো সময়মত সফলতার
সাথে করে তারাই সাধারণত মেধাবী বলে
পরিচিতি পেয়ে থাকে । কিন্তু অনেক সময়ই
ঠিকমত অনুশীলন আর চর্চার অভাবে মেধায়
মরিচা পড়ে । জীবনে ভালো কিছু করার জন্য
মেধার চেয়ে সময়মত সঠিকভাবে পরিশ্রম
করাটা বেশি জরুরী । আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
হল সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারা ।
নিজের লিমিট সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখা
উচিত, নিজেকে ভালমতো judge করতে না
পারলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে
। শুধু পরিশ্রম দিয়েই মানুষ জীবনে ভালো
কিছু করে না, যার যার নিজের জন্য যে পথটি
সঠিক সেইপথে শ্রম দিলে ভালো কিছু করার
সম্ভাবনা বেশি থাকে ।
নিজের কোন
দুর্বলতা থাকলে সেগুলো দূর করার জন্য আপ্রাণ
চেষ্টা করা উচিত । অমুকে স্টাডি করছে না
তাই আমিও করলাম না বিষয়টা যেন এমন না
হয় । নিজের মত করে সবসময় স্টাডিতে সময়
দেয়া উচিত ।
যেকোনো প্রস্তুতির শুরুতে জটিল বিষয়গুলো
বাদ দিয়ে আগে মোটামুটি একটা প্রস্তুতি
নিয়ে ফেলা উচিত । যেকোনো পরীক্ষার
প্রতিটি বিষয়ে যদি মোটামুটি একটা প্রস্তুতি
নেয়া হয়ে যায় তাহলে কনফিডেন্স অনেকটা
বেড়ে যায়, যা পরবর্তীতে সেই প্রস্তুতিটাকে
upgrade করতে সাহায্য করে । আমাদের বেশির
ভাগ স্টুডেন্টদের মাঝে খুব অল্পে হতাশ হবার
প্রবণতা বেশি আর ধৈর্য অনেক কম । যে ধৈর্য
ধরে নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য শ্রম দিবে তার
সফল হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি ।
নিজের
মেধার চেয়ে নিজের পরিশ্রমের ওপর আস্থা
বেশি রাখতে হবে । আমরা যেকোনো বিষয়েই
একটুতেই অন্যের দিকে তাকাই, এই প্রবণতা
কমানো উচিত, অমুকে স্টাডি না করে ফেল
করলে আপনিও কি একই রাস্তা অনুসরণ করতে
চান নাকি ? অমুকে স্টাডি বা পরিশ্রম করা
বাদ দিয়ে বনবাসে চলে গেলে আপনিও কি
যাবেন নাকি ? তাহলে ? ব্যর্থ হলে খারাপ
লাগাটাই স্বাভাবিক, কিন্তু কোথাও ১-২ বার
ব্যর্থ হলে হতাশায় ভেঙে পড়াটাও ঠিক না ।
আমাদের অনেকেই কারণ ছাড়া অনেক সময়
নষ্ট করি, এই অভ্যাস দূর করার চেষ্টা করতে
হবে ।
যেকোনো চাকুরীর প্রস্তুতির সময় মোটেও সময়
নষ্ট করবেন না । যত বেশি স্টাডি করবেন তত
বেশি কাজে আসবে । কোন প্রকার স্টাডিই
কখনো বিফলে যায়না ,কোন না কোনভাবে
কাজে আসেই । দেখা যাবে এক চাকুরীর
পরীক্ষার জন্য নেয়া প্রস্তুতি অন্য পরীক্ষাতে
সাহায্য করছে । শুধুস্টাডি করলেই হবেনা,
নিজের দুর্বল দিকগুলোও বের করতে হবে ।
যেসব ক্ষেত্রে আপনার ভুল হয় সেগুলো দূর করার
চেষ্টা করতে হবে ।
সময় পেলেই যেকোনো
পরীক্ষা নিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করবেন যেমন
প্রশ্ন কেমন হয়, সাধারণত কত পেলে ভালো
করা যায়, কি কি variation প্রশ্নে থাকে
ইত্যাদি । অনেকেই বিভিন্ন চাকুরীর প্রস্তুতি
নিয়ে জিজ্ঞেস করেই যাচ্ছেন যে কোন বই
পড়বেন ? উক্ত চাকুরীর পরীক্ষা সম্পর্কিত
যেকোনো একটা বই পড়ে ফেলুন না আগে ।
প্রতিটি বিষয় নিয়ে যেকোনো একটা বই আগে
দেখুন । পরে চেষ্টা করবেন প্রতিটি বিষয়ে
যতটা দক্ষ হওয়া যায় । আজ স্টাডি করবো না ,
কাল থেকে সব শুরু করবো , এমনটি কখনো
ভাববেন না , either today or never এই কথাটি
মাথায় রাখতে পারলে ভালো । কোন কিছু শুরু
করতে চাইলে এখন থেকে, এই মুহূর্ত থেকেই
করতে হবে । নিজেকে পরিবর্তন করতে চাইলে
এখনই বেস্ট টাইম । নিজের খারাপ সময়টা
পরিবর্তন করতে খুব বেশি সময় লাগেনা,
ভালো থাকবেন সবাই, Good luck guys.
aryan ahmed,  assistant commissioner of taxes