বাংলা ভাষায় সংস্কৃত শব্দ সম্পদ, ক্রিয়া ও সর্বনামের পূর্ণরূপ এবং কিছু ব্যাকরণসিদ্ধ উপাদান ব্যবহার করে ইংরেজি গদ্য সাহিত্যের পদবিন্যাস প্রণালির অনুসরণে কল্পিত যে নতুন সার্বজনীন গদ্যরীতি বাংলা সাহিত্যে প্রবর্তিত হয়, তাকে সাধু ভাষা বলে। যেমন – তাঁহারা নয়টার পূর্বেই ঢাকায় উপস্থিত হইলেন।
রাজা রামমোহন রায় বলেন, “সাধু সমাজের লোকেরা যে ভাষা কহেন ও শুনেন সেই ভাষায় সাধু ভাষা।”
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ” সাধারণ গদ্য সাহিত্যে ব্যবহৃত বাঙালা ভাষাকে সাধু ভাষা বা রীতি বলে।”
সাধু ভাষা / রীতির বৈশিষ্ট্য
- এ ভাষা অপরিবর্তনীয় ও সুনির্দিষ্ট নিয়মের অনুসারী।
- এ রীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল।
- নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার জন্য এ ভাষা অনুপযোগী।
- এ ভাষা অপরিবর্তনীয়।
- এ রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে।
- এ ভাষা বইয়ের ভাষা।
- এ ভাষায় সন্ধি ও সমাসবদ্ধ পদ তুলনামূলকভাবে বেশি।
- এ ভাষা সকলের বোধগম্য নয়।
- এর মাধ্যমে ভাব প্রকাশ করা সহজ নয়।
- এ ভাষা ঐতিহ্যমন্ডিত ও সমৃদ্ধ।
- এ ভাষায় অপিনিহিতি ও অভিশ্রুতির ব্যবহার নেই। ইত্যাদি।