Islamic
1 min read

ওযু / অজুর দোয়া, নিয়ত ও ওযু করার সঠিক নিয়ম

ওযু আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো নির্দিষ্ট চারটি অঙ্গ পানি দিয়ে ধৌত করা। ওযু সঠিক না হলে নামাজ শুদ্ধ হয় না। তাই সঠিক নিয়মে ওযু করতে হবে। চলুন তাহলে ওযু / অজুর দোয়া, নিয়ত ও ওযু করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।

অজুর দোয়া

ওযু শুরু করার পূর্বে এই দোয়া পড়তে হবে –

বাংলা উচ্চারণঃ “বিসমিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম , ওয়ালহামদু লিল্লালি আ’লা দীনিল ইসলাম, আল ইসলামু হাক্বকুন, ওয়াল কুফরু বা-ত্বিলুন, আল ইসলামু নূরুন, ওয়াল কুফরু জুলমাতুন।”

অর্থঃ “সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বমহান আল্লাহর নামে অজু শুরু করছি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ তা’আলারই প্রাপ্য – যিনি আমাকে দ্বীন ইসলামের উপর রেখেছেন। ইসলাম সত্য এবং আলোক স্বরূপ আর কুফরী মিথ্যা ও অন্ধকারতুল্য।”

অজু করা শেষ হলে নিম্নলিখিত দোয়াটি পড়া –

বাংলা উচ্চারণঃ “আল্লাহুম্মাজ্বআলনী মিনাত তাওয়্যাবীনা ওয়াজ্বআলনী মিনাল মুতাত্বাহহিরীন।”

অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমাকে তওবাকারী এবং পবিত্রতা হাসিলকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর।”

অজুর নিয়ত

বাংলা উচ্চারণঃ “নাওয়াইতু আন আতাওয়াজ্জায়া লিরাফ’ইল হাদাছি ওয়াস্তিবাহাতাল লিছছালাতি ওয়া তাক্বাররুবান ইল্লাল্লা-হি তা’আলা”

অর্থঃ “আমি নাপাকি দূর করার জন্য, বিশুদ্ধভাবে নামাজ পড়ার ও আল্লাহ তা’আলার নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে অজু করছি।”

ওযু / অজু করার সঠিক নিময়

  • কা’বা শরীফের দিকে মুখ করে অজু করতে বসিবে
  • পাক পানির বদনা /মগ বাম পার্শ্বে রেখে অজুর দোয়া (বিসমিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম…….) পড়ে তারপর অজুর নিয়ত করতে হবে। (আরবি নিয়ত না জানলে বাংলাতেই করতে হবে)
  • এরপর প্রথমে দু-হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করতে হবে। প্রথমে ডান হাত এবং পরে বাম হাত ধুতে হবে এবং হাতের আঙ্গুলগুলো খেলাল করবে।
  • তারপর ডান হাতে পানি নিয়ে তিনবার গড়গড়া সহ কুলি করতে হবে। ( রোজাদার হলে গড়গড়া করা যাবে না)
  • এরপর নাকে পানি দিয়ে তিনবার নাক পরিষ্কার করতে হবে। (বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও কনিষ্ঠ আঙ্গুল নাকের ছিদ্রে প্রবেশ করায়া নাক সাফ করবে।)
  • তারপর তিনবার সমস্ত মুখমণ্ডল এমনভাবে ধৌত করতে হবে যাতে চুল পরিমাণ জায়গাও শুকনো না থাকে। দাড়ি ঘন হলে খিলাল করতে হবে।
  • অতঃপর ডান হাত এবং পরে বাম হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধৌত করতে হবে। হাতে ঘড়ি, আংটি ইত্যাদি থাকলে তা নাড়াচাড়া করতে হবে যাতে সবখানে পানি পৌঁছায়।
  • তারপর দুহাত ভিজিয়ে মাথা ও কান মাসেহ্ করতে হবে। মাসেহ্ করার সময় দু-হাতের বুড়ো ও শাহাদাত আঙ্গুলি আলাদা রেখে বাকি তিন আঙ্গুলি মিলিয়ে আঙ্গুলিগুলোর ভিতর দিক দিয়ে কপালের চুলের গোড়া থেকে পিছন দিকে মাথার এক-চতুর্থাংশ মাসেহ্ করতে হবে। এরপর শাহাদাত আঙ্গুলি দিয়ে হাতের আঙ্গুলিগুলোর পিঠ দিয়ে ঘাড় মাসেহ্ করতে হবে।
  • তারপর প্রথমে ডান পা এবং পরে বাম পা তিনবার গিরা পর্যন্ত ভালোভাবে ধৌত করতে হবে যাতে একটু জায়গাও বাকি না থাকে। পায়ের আঙ্গুলগুলো খিলাল করতে হবে।

অজুর কাজগুলো পরপর করে যেতে হবে। অর্থাৎ, এক অঙ্গের পর অন্য অঙ্গ সাথে সাথে ধৌত করতে হবে। অনেকক্ষণ থেকে থেমে করা যাবে না।

নোটঃ উল্লেখ্য যে, নিয়মিত দাঁত মাজা রাসূল (সাঃ) এর একটি বিশেষ সুন্নত। এ ব্যাপারে তিনি তাঁর উম্মতদেরকে বিশেষভাবে তাগিদ প্রদান করেছেন। তিনি বলেছেন, “উম্মতদের কষ্ট না হলে প্রত্যেক নামাজের পূর্বে তিনি মিসওয়াক করার আদেশ দিতেন।

Rate this post