কোষ বিভাজন কাকে বলে? কে আবিষ্কার করেন? এর প্রকারভেদ

আজ আমরা কোষ বিভাজন নিয়ে আলোচনা করব। কোষ বিভাজন কাকে বলে? কোষ বিভাজন কে আবিষ্কার করেন এবং কোষ বিভাজনের প্রকারভেদ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে এই আর্টকেলে। তো চলুন শুরু করা যাক।

কোষ বিভাজন কাকে বলে?

একটি মৌলিক ও অত্যাবশ্যকীয় প্রক্রিয়া হচ্ছে কোষ বিভাজন যা দ্বারা জীবের দৈহিকবৃদ্ধি ও বংশ বৃদ্ধি ঘটে। বলা যায়, যে প্রক্রিয়ায় জীব কোষের বিভক্তির মাধ্যমে একটি থেকে দুটি বা চারটি কোষের সৃষ্টি হয় তাকে কোষ বিভাজন বলে। কোষ বিভাজনের ফলে সৃষ্ট নতুন কোষকে অপত্য কোষ (Daughter cell) বলে এবং যে কোষটি বিভাজিত হয় তাকে বলা হয় মাতৃ কোষ (Mother cell).

সহজভাবে বললে, যে প্রক্রিয়ায় মাতৃ কোষ বিভাজিত হয়ে অপত্য কোষ সৃষ্টি করে তাকে কোষ বিভাজন বলে।
এটি প্রধানত তিন প্রকারের। যথা
1) মাইটোসিস।
2) মিয়োসিস।
3) অ্যামাইটোসিস

কোষ বিভাজন কে আবিষ্কার করেন?

কোষ বিভাজন আবিস্কার করেন ফ্লেমিং (Walter flemming)। ১৮৮২ সালে সামুদ্রিক সালামানডার (Triturus maculosa) কোষে তিনি ১ম কোষ বিভাজন লক্ষ্য করেন।

কোষ বিভাজনের প্রকারভেদ

কোষ বিভাজন প্রধানত ৩ প্রকার। যথাঃ

  • অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন
  • মাইটোসিস কোষ বিভাজন
  • মিয়োসিস কোষ বিভাজন

অ্যামাইটোসিস

যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম কোন জটিল পর্যায় ছাড়াই সরাসর বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে তাকে অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন বলে। এ প্রক্রিয়ায় কোন জটিলতা ছাড়ায় সরাসরি মাতৃকোষের বিভাজন ঘটে।

প্রোক্যারিওটিক জীবে এ ধরণের কোষ বিভাজন দেখা যায়। নীলাভ সবুজ শৈবাল, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি জীবে এ ধরণের কোষ বিভাজন ঘটে থাকে।

মাইটোসিস

যে কোষ বিভাজনে প্রকৃত কোষের নিউক্লিয়াস ও ক্রোমোজোম উভয়েই একবার করে বিভক্ত হয় তাকে মাইটোসিস কোষ বিভাজন বলে।একে সমিকরণিক বিভাজনও বলা হয়।

বর্ণনার সুবিধার্থে মাইটোসিসের নিউক্লিয়াসের বিভাজন প্রক্রিয়াকে পাঁচটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। যথাঃ

  • প্রোফেজ
  • প্রো-মেটাফেজ
  • মেটাফেজ
  • অ্যানাফেজ
  • টেলোফেজ

মিয়োসিস

যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় নিউক্লিয়াস পর পর দুবার ও ক্রোমোজোম একবার করে বিভক্ত হয়ে মাতৃকোষের ক্রোমোজোমের অর্ধেক সংখ্যক ক্রোমোজোম যুক্ত চারটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে তাকে মিয়োসিস কোষ বিভাজন বলে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *