পড়াশোনা

কেপলারের সূত্র | কেপলারের সূত্র প্রতিপাদন

0 min read

প্রাচীন কাল থেকেই গ্রহ নক্ষত্রের গতিবিধি নিয়ে বিজ্ঞানী মহলে বেশ কৌতুহল ছিল। তবে সৌরজগৎ নিয়র গ্রিকদের ভূমিকা ছিল শীর্ষে। দ্বিতীয় শতাব্দীতে গ্রীক জ্যোতির্বিদেরা সৌরজগৎ নিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্তে আসেন। সেই সিদ্ধান্তগুলোকে টলেমি তত্ত্ব আকারে প্রকাশ করেন।

টলেমির মতে, পৃথিবী হচ্ছে মহাবিশ্বের স্থির কেন্দ্র এবং সূর্য, চন্দ্র এবং অন্যান্য গ্রহ এবং তারাগুলো পৃথিবীকে কেন্দ্র করে জটিল কক্ষপথে আবর্তন করছে।

তবে টলেমির এই তত্ত্ব পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য হলেও তত্ত্বটি জটিল হওয়ায় এবং বহু পর্যবেক্ষণের পরিমাণগত ব্যাখ্যা দিতে না পারায় টলেমির তত্ত্ব আস্তে আস্তে গ্রহণযোগ্যতা হারায়। এরপর ষোড়স শতাব্দীতে জ্যোতির্বিদ কোপার্নিকাস মহাকাশের এসব বস্তুর একটি সরল বর্ণণা দেন।

কোপার্নিকাসের মতে, পৃথিবী এমন একটি গ্রহ যা নিজ অক্ষের উপর আবর্তন করে এবং সূর্যের চারদিকে ঘুরছে। পৃথিবীর মত অন্যান্য গ্রহগুলোরও একই গতি বিদ্যমান।

টলেমী এবং কোপার্নিকাস এর তত্ত্বের বিরোধের ফলে জ্যোতির্বিজ্ঞান আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠে। জ্যোতির্বিদদের মধ্যে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহরের প্রবণতা বাড়তে থাকে। এ সময় বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহে এ সংক্রান্ত অনেক তথ্য সকলন করেন। টাইকো ব্রাহের এসব তথ্য জোহান কেপলার প্রায় বিশ বছর ধরে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করেন। তিনি খেয়াল করেন যে, গ্রহগুলোর গতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়মানুবর্তিতা বিদ্যমান। এই নিয়মাবর্তিতাগুলোই গ্রহের গতি সম্পর্কিত কেপলার এর ৩ টি সূত্র নামে পরিচিত।

নিচে কেপলারের ৩ টি সূত্র আলোচনা করা হবে।

কেপলারের সূত্রসমূহ

কেপলারের প্রথম সূত্র (কক্ষপথের সূত্র)

প্রত্যেকটি গ্রহই সূর্যকে একটি কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে উপবৃত্তাকার পথে প্রদক্ষিণ করছে।

কেপলারের দ্বিতীয় সূত্র (ক্ষেত্রফলের সূত্র)

যে কোন গ্রহ এবং সূর্যের সাথে সংযোগকারী সরলরেখা সমান সময়ে সমান ক্ষেত্রফল অতিক্রম করে।

কেপলারের তৃতীয় সূত্র (আবর্তনকালের সূত্র)

সূর্যের চারদিকে প্রতিটি গ্রহের আবর্তন কালের বর্গ সূর্য থেকে ওই গ্রহের গড় দূরত্বের ঘনফলের সমানুপাতিক।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x