Blog

ব্লগ কি? ব্লগ লিখার নিয়ম ও ব্লগিং করে টাকা আয় করবেন কীভাবে?

1 min read

ব্লগ শব্দ টা একেক জনের কাছে একেক রকম। কারো কাছে ব্লগ হচ্ছে আয় করার মাধ্যম আবার কারো কারো কাছে ব্লগ জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম।

আপনি যেহেতু এই পোস্টটি পড়তে এসেছেন তো ধরে নিচ্ছি আপনি ব্লগিংকে টাকা আয়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চান। তবে ব্লগ থেকে আয় করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে ব্লগিং সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে হবে। তবেই আপনি একজন ভাল ব্লগার হতে পারবেন এবং ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন।

ব্লগিং সম্পর্কে পুরো ধারণা পেতে আপনাকে যা যা জানতে হবে তা হল: ব্লগ মানে কিএকটা ব্লগ কিভাবে বানাতে হয় এবং ব্লগগুলি থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়। এই জিনিসগুুলো ভালোভাবে জানতে পারলে আপনি ভাল একজন ব্লগার হতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, চীন, জাপান এবং আমেরিকার অনেক মানুষই ব্লগিংকে তাদের ক্যারিয়ার হিসেবে বেছেে নিয়েছে। শুধু তাই নয় ব্লগিং করে আয় এর পাশাপাশি নিজের ব্লগিং অফিসও চালাচ্ছেন।

আর আপনাকে এই বিষয়ে বিস্তারিত ধারনা দেওয়ার জন্যই আমার আজকের এই পোস্ট। এই পোস্টে আমি আপনাদের বলব ব্লগ কি এবং ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়।

ব্লগ মানে কি? (What is Blog?)

সোজা ভাবে বলতে গেলে, ব্লগ হচ্ছে অনেকটা ডায়েরির মতন। একটা ডাইরিতে যেমন আপনি আপনার ইচ্ছামত জিনিস লিখতে পারেন তেমনি একটি ব্লগেও আপনি আপনার ইচ্ছা মত আর্টিকেল লিখতে পারবেন।

আপনার ব্লগে আপনি কোন স্টোরি, কোন এক বিষয়ে টিউটোরিয়াল, বিভিন্ন মজার এসএমএস, কবিতা, গান, সংবাদ যেকোনো কিছুই লিখতে পারেন। সেটা নির্ভর করে আপনার কোন বিষয়ে আগ্রহ বেশি। কারণ আগ্রহের বিষয়গুলো নিয়ে সারাদিন কাজ করলেও বিন্দুমাত্র খারাপ লাগেনা।

তবে যাই লিখেন না কেন তা হতে হবে সাবলীল এবং পরিচ্ছন্ন লেখা। তবেই মানুষ আপনার লেখা পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে এবং আপনি বেশি বেশি ভিজিটর পাবেন।

তাছাড়া আপনার লেখা আর্টিকেল যদি কারো ভালো ই না লাগে কিংবা যদি কেউ ঠিকমতো পড়তে না পারে তাহলে আপনি ব্লগিংয়ে কখনোই ভালো করতে পারবেন না। তাই যদি আপনার ব্লগিংয়ে ভালো করার ইচ্ছা থাকে তবে অবশ্যই আপনার লেখার মান ভালো করতে হবে।

পার্সোনাল ডাইরির মত ব্লগ কিন্তু আপনি হাতে কলমে লিখতে পারবেন না। ব্লগ লেখার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় দুটি জিনিস অবশ্যই লাগবে। তারমধ্যে একটি হলো ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং অপরটি হলো ইন্টারনেট কানেকশন। আর যে বিষয়ে আপনি ব্লগ লিখবেন সে বিষয়ের উপর আপনার যথেষ্ট জ্ঞান তো থাকাই লাগবে।

এই দুটি জিনিস যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে আপনি আজ থেকেই আপনার ব্লগিং যাত্রা শুরু করতে পারবেন। কারণ ইন্টারনেটে এমন কিছু প্লাটফর্ম বা ওয়েবসাইট রয়েছে যারা আপনাকে ফ্রিতে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করার সুযোগ দিবে।

সবকিছুই যখন হয়ে যায় তখন মনের মাঝে একটি প্রশ্ন বাসা বাঁধে। সবাই ভাবে আমার বানানো ব্লগে মানুষ বা ট্রাফিক আসবে কোথা থেকে বা কিভাবে?

এর উত্তর হলো সার্চ ইঞ্জিন। হ্যাঁ সার্চ ইঞ্জিন এবং সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য ব্লগ থেকে আপনি ট্রাফিক বা ভিজিটর পাবেন। অনলাইনের জনপ্রিয় কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে গুগল, বিং এবং ইয়াহু। আর সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম অন্যতম। এই মাধ্যমগুলো থেকে আপনি সহজেই আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা ভিজিটর পাবেন।

অন্য একটি আর্টিকেল এ আমি আপনাদের বলবো কিভাবে গুগল সার্চ এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপনার ব্লগে হাজার হাজার ট্রাফিক পাবেন। আপাতত এইটুকু জেনে রাখুন যে ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনার ব্লগে প্রচুর পরিমান ভিজিটর লাগবে। আর ব্লগে আপনি শুধু বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন যেমন গুগল, বিং, ইয়াহু এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি থেকেই পাবেন।

আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন ব্লগ মানে কি। এবার আমরা শিখব কিভাবে একটি ফ্রি ব্লগ সাইট বানানো যায়।

ব্লগিং কি?

ব্লগ ইংরেজি শব্দ। Blog এর আভিধানিক অর্থ হলো ভার্চুয়াল ডায়েরী বা ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত দিনলিপি। এটি আবার Weblog এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ১৯৯৭ সালে মার্কিন নাগরিক জোম বার্গার সর্বপ্রথম Weblog শব্দটি উদ্ভাবন করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের এপ্রিল বা মার্চের দিকে পিটার মেরহোলজ তার নিজস্ব ব্লগ পিটার্ম ডট কমে কৌতুক করে Weblog শব্দটিকে ভাগ করে Blog রাখেন। এর পর থেকেই Blog শব্দের প্রসার ঘটে।

প্রায় সব ব্লগই একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে সব রকমের খবরাখবর প্রকাশ করে থাকে। অন্যগুলো ব্যক্তিগত অনলাইন দিনলিপি। BlogBlog হলো লিখা, ছবি, অন্য ব্লগ, ওয়েব পেইজ ইত্যাদির সমাহার। ব্লগের অন্যতম একটি দিক হলো পাঠকদের মন্তব্য করার সুযোগ দেওয়া। মূলত সব ধরণের ব্লগই টেক্সট ভিত্তিজ। তবে কিছু কিছু ব্লগ আবার শিল্প, ছবহ, ভিডিও, সঙ্গীত, অডিও ইত্যাদির উপর গড়ে উঠে। তাছাড়া মাইক্রোব্লগিং ও আরেক ধরণের ব্লগিং যেখানে তুলনামূলকভাবে ছোট আকারের পোস্ট থাকে।

ব্লগার (Blogger) কাকে বলে?

যিনি ব্লগে পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলা হয়। এরা নিয়মিত তাদের সাইটে কন্টেন্ট পাবলিশ করেন আর ব্যবহারকারীরা সেখান থেকে তাদের প্রয়োজন অনুসারে তথ্য নেন এবং তাদের মন্তব্য প্রকাশ করেন। তাছাড়া বর্তমানে ব্লগিং, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতার একটি অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ব্লগাররা নিয়মিত আপডেট করেন।

অনেকে ওয়েবসাইট ও ব্লগকে এক মনে করেন। কিন্তু দুটোর মাঝে পার্থক্য রয়েছে। ওয়েবসাইট ও ব্লগের মাঝে মূল পার্থক্য হলো ওয়েবসাইট নিয়মিতভাবে আপডেট করা হয় না, আর ব্লগ নিয়মিতভাবে আপডেট করা হয়।

একটি ব্লগ বানাবেন কিভাবে? (How to make a blog?)

একটি ব্লগ আপনি অনেক ভাবে তৈরি করতে পারেন। তবে সব উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেগুলা জনপ্রিয় সেগুলো হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগার ব্যবহার করে ব্লগ তৈরি।

আপনি চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে একটি সেল্ফ হোস্টেড ওয়াডপ্রেস (Self Hosted WordPress) ব্লগ অথবা ব্লগারের মাধ্যমে ফ্রি ব্লগার ব্লগ তৈরি করতে পারেন।

ওয়ার্ডপ্রেস দুইভাবে খোলা যায়। একটি হচ্ছে wordpress.com ব্যবহার করে অন্যটি হচ্ছে wordpress. org ব্যবহার করে। এদের মধ্যে wordpress. org হচ্ছে সেল্ফ হোস্টেড ওয়াডপ্রেস (Self Hosted WordPress)

আপনি যদি সেল্ফ হোস্টেড ওয়াডপ্রেস (Self Hosted WordPress) এ ব্লগ সাইট বানিয়ে আর্টিকেল লিখতে চান সেক্ষেত্রে শুরুতে আপনার কিছু টাকা খরচ হবে। কারণ এখানে আপনার হোস্টিং এবং ডোমেইন কিনতে হবে যার জন্য কিছু টাকা খরচ হবে। তবে এই খরচের পরিমাণ খুব বেশি নয়। মাত্র ১ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে আপনি হোস্টিং এবং ডোমেইন নিয়ে নিতে পারবেন।

তবে ফ্রী ব্লগার সাইটে ব্লগ বানাতে আপনার একটা টাকাও খরচ করতে হবে না। সেখানে আপনি একদম বিনামূল্যে আপনার একটি ব্লগ সাইট বানিয়ে নিতে পারবেন।

ব্লগারের ফ্রি ব্লগ সাইট বানাতে চাইলে আপনার একটি গুগল অ্যাকাউন্ট লাগবে। কারণ blogger.com হচ্ছে গুগলের একটি প্রোডাক্ট বাস সার্ভিস।

Blogger.com এ আপনি যদি একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে blogger.com ভিজিট করতে হবে। সাইটে ঢুকে আপনি উপরের ছবির মত একটি ইন্টারফেস দেখতে পারবেন। সেখানে “CREAT YOUR BLOG” বাটনটি চাপুন।

তারপর সেখানে জিমেইল আইডি দিয়ে লগইন করতে হবে। লগইন করা হয়ে গেলে আপনি সেখানে এটি সেটআপ পেজ দেখতে পারবেন। তারপর প্রয়োজনীয় ধাপ অনুসরন করে কন্টিনিউটি ব্লগার (continue to blogger) লিংকে ক্লিক করুন।

এরপর আপনি আপনার নিজের ব্লগ ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন।

ড্যাশবোর্ড থেকে “Create Blog” লিংকে ক্লিক করে আপনি আপনার ব্লগ লেখা শুরু করতে পারেন।

ব্লগার সাইটে ব্লক কিভাবে বানানো যায় তা সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা আশা করি আপনাদের দিতে পেরেছি। তো চলুন এবার জেনে নেই ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়?

ব্লগে কি আর্টিকেল লিখব এবং আর্টিকেল কিভাবে লিখবেন

একটি ব্লগ বানানোর পর সবথেকে জরুরি জিনিসটাই হলো আমাদের বানানো ব্লগে আমরা কি আর্টিকেল লেখবো। সোজাভাবে বললে, ব্লগে কি লিখব বা কি বিষয়ে (topic বা subject) ব্লগে আর্টিকেল লিখবো।

এখন এইটা অবশই মনে রাখবেন যে, আপনি নিজের ব্লগে যা লিখবেন সেটা যদি লোকেরা পছন্দ করে এবং সার্চ ইঞ্জিন থেকে আশা ভিসিটর্স বা ট্রাফিক আপনার আর্টিকেল পরে ভালো পান তাহলে আপনি অনেক কম সময়ের মধ্যে ব্লগ বানিয়ে success হতে পারবেন এবং তার থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

কিন্তু, আপনার লেখা আর্টিকেল লোকেদের কেবল তখন ভালো লাগবে যদি আপনি নিজের ব্লগে কিসের ওপরে লিখবেন সেটা আগের থেকেই বুঝে রেখে ব্লগ বানান বা ব্লগে লেখবেন। এর সাথেই, ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানাটাও অনেক জরুরি জিনিস যদি আপনি নিজের ব্লগ টাকে successful চান।

ব্লগে কিসের ওপরে আর্টিকেল লিখবেন ? ব্লগে কি লিখবেন

যেকোনো একটি বিষিয়ে বা topic এ লিখুন ব্লগ

মনে রাখবেন নিজের ব্লগে সব সময় যেকোনো একটি (বিষয়) topic, subject, niche এর ওপরে লিখবেন। মানে, যদি আপনি education বা টেকনোলজির বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন বলে ভেবেছেন তাহলে সবসমই education বা technology বিষয়ে ব্লগে আর্টিকেল লিখবেন।

কখনোই, ব্লগে যেকোনো বিষয়ে লিখে তাকে খিচুড়ি লাবড়া বানাবেননা। এতে, আপনার ব্লগে আশা লোকেরা confused হয়ে যাবে এবং আপনার ব্লগে তারা রুচি পাবেন। এর বাইরে, যেকোনো একটি বিষয়ে বা subject এর বিষয়ে ব্লগে লিখলে গুগল সার্চ থেকে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স অনেক সহজ ভাবে পাওয়া যায়।

তাই, নিজের ব্লগে প্রথম আর্টিকেল লেখার আগেই এইটা অবশই ভেবেনিন যে আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন সেই বিষয়ে বা সেই topic এর ওপরে আপনি ভবিষতে আরো আর্টিকেল লিখতে পারবেন কি না।

উদাহরণ স্বরূপে, আপনি নিজের ব্লগে যদি Android apps এর বিষয়ে লিখছেন তাহলে ভব্যিষতের সব আর্টিকেল Android এর উপরেই লিখবেন। এতে আপনার ব্লগের subject বা topic Android থাকবে এবং এতে আপনার ব্লগে আশা ভিসিটর্স বা ট্রাফিক সব সময় আপনার আর্টিকেল এ রুচি রাখবেন।

কারণ, আপনার ব্লগে ভিসিটর্স আসছেন android এর ওপরে আর্টিকেল পড়তে। এবং, আপনি যদি তাদের android এর ওপরেই নতুন নতুন সমাধান বা knowledge দেন তাহলে তারা অবশই আপনার ব্লগে বার বার ঘুরে আসবেন।

তাই, আপনি অনেক কিছুর ওপরে নিজের ব্লগ আরম্ভ করতে পারবেন। এরকম অনেক subject, topic বা বিষয় আছে যেগুলির ওপরে আপনি অনেক কিছু নিজের ব্লগে লিখতে পারবেন।

যেমন,

  1. Android
  2. Android apps
  3. Internet
  4. Technology
  5. Blogging
  6. Educational
  7. Sports
  8. Food
  9. Story

আরো অনেক এমন লাভজনক বিষয় আছে যেগুলির বিষয়ে আপনি নিজের ব্লগে অনেক কিছুই লিখতে পারবেন। মনে রাখবেন, আপনি একটা বিষয়ে বা topic এ যতটা ভালো ভালো আর্টিকেল লিখতে থাকবেন আপনার ব্লগে মানুষ ততোটাই তীব্র গতিতে আশা শুরু করবে।

ব্লগের topic বা subject এর ওপরে জ্ঞান

মনে রাখবেন, আপনি কেবল একটি বা দুটি আর্টিকেল লিখে ব্লগ থেকে কামাই করতে পারবেননা। বা সহজ ভাবে বললে, ব্লগে একটি দুটি আর্টিকেল লিখে বসে থাকলে তাতে ভিসিটর্স বা ট্রাফিক আসবেনা। আপনি নিজের ব্লগে যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন ভেবেছেন সেই বিষয়ে ডেইলি নাহলেও সপ্তায় ৩ বা ৪ টি করে আর্টিকেল লিখতে হবে। কেবল তাহলেই আপনার ব্লগে গুগল সার্চ এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স আসবেন।

কিন্তু, এখন প্রশ্ন হলো, “আপনি একেই টপিক বা বিষয়ে এতগুলি আর্টিকেল regular কিভাবে লিখবেন? 

এটার উত্তর হলো,

নিজের লিখা বিষয়ে বা টপিক নিয়ে পুরো ভাবে জ্ঞান থাকা বা রাখা। হে, আপনি নিজের ব্লগে কেবল ওই বিষয়ে বা subject এ লিখবেন জেতার ওপরে আপনার পুরো ভাবে জ্ঞান বা knowledge থাকে। এতে আপনি নিজের জ্ঞান বা জানা subject এর বিষয়ে অনেক কিছু এক এক করে লিখতে পারবেন।

উদাহর হিসেবে, 

যদি আপনি একটি ব্লগ বানিয়েছেন তাহলে তাতে কেবল এমন আর্টিকেল লিখবেন বা এমন বিষয়ে লিখবেন যেটা আপনি অনেক ভালো করে জানেন।

যদি আপনি কম্পিউটারের বিষয়ে জানেন তাহলে কম্পিউটারের ওপরেই লিখতে থাকুন। আপনি যদি, android, মোবাইল, ইন্টারনেট বা যেকোনো বিষয়ে ভালো করে জানেন বা এর বিষয়ে অনেক কিছু লোকেদের শিখতে পারবেন তাহলেই সেই বিষয়ে ব্লগে লিখবেন।

এতে আপনার ব্লগে আশা লোকেরা বা ভিসিটিওর্স বার বার আপনার ব্লগে ঘুরে আসবেন সেই বিষয়ে কিছু নতুন শিক্ষার জন্য।

এখন আপনি অবশই বুঝেগেছেন যে নিজের ব্লকে কি লিখবেন বা কি বিষয়ে ব্লগ লিখবেন। হে আপনি ঠিক বুঝেছেন। আপনি যেকোনো বিষয়ে ব্লগ লিখতে পারবেন। কিন্তু, সেই বিষয়ে আপনার পুরো জ্ঞান থাকতে হবে এবং আপনি কেবল সেই একটি বিষয়ে ব্লগ লিখতে হবে।

তাহলে চলেন এখন আমরা আরো একটি জরুরি জিনিস মেনেনেই। নিজের ব্লগে আর্টিকেল কিভাবে লিখবেন।

ব্লগে আর্টিকেল কীভাবে লিখতে হয় বা ব্লগ লিখার নিয়ম?

একটি ব্লগ সফলভাবে আগিয়ে নিতে হলে আপনি তাতে কি লিখছেন এবং কিভাবে লিখছেন তাতে ধ্যান অবশই দেয়াটা জরুরি।  তাই আমি আপনাদের আমার নিজের ব্যক্তিগত experience (অনুভব) থেকে ৫ টি এমন নিয়ম বলবো যেগুলি একটি ব্লগে আর্টিকেল লেখার আগে আপনাদের জেনে রাখা অনেক জরুরি। সোজাভাবে বললে, এই ৫ টি হলো একটি আকর্ষণীয় ব্লগ লেখার নিয়ম।

১. Expert হিসেবে আর্টিকেল লিখুন (পুরো জ্ঞান নিয়ে )

মনে রাখবেন, আপনি যে বিষয়ে ব্লগে লিখছেন সেই বিষয়ে অনেকেই আগেথেকে ব্লগ লিখে রেখেছেন। আপনি একবার গুগল সার্চ করলেই বুঝাযাবেন যে আপনার বেচেনিয়া বিষয়ে কতটি আর্টিকেল আগেথেকেই ইন্টারনেটে লিখা হয়ে গেছে।

তাই, এখন প্রশ্ন হলো , আপনার লেখা ব্লগ মানুষে কেন পড়বেন বা সার্চ ইঞ্জিনে আপনার আর্টিকেল কেন লোকেদের দেখানো হবে ?

এটার একটি সহজ এবং সাধারণ সমাধান হলো, যাই লিখবেন expert হিসেবে লিখুন। মানে, আপনি জন বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন তার বিষয়ে ভালোকরে জেনে একটি একটি কথা detail এ লিখুন। আপনার লেখা বিষয়ে আপনার পুরো জ্ঞান থাকতে হবে।

আপনার লিখা আর্টিকেলের বিষয়ে আপনি যতটা ভালোকরে লিখতে পারবেন, যতটা detailes এ জিনিষগুলি বুঝিয়ে বলতে পারবেন ততোটাই ভিসিটর্স বা ট্রাফিক আপনার ব্লগে আসবেন। কারণ লোকেরা আপনার ব্লগে সেই বিষয়ের ওপর সবকিছুই ভালোকরে জানতে পারছেন।

উদাহরণ স্বরূপে, 

যদি আপনি “Android মোবাইল ৰূট” এর ওপর আর্টিকেল লিখছেন তাহলে লোকেরা আপনার আর্টিকেল তখন ভালো পাবে যখন আপনি মোবাইল ৰূট এর বেপারে সবটাই ভালোকরে বুঝিয়ে বলবেন। যেমন, ৰূট কাকে বলে ? ৰূট করলে কি লাভ হয় ? ৰূট কিভাবে করনে ? আরো অনেক।

এতে ইন্টারনেটে অন্যদের লেখা আর্টিকেল থেকে আপনার আর্টিকেল লোকেরা বেশি ভালো পাবেন। কারণ আপনি একটি আর্টিকেলে তাদের মনে আশা সব প্রশ্ন সমাধান দিয়ে দিচ্ছেন।

২. সোজাভাবে ব্লগ / আর্টিকেল লিখবেন

মনে রাখবেন, আপনার ব্লগে আর্টিকেল পড়তে আশা লোকেরা যদি আপনার লেখা বুঝতেই না পারে বা তাদের বুঝতে অসুবিধে হয়, তাহলে আপনার ব্লগ লেখার কোনো মানেই হয়না। এতে আপনি কখনোই সফল হতে পারবেননা।

তাই, সব সময় সহজ সরল ভাষাতে ব্লগ লেখবেন যাতে জেকেও অনেক সহজেই বুঝে নিতে পারে যে আপনি কি লিখেছেন। এর বাইরেও, এইটাও মনে রাখবেন যাতে আপনি ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ (paragraph) করে লিখুন। যত বোরো প্যারাগ্রাফ করে আপনি লিখবেন ততটাই অসুবিধে হবে আপনার লেখা আর্টিকেল পড়তে।

আপনি আমার এই আর্টিকেলটি দেখতে পারেন, আমি যতটা সম্ভব ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করে লিখেছি যাতে আপনাদের পড়তে এবং বুঝতে সুবিধে হয়। এর সাথেই, জাগায় জাগায় কমা বা প্রশ্ন ছিন্ন ব্যবহার করুন।

৩. Bold Heading, কমা, প্রশ্ন ছিন্ন ব্যবহার করুন

আপনি হয়তো আমার এই আর্টিকেলে দেখেছেন যে, আমি জাগায় জাগায় Bold heading, কমা বা প্রশ্ন ছিন্ন আদি ব্যবহার করছি। আর আপনিও অবশই নিজের লেখা আর্টিকেলে এইগুলির ব্যবহার অবশই করবেন। এতে, আর্টিকেল পড়তে এবং বুঝতে অনেক সুবিধে হয় আর search engine যেমন Google search ও এমন আর্টিকেল পছন্দ করেন।

অবশই মনে রাখবেন , আর্টিকেল লেখার সময়, একটি H1 BOLD HEADING একটি H2 BOLD HEADING এবং কয়েকটি (৩ থেকে ৪ টি) H3 বা H4 heading অবশই ব্যবহার করবেন। এতে আপনার লেখা আর্টিকেল অনেক আকর্ষণীয় এবং পড়তে সহজ হয়ে যাবে।

৪. আর্টিকেলে ছবি (images) অবশই ব্যবহার করুন

নিজের ব্লগের আর্টিকেলে ছবি (images) অবশই ব্যবহার করবেন। কিন্তু তা বলে যেকোনো ছবি নয়। আপনার আর্টিকেলের সাথে মেল্ খাওয়া (related) ছবি ব্যবহার করবেন।

মনে রাখবেন, ব্লগ আর্টিকেলে ছবি ব্যবহার করলে লোকেদের আপনার আর্টিকেল পরে অনেক ভালো লাগবে কারণ তাতে তাদের সেই বিষয়ে দেখার ও অনেক কিছু থাকবে।

আপনি যদি কোনো টিউটোরিয়াল আর্টিকেল লিখছেন যেমন, “ব্লগ কিভাবে বানাতে হয় বা অনলাইন শপিং কিভাবে করবেন” তাহলে তাতে যদি আপনি ছবি ব্যবহার করে বুঝিয়ে লিখেন তাহলে আপনার লেখা আর্টিকেল জেকেও অনেক সহজে বুঝতে পারবেন। একটা ছবি আমাদের অনেক কিছুই বুঝিয়ে দিতে পারে।

তাই, যতটা সম্ভব আর্টিকেলে ছবি বা স্ক্রিনশট ব্যবহার করবেন।

৫. Regular ব্লগে আর্টিকেল লিখবেন

নিজের ব্লগে রেগুলার (regular) কমেও সপ্তাহে ৩ বা ৪ টি করে আর্টিকেল লিখে পোস্ট করবেন। এইটা অনেকেই জানেনা যে regular ব্লগে না লিখলে Google search থেকে ফ্রি ভিসিটর্স বা ট্রাফিক পাওয়ার সুযোগ হারাতে হয়। কারণ, Google চায় আপনি আপনার ব্লগে নতুন নতুন আর্টিকেল লিখে পোস্ট করতে থাকুন কমেও ৩ টি করে সপ্তাহে।

গুগল সার্চ এর সোজা কথা, যেগুলি ব্লগ ঘনে ঘনে আর্টিকেল লিখে নিজের ব্লগ কে regualr update করেন সেগুলিকে বেশি চে বেশি ভিসিটর্স বা ট্রাফিক দিতে কোনো দশ নেই। তাই, যদি আপনি নিজের ব্লগে google search থেকে ফ্রি traffic বা visitors পেতে চান, তাহলে নিজের ব্লগ regular update করবেন তাতে নতুন আর্টিকেল লিখে।

ব্লগে regular নতুন নতুন আর্টিকেল লিখলে কেবল Google search এ নয়, কিন্তু আপনার ব্লগে আশা প্রত্তেকজন লোকেরা আপনার ব্লগে এসে ভালো পাবেন।

এর কারণ অনেক সোজা, আপনি যখন নতুন নতুন আর্টিকেল ব্লগে continue বা regular লিখবেন তখন আপনার ব্লগে আশা ভিসিটর্সরাও সব সময় কিছু নতুন জিনিস পড়তে এবং জানতে পারবেন। ফলে, ব্লগে আশা আভিসিটর্সরা বার বার আপনার ব্লগে ঘুরে আসবেন কিছু নতুন জানার উদ্দেশে।

ব্লগিং করে আয় করার উপায়? (Best ways to earn money from Blogging)

একটি ব্লগ সাইট থেকে আয় করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। তবে এখানে আমি সবচেয়ে সহজ এবং ভালো কয়েকটি উপায় সম্পর্কে আপনাদের বলবো।

ব্লগ থেকে টাকা আয় এর তিনটি উপায় সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হবে। উপায়গুলো হলো: গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে, এফিলিয়েট মার্কেটিং করে এবং প্রডাক্ট প্রমোট করে।

চলেন উপরোক্ত তিনটি প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

১. গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা আয়

একটি ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব যাই বলেন না কেন এইসব প্ল্যাটফর্ম থেকে টাকা আয় করার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হচ্ছে গুগলের এডসেন্স।

অ্যাডসেন্সে বিভিন্ন ধরনের এড দেওয়া যায় সেটা হতে পারে টেক্সট অ্যাড, ইমেজ অ্যাড কিংবা লিংক অ্যাড।

আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব এ যখন গুগল এডসেন্স একটিভ করা হবে তখন গুগল অ্যাডসেন্স দ্বারা আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ সাইটে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। বিজ্ঞাপন গুলিতে যখন কেউ ক্লিক করবে তখন আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে কিছু পরিমাণ টাকা জমা হবে।

আপনার আপনার ব্লগ সাইটে ভিজিটর যত পারবে আপনি তত বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। প্রথম প্রথম অ্যাডে ক্লিক কিছুটা কম আসবে কিন্তু যখন অডিয়েন্স বেড়ে যাবে অর্থাৎ আপনার প্রচুর পরিমাণ ট্রাফিক আসবে তখন অ্যাড ক্লিক এর পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে এবং দিন দিন তা বাড়তেই থাকবে।

আপনার এডসেন্স একাউন্টে 100 ডলার জমা হলে এডসেন্স কর্তৃক তা আপনার ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আয় করতে চাইলে আপনার ব্লগে ট্রাফিক বা ভিজিটর বেশি হতে হবে। যত বেশি ভিজিটর ততবেশি টাকা।

তাই আপনাকে যাওয়ার আগে যেটা ভাবতে হবে সেটা হচ্ছে কিভাবে আপনার ব্লগ সাইটে প্রতিনিয়ত ভিজিটর সংখ্যা বাড়ানো যায়।

২. এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

ব্লগিং করে আয় করার ক্ষেত্রে গুগল এডসেন্স এর পর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং।

এখন প্রশ্ন আসে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে করা যায়?

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? 
এফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক সহজ একটা টার্ম। এটার মানে হচ্ছে যে, আপনি অন্যের বিজনেস বা প্রোডাক্ট প্রমোট করে দিবেন সেখান থেকে আপনি কিছু টাকা কমিশন হিসেবে পাবেন।

অনলাইনে এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং সাপোর্ট করে। অর্থাৎ আপনি তাদের প্রডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে আপনার ব্লগে লিখবেন বা প্রচার করবেন। সেখান থেকে যদি কেউ ওই প্রোডাক্ট কিনে তবে আপনি সেখান থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন।

এটিই মূলত এফিলিয়েট মার্কেটিং।

অনলাইনের অনেক নামিদামি স্টোর যেমন, অ্যামাজনফ্লিপকার্ট এবং এছাড়া আরো অনেক অনেক কোম্পানি আছে তাদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট আপনার ব্লগে পোস্ট করতে হবে।

এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর এড গুলো বিভিন্ন এফিলিয়েট লিংক দ্বারা ব্লগে পোস্ট করা হয়। আপনি যদি ওই অনলাইন স্টোরগুলোতে অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট খুলেন তবে আপনাকেও একটি এফিলিয়েট লিংক দেওয়া হবে।

এরপর আপনার এফিলিয়েট লিংক থেকে যদি কেউ কিছু কিনে তাহলে সেই প্রত্যেকটি পণ্যের উপর আপনি নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন পাবেন। এভাবে আপনি আপনার ব্লগে বিভিন্ন এফিলিয়েট লিংক পাবলিশ করে অনেক কমিশন পেতে পারেন।

৩. Local product promote করে টাকা আয় করুন

গুগল অ্যাডসেন্স এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ছাড়াও আরেকটি ভালো উপায় আছে টাকায় করার। সেটি হল লোকাল প্রোডাক্ট প্রমোটিং।

তবে এটা তখনই সম্ভব হবে যখন আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমান ভিজিটর আসতে থাকবে।

লোকাল প্রোডাক্ট ফরমেট করার ক্ষেত্রে আপনাকে দোকানের মালিক বা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ম্যানেজারদের সাথে কথা বলতে হবে।

যদি আপনার ওয়েবসাইটে অনেক বেশি ট্রাফিক থাকে তাহলে তারা আপনাকে এড দিতে আপত্তি করবে না এবং ভালো পরিমাণ টাকা আপনাকে দিবে।

আপনি জানেন কিনা জানি না, বর্তমানে লোকাল দোকান থেকে শুরু করে প্রায় সবাই অনলাইন অ্যাডভার্টাইজমেন্ট কে অনেক লাভজনক মনে করে। তাই তারা অনলাইনে এড দিতে আগ্রহী হয়।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x