পদ কাকে বলে? পদ কত প্রকার ও কি কি?
আজ আমরা পদ কাকে বলে? পদের শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। তো চলুন শুরু করি।
পদ কাকে বলে?
বাক্যে ব্যবহৃত বিভক্তযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে পদ বলে। এক কথায় বলা যায়, বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যকটি শব্দই একেকটি পদ। যেমন – মানুষ, তাঁরা, জন্য, আকাশ ইত্যাদি।
পদের প্রকারভেদ / শ্রেণীবিভাগ
পদ প্রধানত ২ প্রকার। যথাঃ-
- সব্যয় পদ
- অব্যয় পদ
সব্যয় পদ আবার ৪ প্রকার। এগুলো হলো –
বিশেষ্য
- বিশেষ্য
- বিশেষণ
- সর্বনাম
- ক্রিয়া
বাক্যমধ্যে ব্যবহৃত যে সমস্ত পদ দ্বারা কোন ব্যাক্তি, বস্তু,স্থান, জাতি,কাল,ভাব ইত্যাদি নাম বোঝানো হয়, তাদের বিশেষ্য পদ বলে। ইফাদ, ঢাকা, নদী,গীতাঞ্জলি, চাল ইত্যাদি।
বিশেষণ
যে পদ দ্বারা বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের দোষ, গুণ,অবস্থা, সংখ্যা,পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণ পদ বলে। যেমন – নীল আকাশ।, দক্ষ কারিগর।,বেলে মাটি।
সর্বনাম
বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহৃত হয় তাকে সর্বনাম পদ বলে। যেমন – আমি, আমরা, ঐ,কেহ,অন্য,পর ইত্যাদি।
অব্যয়
ন ব্যয় = অব্যয়। যার ব্যয় বা পরিবর্তন হয় না, অর্থাৎ, যা অপরিবর্তনীয় শব্দ তাই অব্যয়।
যে পদ সর্বদা অপরিবর্তনীয় থেকে কখনো বাক্যের শোভাবর্ধন করে,কখনো একাধিক পদের, বাক্যাংশের বা বাক্যের সংযোগ বা বিয়োগ সম্বদ্ধ ঘটায়, তাকে অব্যয় পদ বলে। যেমন – আর, আবার, ও, এবং,কিন্তু ইত্যাদি।
ক্রিয়া
যার দ্বারা কোন কার্য সম্পাদন করা বোঝায়, তাকে ক্রিয়া বলে। যেমন – খাই, যাই,খান ইত্যাদি।
তাহলে আজ এখানেই শেষ করছি। শব্দ কাকে বলে এবং শব্দের প্রকারভেদ সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্টে প্রশ্ন করুন অথবা আমাদের ফেইসবুক পেইজে মেসেজ দিন। আমরা উত্তর দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আর আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।