ইন্টারনেট (Internet) কি? শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা
Internet শব্দটির অর্থ আন্তঃজাল, যা মূলত Inter অর্থ আন্তঃ এবং Net অর্থ জাল এর সমন্বয়ে গঠিত। আমরা প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য পেয়ে থাকি। কখনও ইন্টারনেট থেকে ছবি, কখনও গান, কখনও ভিডিও ডাউনলোড করি। মোট কথা বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট আমাদের জরুরি বিষয়ের মধ্যে অন্যতম।
ইন্টারনেটের ইতিহাস পর্যালােচনা করলে দেখা যায় যে ARPANET নামক প্রকল্পের মাধ্যমে এর মূল রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সংস্থার নাম ARPA (Advanced Research Project Agency) এই সংস্থার প্রধান কাজ ছিল মার্কিন সামরিক বাহিনীর ব্যবহারের জন্য নিত্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা। ১৯৫৭ সালে সােভিয়েত রাশিয়া কর্তৃক প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করার প্রতিক্রিয়া হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সংস্থা গঠন করে।
এই সংস্থার বিজ্ঞানীরা নিজেদের মধ্যে তথ্যের লেনদেনের জন্য যে ARPANET প্রকল্প তৈরী করে এরই ক্রম বিবর্তনের ফসল আজকের ইন্টারনেট। বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেট হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিপ্লব। ইন্টারনেট হচ্ছে একটি কম্পিউটার নির্ভর নেটওয়ার্কিং সিস্টেম তাই কম্পিউটারের বহুমুখী ব্যবহারের উপর ইন্টারনেটের ব্যবহার নির্ভর করে। কেবলমাত্র তথ্যের আদান-প্রদান করার জন্য ইন্টারনেটের জন্ম হলেও যতই দিন যাচ্ছে ইন্টারনেটের ব্যবহারের বহুমূখীতা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জীবনের বিভিন্নক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার বিস্তৃত হচ্ছে, কেবলমাত্র গবেষণা কর্ম বা সরকারী কর্মকান্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য ইন্টারনেট এখন উন্মুক্ত।
ইন্টারনেটের প্রকারভেদ
সাধারণত দুভাবে ইন্টারনেটের গ্রাহক হওয়া যায়। প্রথমটির নাম অন-লাইন (On Line) আর দ্বিতীয়টি হলো অফ-লাইন (Off Line) ইন্টারনেট, যা ই-মেইল নামে পরিচিত।
শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা
শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা হলো–
- ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য সার্চ দিয়ে মুহূর্তের মধ্যে পেয়ে যায়।
- NCTB প্রণীত বইগুলো হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে যেকোনো শিক্ষার্থী ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারে।
- শিক্ষা সহায়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু ভালোভাবে বোঝা যায়।