বাংলাদেশে শিল্প আইন বা কারখানা আইন অনুযায়ী যে কারখানায় ২০ জনের বেশি কিন্তু ২৩০ জনের কম শ্রমিক নিয়ােজিত আছে তাকে মাঝারি শিল্প বলে। মাঝারি শিল্প মূলত: বৃহৎ ও ক্ষুদ্রশিল্পের মাঝামাঝি অবস্থান করে। মাঝারি শিল্প, বৃহৎ শিল্পের ন্যায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তবে মূলধন তুলনামূলক ভাবে বৃহৎ শিল্প অপেক্ষা কম ব্যবহার করে। বাংলাদেশে বহু সংখ্যক মাঝারি শিল্প গড়ে উঠেছে এবং উঠছে। এর মধ্যে উল্লেখযােগ্য হলাে চামড়া শিল্প, সিগারেট শিল্প, সাবনশিল্প, দিয়াশলাই শিল্প ইত্যাদি।
শিল্পায়ন বলতে কি বুঝায়?
শিল্পায়ন বলতে এমন একটি প্রক্রিয়াকে বোঝায়, যার মাধ্যমে কৃষি ও হস্তশিল্পভিত্তিক অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থা, যান্ত্রিক শিল্পভিত্তিক ও উৎপাদনমুখী অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়।
কোন গুলো মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান?
মাঝারি শিল্প কাকে বলে, তা আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছি। তো নিচের তালিকায় আপনি যে সকল প্রোডাক্ট এর নাম দেখতে পাচ্ছেন। সেই প্রোডাক্ট যে কোম্পানি বা শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরি করে। সেই প্রতিষ্ঠান গুলো কে আমরা মাঝারি শিল্প বলবো। যেমন,
- দিয়াশলাই একটি মাঝারি শিল্প,
- বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত সিগারেট একটি মাঝারি শিল্প,
- সাবান তৈরির প্রতিষ্ঠান,
- চামড়া শিল্প (বিলুপ্তির পথে)
তো বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে। যে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলোকে মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বলা যাবে। আপনি উপরের তালিকা তে সেই প্রতিষ্ঠান গুলোর নাম দেখতে পাচ্ছেন। তবে উপরে যে প্রোডাক্ট এর তালিকা দেওয়া হয়েছে। এগুলো ছাড়াও মাঝারি শিল্প এর আরো অনেক ধরনের প্রডাক্ট রয়েছে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বৈশিষ্ট্য কি?
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন, এই ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান শুরু করার জন্য বৃহৎ শিল্পের তুলনায় অনেক কম মূলধন দরকার হয়। আর এই ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে আয় করা সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও আপনি যদি ক্ষুদ্র কিংবা মাঝারি শিল্প শুরু করেন। তাহলে আপনি অধিক কর্মসংস্থান এর সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবেন।
বৃহৎ শিল্প কাকে বলে?
সহজ কথায় যে সকল শিল্পের মধ্যে বিপুল পরিমান পুঁজির প্রয়োজন হয়। এবং যে সকল প্রতিষ্ঠান করার জন্য প্রচুর পরিমান জনবল কাজ করে। সেই ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান কে বলা হয়, বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান। কেননা, বৃহৎ প্রতিষ্ঠান গুলোকে অনেক উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচালনা করতে হয়।
আর বর্তমান সময়ে বেশ কিছু প্রোডাক্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কে বৃহৎ শিল্প হিসেবে নির্ধারন করা হয়। যেমন,
- আমাদের দেশে চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গুলো হলো, বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান।
- সিমেন্ট শিল্প কে বৃহৎ শিল্প হিসেবে নির্ধারন করা হয়।
- ওষুধ শিল্পকে বৃহৎ শিল্প বলা হয়।
- কীটনাশক বা সার শিল্প হলো,বৃহৎ শিল্প।
আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে যে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান। উপরে উল্লেখিত প্রোডাক্ট উৎপাদন এর কাজ করে। সেই প্রতিষ্ঠান গুলোকে বলা হয়, বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান।
মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছুকথা
আজকে মাঝারি শিল্প কাকে বলে – তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি, মাঝারি শিল্প কাকে বলে তা আপনি পরিস্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন। তো আপনি যদি এই ধরনের অজানা বিষয় গুলো খুব সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।