ক্ষুদ্র ব্যবসা কাকে বলে? ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের সুবিধা ও অসুবিধা কি?
অপেক্ষাকৃত কম পুঁজি বিনিয়োগ করে ক্ষুদ্র পরিসরে পণ্যদ্রব্য বা সেবাকর্ম উৎপাদন অথবা বিভিন্ন উৎপাদনকারী বা মধ্যস্থ ব্যবসায়ীর নিকট হতে পণ্যদ্রব্য ও সেবা সামগ্রী ক্রয় করে তা ব্যবহারকারীর নিকট বিক্রয় কার্যে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানসমূহকে ক্ষুদ্র ব্যবসা বলে। যেমন— কুটির শিল্প এক মালিকানা খুচরা ব্যবসায়। বাংলাদেশে সরকারিভাবে স্বল্প পুঁজি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩ কোটি টাকা বিনিয়োগকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষুদ্র ব্যবসা বলে গণ্য করা হয়।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের সুবিধা
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ব্যক্তিগত, সামাজিক, পারিবারিক ও পেশাগত কতকগুলো সুবিধা রয়েছে। নিচে তা আলোচনা করা হলো:
১. ব্যক্তিগত সুবিধা :
- ক্ষুদ্র ব্যবসায়ে ব্যক্তিগত কৃতিত্ব লাভ ও প্রদর্শনের এবং সকল দক্ষতা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
- এতে নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং কৌশল উদ্ভাবন ও প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে।
- এতে দায়িত্ববান হওয়ার সুযোগ বেশি।
- বিনিয়োগ ও সম্পদ বৃদ্ধির সুবিধা।
- ব্যবস্থাপনার উপর নিয়ন্ত্রণের সুবিধা।
- সমাজে ব্যক্তিগত সুনাম বৃদ্ধি।
- সমাজের বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।
- ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা হ্রাস।
- দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে উপস্থাপনের সুবিধা।
- ব্যবসায়ের স্বার্থে পরিবারের সবাই একসাথে কাজ করার সম্ভাবনা থাকে।
- পরিবারের সদস্যরা ব্যবসায়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
- প্রয়োজনে পরিবারের সম্পদ ব্যবসায়ের কাজে নিয়োগ করা যায়।
- ব্যবসায়ের সাফল্যে পরিবারের সুনাম বৃদ্ধি পায়৷
৪. পেশাগত সুবিধা :
- অধিকতর পেশাগত উন্নতির সম্ভাবনা থাকে।
- কর্মক্ষমতার কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হয়।
- অধিকতর পরিপূর্ণ ও সামঞ্জস্যপূর্ণ গুণাবলি অর্জন করা যায়।
- সুনামহানির সম্ভাবনা থাকে।
- ব্যর্থতার কারণে আর্থিক অপচয় হওয়ার ভয় থাকে।
- ব্যক্তিগত আরাম-আয়েশ থেকে বঞ্চিত হয়।
- আত্মবিশ্বাস লোপ পেতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিশ্রম স্বাস্থ্যহানি ঘটায়।
- সময় অপচয়ের সম্ভাবনা থাকে।
- ব্যর্থতার কারণে সামাজিক মর্যাদা হ্রাস।
- প্রাতিষ্ঠানিক নির্বাহী হওয়ার সুযোগ হতে বঞ্চিত।
- ব্যবসায়ী মহলের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের সুযোগ কম।
- প্রাতিষ্ঠানিক সঞ্চয় হতে বঞ্চিত।