ইতিহাস বলতে কি বুঝ? ইতিহাসের প্রকারভেদ।
ইতিহাস’ শব্দটির উৎপত্তি ‘ইতিহ’ শব্দ থেকে। যার অর্থ ‘ঐতিহ্য‘। ঐতিহ্য হচ্ছে অতীতের অভ্যাস, শিক্ষা, ভাষা, শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতি যা ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এই ঐতিহ্যকে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয় ইতিহাস। ই, এইচ, কার-এর ভাষায় বলা যায়, ইতিহাস হলাে বর্তমান ও অতীতের মধ্যে এক অন্তহীন সংলাপ।
ইতিহাসের প্রকারভেদ
মানব সমাজ সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন বিষয়ের ইতিহাস লেখা হচ্ছে। ফলে সম্প্রসারিত হচ্ছে ইতিহাসের পরিসর। ইতিহাস বিরামহীনভাবে অতীতের ঘটনা বর্তমান প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়। সেক্ষেত্রে ইতিহাসকে বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত করা কঠিন। তাছাড়া ইতিহাসের বিষয়বস্তুতে মানুষ, মানুষের সমাজ, সভ্যতা ও জীবনধারা পরস্পর সম্পৃক্ত এবং পরিপূরক। তারপরও পঠন-পাঠন, আলােচনা ও গবেষণাকর্মের সুবিধার্থে ইতিহাসকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ভৌগােলিক অবস্থানগত ও বিষয়বস্তুগত ইতিহাস।
১. ভৌগােলিক অবস্থানগত দিক বা ভৌগােলিক অবস্থানগত ইতিহাস : যে বিষয়টি ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। তা কোন প্রেক্ষাপটে রচিত স্থানীয়, জাতীয় না আন্তর্জাতিক? এভাবে ভৌগােলিক অবস্থানগত দিক থেকে শুধু বােঝার সুবিধার্থে ইতিহাসকে আবারও তিন ভাগে ভাগ করা যায় যথা- স্থানীয় বা আঞ্চলিক ইতিহাস, জাতীয় ইতিহাস ও আন্তর্জাতিক ইতিহাস।
২. বিষয়বস্তুগত ইতিহাস : কোনাে বিশেষ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে যে ইতিহাস রচিত হয়, তাকে বিষয়বস্তুগত ইতিহাস বলা হয়। ইতিহাসের বিষয়বস্তুর পরিসর ব্যাপক। তবু সাধারণভাবে একে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- রাজনৈতিক ইতিহাস, সামাজিক ইতিহাস, অর্থনৈতিক ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ইতিহাস ও সাম্প্রতিক ইতিহাস।