যে অবরোহ অনুমানের ক্ষেত্রে কেবল একটা আশ্রয়বাক্য থেকে অনিবার্যভাবে সিদ্ধান্ত অনুমিত হয় তাকে অমাধ্যম অনুমান বলে।
অমাধ্যম অনুমানের বৈশিষ্ট্য
১) অমাধ্যম অনুমানের ক্ষেত্রে কেবল একটা আশ্রয়বাক্য থাকে।
২) এর আশ্রয়বাক্য থেকে সরাসরি সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয়।
৩) এর আশ্রয়বাক্যের পদ দুটি অপরিবর্তিত বা পরিবর্তিত হয়ে সিদ্ধান্তে অবস্থান করে।
৪) এর আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের মাঝে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক থাকে।
৫) এর সিদ্ধান্ত অবিবার্যরূপে আশ্রয়বাক্য থেকে নিঃসৃত হয়।
৬) এর সিদ্ধান্ত আশ্রয়বাক্যের তুলনায় ব্যাপকতর হতে পারে না।
৭) এর সিদ্ধান্তের সত্যতা আশ্রয়বাক্যের সত্যতা দ্বারা নির্ধারিত হয়।
যুক্তিবিদ ওয়েল্টন, অমাধ্যম অনুমান প্রকৃত অনুমান মনেকরেন কেন?
যুক্তিবিদ ওয়েল্টন মনে করেন, অমাধ্যম অনুমান প্রকৃত অনুমান। মিল ও বেন অমাধ্যম অনুমানকে প্রকৃত অনুমান বলতে অস্বীকার করেন। কারণ এখানে একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি ঘটে। কিন্তু ওয়েল্টন মনে করেন, সব অনুমানেই সিদ্ধান্ত আশ্রয়বাক্য থেকে নির্গত হয়। অর্থাৎ কোনো সিদ্ধান্তই সম্পূর্ণ নতুন সত্য আবিষ্কার করে না। অমাধ্যম অনুমানে আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া খুব সংকীর্ণ হলেও এতে নতুন করে একটি বিষয় স্পষ্ট করা হয়। তাই এটার গুরুত্ব কম হলেও একে অনুমান বলতে অস্বীকার করা ঠিক নয়।
অমাধ্যম অনুমানের শ্রেণিবিভাগ
অমাধ্যম অনুমানকে মোট নয় প্রকারে ভাগ করা যেতে পারে। যথা –
১) আবর্তন
২) প্রতিবর্তন
৩) আবর্তিত প্রতিবর্তন
৪) অন্তরাবর্তন
৫) বিরোধানুমান
৬) সম্বন্ধের পরিবর্তনের সাহায্য অনুমান
৭) নিশ্চয়তাঘটিত অনুমান
৮) জটিল ধারণা যোগান্তক অনুমান
৯) জটিল যোগান্তক অনুমান
উপরে উল্লিখিত নয় প্রকারের মধ্যে প্রথম চার প্রকারের অমাধ্যম অনুমানকে নিষ্কাশন বলে।