মৌলিক গ্যাস কাকে বলে? এবং আরও প্রশ্ন ও উত্তর
নিস্ক্রিয় গ্যাস ছাড়া অন্যান্য দ্বি-পরমাণুক গ্যাসগুলোকে মৌলিক গ্যাস বলা হয়। যেমন : অক্সিজেন (O2), নাইট্রোজেন (N2), ক্লোরিন (Cl2), ফ্লোরিন (F2), হাইড্রোজেন (H2)।
রসায়ন (Chemistry) বিষয়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১। শহরের বায়ুতে কার্বন ডাই-অক্সাইড বেশি থাকে কেন?
উত্তরঃ শহরের বায়ুতে কার্বন ডাই-অক্সাইড বেশি থাকার কারণ–
১. শহরে জনবসতি ঘন।
২. গাছপালা কম থাকে।
৩. যানবাহন ও কলকারখানায় জ্বালানি পুড়ে অধিক কার্বন ডাই-অক্সাইড তৈরি করে।
প্রশ্ন-২। ইমালশন কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ ইমালশন দুই প্রকার। যথা:- (ক) পানিতে তেল ইমালশন এবং (খ) তেলে পানি ইমালশন।
প্রশ্ন-৩। ইমালসিফায়ার বা অবদ্রবকারক কাকে বলে?
উত্তরঃ ইমালশনকে স্থায়ী করা খুব কঠিন কাজ। সমধর্মের অণুগুলি জোড় বেঁধে ইমালশন থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। যা ইমালশনকে স্থায়িত্ব প্রদান করে তাকে ইমালসিফায়ার বা অবদ্রবকারক বলে। যেমন: লেসিথিন, সোডিয়াম ফসফেট, সোডিয়াম স্টেরয়েল ল্যাক্টাইলেট, পলিগ্লিসারিল ওলিয়েট ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৪। গ্যাসোহোল (Gasohol) কি?
উত্তর : পেট্রোলের সাথে 10-20% ইথানল মিশ্রিত করে যে জ্বালানি তৈরি করা হয় তাকে Gasohol বলে।
প্রশ্ন-৫। স্লেকেড লাইম কি?
উত্তরঃ স্লেকেড লাইম হল ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড। এটি একটি অজৈব রাসায়নিক যৌগ, যার সংকেত Ca(OH)2। একে কলিচুন বলে।
প্রশ্ন-৬। ইমালশন বা অবদ্রব কাকে বলে?
উত্তরঃ যখন দুটি তরল, একটি ধ্রুবীয় অপরটি অধ্রুবীয়, যদি পরষ্পর মিশে গিয়ে কলয়েড তৈরী করে তখন তাকে ইমালশন বলে। যেমন, দুধ, মাখন, মেয়োনিজ, মার্জারিন প্রভৃতি। বাংলায় এর নাম অবদ্রব।
প্রশ্ন-৭। পারমাণবিক ভর বা ওজন কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফলকে পারমাণবিক ভর বা ওজন বলে। পারমাণবিক ভর বা ওজন = প্রোটন সংখ্যা + নিউট্রন সংখ্যা।
প্রশ্ন-৮। ক্রিস্টালাইন কি? ক্রিস্টালাইন এর উদাহরণ
উত্তরঃ যেসব সমসত্ত্ব কঠিন পদার্থের সমতল পিঠ আছে, সুনির্দিষ্ট ও সুষম জ্যামিতিক আকার আছে, সমতল পিঠগুলো সব সময় নির্দিষ্ট কোণে পরস্পরকে যুক্ত করে তাদেরকে ক্রিস্টালাইন বা স্ফটিক বলা হয়। যেমন– তুঁতে (CuSO4.5H2O)।
প্রশ্ন-৯। বিজারণ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু বা আয়ন এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ করে এবং এর ফলে সংশ্লিষ্ট পরমাণু বা আয়নের ঋণাত্মক চার্জ বৃদ্ধি বা ধনাত্মক চার্জ হ্রাস পায়, তাকে বিজারণ বলে।
প্রশ্ন-১০। স্বর্ণকে দীর্ঘদিন মাটির নিচে পুঁতে রাখলেও কোনোরূপ পরিবর্তন হয় না কেন?
উত্তরঃ স্বর্ণকে দীর্ঘদিন মাটির নিচে রাখলে কোনোরূপ পরিবর্তন হয় না। কারণ, স্বর্ণ (Au) ধাতুর সক্রিয়তা সিরিজের সবচেয়ে নিচের ধাতু। এর সক্রিয়তা একেবারেই নেই বললেই চলে। ফলে এটি পরিবেশের কোনো উপাদান দ্বারা আক্রান্ত হয় না। ফলে স্বর্ণের কোনোরূপ পরিবর্তনও ঘটে না।