কম্পিউটারের কাজ করার জন্য নিজস্ব কোন বুদ্ধি নাই। কম্পিউটারকে কাজ করার জন্য যে সমস্ত তথ্য দেয়া হয় তা তার মেমোরিতে সেভ করে রাখে এবং পরবর্তীতে নির্দেশ অনুযায়ী সেই সমস্ত তথ্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে নির্ভূলভাবে উপস্থাপন করে থাকে। যে তথ্য বা ডাটা কাজ করার জন্য কম্পিউটারে দেয়া হয় সেই কাজটিকে বলা হয় কম্পিউটারে ইনপুট (Input) দেয়া। ইনপুট দেয়ার পর কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ অংশ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে যে ফলাফল উপস্থাপন করে তাকে বলে আউটপুট (Output)। নিচে চিত্রের মাধ্যমে কম্পিউটারের কাজ করার পদ্ধতি দেখানো হলো।
চিত্রের স্মৃতি অংশ, নিয়ন্ত্রণ অংশ এবং গাণিতিক/যুক্তি অংশ-এই তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত কম্পিউটারের কেন্দ্রিয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ (Central Processing Unit)। একে সংক্ষেপে সিপিইউ (CPU) বলা হয়। এই অংশেই কম্পিউটারের সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রিত হয়। এটি অত্যন্ত জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই অংশ কম্পিউটারের মস্তিষ্ক স্বরূপ। ইনপুট অংশের মাধ্যমে প্রােগ্রাম বা তথ্যকে কম্পিউটারের সিপিইউতে পাঠানাে হয়। ইনপুট অংশটি প্রােগ্রাম বা তথ্যকে বৈদ্যুতিক তরঙ্গে রূপান্তরিত করার পর সংরক্ষণের জন্য স্মৃতি অংশে পাঠায়। গাণিতিক/যুক্তি অংশে প্রক্রিয়াকরণের জন্য গাণিতিক, যুক্তি ও সিদ্ধান্তমূলক কাজ সংগঠিত হয়। এই অংশটি কখন কি ধরনের কাজ করবে নিয়ন্ত্রণ অংশ নির্দিষ্ট করে দেয়। যেহেতু কম্পিউটার একটি প্রােগ্রাম নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র অতএব নিয়ন্ত্রণ অংশ প্রােগ্রামের নির্দেশ সমূহকে একটির পর একটি অনুধাবনের পর নির্বাহ করে। এই অংশ কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের কাজের সমন্বয় সাধন করে। সিপিইউ-তে সমস্ত কাজ প্রক্রিয়াকরণের পর আমাদের জন্য অনুধাবনযােগ্য ফলাফল আউটপুট অংশে উপস্থাপিত হয়। যে সমস্ত যন্ত্র কম্পিউটারে তথ্য বা ইনপুট দেবার জন্য ব্যবহৃত হয়, তাদেরকে বলা হয় ইনপুট ডিভাইস (Inpute Device)। যেমন কী-বাের্ড, মাউস ইত্যাদি। যে সমস্ত যন্ত্রের সাহায্যে কম্পিউটারের কাজের ফলাফল প্রদর্শিত হয় সেই সব যন্ত্রকে বলা হয় আউটপুট ডিভাইস (Output Device)। যেমন মনিটর, প্রিন্টার ইত্যাদি। এই সমস্ত যন্ত্রপাতি ক্যাবল (Cable) বা তারের সাহায্যে কম্পিউটারের সিপিইউ-এর সঙ্গে যুক্ত থাকে।