MICR এর পূর্ণ রূপ Magnetic Ink Character Recognition। যে মেশিন MICR লেখা পড়তে পারে তাকে MICR Reader বলে। চৌম্বক কালি বা ফেরােসােফেরিক অক্সাইডযুক্ত কালির সাহায্যে MICR লেখা হয়। এই কালিতে লেখা কাগজ শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্রে রাখলে কালির ফেরােসােফেরিক অক্সাইড চুম্বকে পরিণত হয়। এরপর এই বর্ণচুম্বকগুলাে তাড়িৎ চৌম্বকীয় আবেশের দ্বারা তড়িৎপ্রবাহ উৎপন্ন করে।
এই আবিষ্ট তড়িৎপ্রবাহের মান থেকে কোন বর্ণ পড়া হচ্ছে কম্পিউটার তা বুঝতে পারে ও সঞ্চিত রাখে। এই পদ্ধতিতে ব্যাংকের চেকের চেক নম্বর লেখা ও পড়া হয়। উন্নত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় গ্রাহকদের হিসাব নম্বর, জমা রাখা টাকার পরিমাণ, সুদের হিসাব ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে কম্পিউটারের সাথে এমআইসিআর ব্যবহার করা হয়। কোন কোন ব্যাংক গ্রাহককে প্লাস্টিক আইডেন্টিটি কার্ড ইস্যু করে থাকে। কার্ডটি ব্যাংক কাউন্টারে ইনপুট করে টাকা উত্তোলন করা সম্ভব। এতে কোন ব্যাংকে কর্মীর প্রয়ােজন হয় না। কিছু কিছু ব্যাংকে গ্রাহকদের একাউন্ট নম্বর ও সিগনেচার যাচাইয়ের জন্য এমআইসিআর ব্যবহার করা হয়।
এমআইসিআর এর সুবিধা
- এটি খুব সহজেই অক্ষরগুলো পড়তে পারে।
- এমআইসিআর সিস্টেম খুবই উঁচ স্তরের নিরাপত্তা প্রদান করে।
- অন্যান্য ক্যারেক্টার রিকগনিশন সিস্টেমের চাইতে এমআইসিআর এর ক্যারেক্টার রিডিংয়ের ক্ষেত্রে ভুলের পরিমাণ অতি কম থাকে।
- এর দক্ষতা বেশি।
এমআইসিআর এর অসুবিধা
- এর দাম বোশি ও খুবই ব্যয়বহুল।
- শুধু নির্দিষ্ট ফরমেটে লেখা MICR ফন্টগুলােকেই চিনতে পারে।
- ক্যারেক্টার ফন্টকে অবশ্যই ANSI রিকয়ারমেন্ট পূরণ করতে হয়।
- এর ক্যারেক্টারগুলাে ১০ ডিজিট ও ৮টি বিশেষ ক্যারেক্টারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
- MICR প্রিন্টারগুলােতে ব্যবহৃত কার্ট্রিজ এর মূল্য তুলনামূলকভাবে বেশি।