ল্যাটিন শব্দ Foris থেকে ইংরেজি Forest শব্দটি এসেছে, যার বাংলা প্রতিশব্দ হলো বন। এর অভিধানিক অর্থ হলো বাইরে। লোকালয়ের বাইরে মিশ্র গাছপালা দিয়ে আচ্ছাদিত বিস্তৃত এলাকাকে বন বলে।
প্রকারভেদ : বন সাধারণত দুই প্রকার। সেগুলো হলো–
১. প্রাকৃতিক বন : যেমন – সুন্দরবন
২. কৃত্রিম বন : যেমন- উপকূলীয় এলাকার কেওড়াবন।
পাহাড়ি বন ও সামাজিক বনের মধ্যে পার্থক্য কি?
পাহাড়ি বন ও সামাজিক বনের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হলো–
পাহাড়ি বন
- পাহাড়ি বন মানুষ তৈরি করেনি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে।
- পাহাড়ি বনের গাছসমূহ কাঠ জাতীয়।
- বনে হিংস্র পশুপাখিসহ অন্যান্য পশুপাখি বাস করে।
- পাহাড়ি বন দেশের পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে দেখা যায়।
- গাছপালার মধ্যে সেগুন, মেহগনি, তেলসুর, গর্জন, চাপালিশ অন্যতম।
সামাজিক বন
- সামাজিক বন মানুষ তৈরি করেছে।
- সামাজিক বনের গাছসমূহ অধিকাংশই ফল জাতীয়।
- সামাজিক বনে সাধারণ পাখি দেখা গেলেও কোনো পশু দেখা যায় না।
- সামাজিক বন এ দেশের সব জায়গায় দেখা যায়।
- গাছপালার মধ্যে কাঁঠাল, আম, দেবদারু, পেয়ারা, মেহগনি, আকাশমণি অন্যতম।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “বন কি? কত প্রকার ও কি কি?” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।