পড়াশোনা

প্রস্বেদন কাকে বলে? প্রস্বেদন কত প্রকার ও কি কি? প্রস্বেদনের গুরুত্ব

1 min read

যে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদের দেহের ভেতর থেকে পাতার মাধ্যমে বাষ্পাকারে পানির নির্গমন হয় তাকে প্রস্বেদন বলে।

প্রস্বেদনের প্রকারভেদ

প্রস্বেদন সংঘটিত হওয়ার স্থানের ভিত্তিতে প্রস্বেদন তিন প্রকার। যথা:

  1. পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন
  2. ত্বকীয় বা কিউটিকুলার প্রস্বেদন
  3. লেন্টিকুলার প্রস্বেদন।
১। পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন : পাতায়, কচি কাণ্ডে, ফুলের বৃতি ও পাপড়িতে দুটি রক্ষীকোষ বিশিষ্ট যে রন্ধ্র থাকে তাকে পত্ররন্ধ্র বলে এবং এই পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে যে প্রস্বেদন হয় তাকে পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন বলে।
২। কিউটিকুলার প্রস্বেদন : উদ্ভিদের বহিঃত্বকে, বিশেষ করে পাতার উপরে ও নিচে কিউটিনের আবরণ থাকে। এ আবরণকে কিউটিকল বলে। কিউটিকল ভেদ করে কিছু পানি বাষ্পাকারে বাইরে বের হয়। এ প্রক্রিয়াই হলো কিউটিকুলার প্রস্বেদন।
৩। লেন্টিকুলার প্রস্বেদন : উদ্ভিদে গৌণ বৃদ্ধি হলে কাণ্ডের বাকল ফেটে লেন্টিসেল নামক ছিদ্রের সৃষ্টি হয়। লেন্টিসেলের ভেতরের কোষগুলো আলাদাভাবে সজ্জিত থাকে এবং এর মাধ্যমে কিছু পানি বাইরে বেরিয়ে যায়। একে লেন্টিকুলার প্রস্বেদন (lenticular transpiration) বলে।

প্রস্বেদনের গুরুত্ব

  1. প্রস্বেদনের কারণে উদ্ভিদ দেহ থেকে পানি বের করে দিয়ে অতিরিক্ত পানির চাপ থেকে মুক্ত হয়।
  2. প্রস্বেদন কোষরসের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। ফলে উদ্ভিদ সহজে মূল দিয়ে পানি ও খনিজ লবণ শোষণ করতে পারে।
  3. প্রস্বেদনের কারণে উদ্ভিদদেহ ঠান্ডা থাকে এবং পাতায় আর্দ্রতা বজায় থাকে।
5/5 - (1 vote)
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x