হার্টবিট বা হৃৎস্পন্দন কাকে বলে? ভ্রুণ এর গঠন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।

হৃৎপিন্ডের একবার সংকোচন (সিস্টোল) ও একবার প্রসারণ (ডায়াস্টোল)-কে একত্রে হার্টবিট বা হৃৎস্পন্দন বলে।

প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির হৃৎস্পন্দনের হার প্রতি মিনিটে প্রায় ৭০-৮০ বার। প্রতি হৃৎস্পন্দন সম্পন্ন করতে সিস্টোল ও ডায়াস্টোলের যে চক্রাকার ঘটনাবলি অনুসৃত হয় তাকে কার্ডিয়াক চক্র বা হৃৎচক্র বলে। যদি প্রতি মিনিটে গড়ে ৭৫ বার হার্টবিট হয় তবে কার্ডিয়াক চক্রের সময়কাল ৬০/৭৫ = ০.৮ সেকেন্ড। স্বাভাবিকভাবেই অ্যাট্রিয়াল চক্র এবং ভেন্ট্রিকুলার চক্র উভয়েরই স্থিতিকাল ০.৮ সেকেন্ড।

ভ্রুণ এর গঠন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
ভ্রুণ কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে তৈরি হয়ে থাকে। নিচে ধারাবাহিকভাবে ভ্রুণ থলির গঠন বর্ণনা করা হলো–

প্রথমে ডিপ্লয়েড স্ত্রী রেণু মাতৃকোষটি মিয়োসিস বিভাজনের মাধ্যমে বিভাজিত হয়ে চারটি হ্যাপ্লয়েড নিউক্লিয়াস তৈরি করে। এদের মধ্যে ৩টি নষ্ট হয়ে যায় এবং একটি জীবিত ও কর্মক্ষম থাকে। জীবিত এ নিউক্লিয়াসটি পরপর তিনবার মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে আটটি নিউক্লিয়াস তৈরি করে। এই আটটি নিউক্লিয়াস দুই মেরুতে চারটি করে অবস্থান করে।

পরবর্তীতে দুই মেরু থেকে একটি করে নিউক্লিয়াস কেন্দ্রে অবস্থান করে ও মিলিত হয়। একে গৌণ নিউক্লিয়াস বলে। ডিম্বক রন্ধ্রের পার্শ্বে অবস্থিত নিউক্লিয়াস তিনটিকে একত্রে বলা হয় ডিম্বাণুযন্ত্র। এদের কেন্দ্রের নিউক্লিয়াসটি স্ফীত এবং আকৃতিতে বড় হয়ে থাকে। একে বলা হয় ডিম্বাণু এবং পার্শ্বের দুটিকে বলা হয় সহকারী নিউক্লিয়াস। ডিম্বাণু যন্ত্রের বিপরীতে অবস্থিত নিউক্লিয়াস তিনটিকে বলা হয় প্রতিপাদ নিউক্লিয়াস বা প্রতিপাদ কোষ। এভাবে আট নিউক্লিয়াস নিয়ে গঠিত হয় ভ্রুণ থলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *