DNA ফিঙ্গার প্রিন্ট একটি পদ্ধতি, যে পদ্ধতিতে এক ব্যক্তির DNA-এর সাথে অপর ব্যক্তির DNA-র সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নির্ণয় করা হয়। DNA ফিঙ্গার প্রিন্ট পদ্ধতিতে এক ব্যক্তির কোষ থেকে প্রাপ্ত DNA-এর সাথে অপর ব্যক্তির কোষের DNA-এর তুলনা করা হয়। যদি দুই ব্যক্তির DNA-এর প্যাটার্ন মিলে যায় তখন নির্দিষ্ট সনাক্তকরণ রেকর্ড হয়। এ পদ্ধতিতে সন্তানের পিতৃত্ব, মাতৃত্ব নির্ণয় করা যায়, অপরাধী সনাক্ত করা যায়।
DNA ফিঙ্গার পিন্টিং এর প্রয়োগ
ব্যক্তি কিংবা অপরাধী সনাক্তকরণে DNA ফিঙ্গার পিন্টিং একটি কার্যকরী পদ্ধতি। ১৯৮৫ সালে প্রথম এর প্রয়োগ শুরু হয়। বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। নিচে DNA প্রযুক্তির কয়েকটি ব্যবহার উল্লেখ করা হলো:
১. পিতৃত্ব নিশ্চিত করতে এটি খুবই কার্যকরী একটি পদ্ধতি।
২. হাসপাতালে নবজাতক বদল হয়ে গেলে প্রকৃত মা এবং তার সন্তানকে সনাক্ত করতে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।
৩. ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে ধর্ষণকারীকে সনাক্ত করা যায় এ পদ্ধতিতে।
৪. অপরাধী সনাক্ত করা যায়।
৫. বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া কারো DNA ফিঙ্গার প্রিন্টিং পরীক্ষার মাধ্যমে তার পরিবারের লোকজন তাকে সনাক্ত করতে পারে।
৬. মরদেহ সনাক্ত করতে এ পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।