বাংলাদেশের বেকার সমস্যা দূর করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কী কী সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে?
সারাবিশ্বে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে দৈনন্দিন কর্মক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়েছে এক অভূতপূর্ব সুযোগ। কলসেন্টার, ই-স্বাস্থ্যসেবা, ফ্রিল্যান্সিং, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট ডিজাইন, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি এখন নতুন দক্ষ কর্মীদের জন্য একটি বিরাট কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে।
কলসেন্টারের সাহায্যে বিশ্বের যেকোনো মানুষ তার প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারছে। ফলে উক্ত কলসেন্টারে প্রচুর জনবল প্রয়োজন হচ্ছে। ই-স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালু হওয়ার ফলে জনগণ তার প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা চিকিৎসক এর নিকট মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিতে পারছে। ফলে উক্ত সেবা কেন্দ্রে প্রচুর জনবল প্রয়োজন হচ্ছে। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে উন্নত দেশগুলোর ভালো ভালো কোম্পানি তাদের নিজেদের দেশের কর্মীদের দুষ্প্রাপ্যতার কারণে আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের কর্মীদের ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে। ফলে অফিসে পা গিয়েই কাজ করার সুযোগ হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশে পড়াশুনা করে সরাসরি বিশ্বের নামকরা অনেক সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যেমন- মাইক্রোসফট, গুগল, ফেসবুক, আাইবিএম, অ্যাপল, স্যামসাং, ইত্যাদি কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে আমাদের দেশের অনেক দক্ষ কর্মী ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেনের মতো দেশগুলোর বড় বড় কোম্পানিতে কাজ করছে। যা আমাদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। তাই বলা যায় যে, বেকার সমস্যা দূর করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এক নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।