থ্রম্বোসাইট এর বাংলা প্রতিশব্দ অণুচক্রিকা, যা এক ধরনের রত্তকণিকা। যে রক্তকণিকা রক্ত তঞ্চন করে বা জমাট বাঁধানোতে সাহায্য করে তাকে থ্রম্বোসাইট বা অণুচক্রিকা বলে। রক্তে এ কণিকা নির্দিষ্ট পরিমাণে না থাকলে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না। ফলে অনেক রোগীর প্রাণ নাশের আশঙ্কা থাকে।
জীববিজ্ঞান (Biology) বিষয়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. জীব রাসায়নিক প্রক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তর : জীবদেহে যেসব রূপান্তর বা পরিবর্তন সাধিত হয়, তাদেরকে জীব রাসায়নিক প্রক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন-২. গ্রানুলোসাইটের কাজ কি?
উত্তর : দানাযুক্ত শ্বেত রক্তকণিকাই হলো গ্রানুলোসাইট। এদের সাইটোপ্লাজম সূক্ষ্ণ দানাযুক্ত। নিউট্রোফিল, ইওসিনোফিল এবং বেসোফিল হলো তিন ধরনের গ্রানুলোসাইট। নিউট্রোফিল ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ভক্ষণ করে। ইওসিনোফিল ও বেসোফিল হিস্টামিন নিঃসৃত করার মাধ্যমে দেহে এলার্জি প্রতিরোধ করে।
প্রশ্ন-৩. দেহের প্রহরী বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : রক্তের শ্বেত কণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয়। এই রক্ত কণিকা প্রহরীর মতো দেহকে বিভিন্ন রোগজীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে। ক্ষণপদ সৃষ্টির মাধ্যমে শ্বেতকণিকা রোগজীবাণুকে ভক্ষণ করে এবং রোগের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে। শুধু তাই নয়, অ্যান্টিবডি তৈরির মাধ্যমেও শ্বেতকণিকা দেহকে বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। এ কারণেই শ্বেত কণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয়।
প্রশ্ন-৪. রক্তের রং লাল হয় কেন?
উত্তর : রক্তের একটি বিশেষ উপাদান লোহিত রক্তকণিকা, যা হিমোগ্লোবিন নামক লৌহ গঠিত যৌগ দ্বারা তৈরি। মানবদেহে প্রতি ১০০ মিলিলিটারে ১১-১৭% হিমোগ্লোবিন থাকে। আর এ হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতিই রক্ত লাল রঙের জন্য দায়ী।
প্রশ্ন-৫. বদ্ধ রক্ত সংবহনতন্ত্রের সুবিধা কি?
উত্তর : বদ্ধ রক্ত সংবহনতন্ত্রের সুবিধা- রক্ত সরাসরি দেহের বিভিন্ন অঙ্গে পৌঁছে, রক্তবাহী নালির ব্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনো বিশেষ অঙ্গে রক্ত প্রবাহের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
প্রশ্ন-৬. সর্বজনীন রক্ত দাতা কী?
উত্তর : যে গ্রুপের রক্ত অন্য সকল গ্রুপে দেওয়া যায় তাকে সর্বজনীন রক্ত দাতা বলে। ‘O’ গ্রুপকে সর্বজনীন রক্ত দাতা বলা হয়। এ গ্রুপধারী ব্যক্তির রক্তকণিকায় A ও B উভয় ধরনের অ্যান্টিজেন অনুপস্থিত। তাই অ্যান্টিবডির সাথে এ গ্রুপের রক্ত কোনো প্রকার বিক্রিয়া করে না। ফলে সহজেই সব গ্রুপে এ রক্ত দেওয়া যায়।
প্রশ্ন-৭. ABO রক্তের গ্রুপ কী?
উত্তর : রক্তকণিকায় অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার ১৯০১ সালে মানুষের রক্তের যে শ্রেণিবিন্যাস করেন তা ABO রক্তগ্রুপ নামে পরিচিত। ABO পদ্ধতিতে মানুষের রক্তের গ্রুপ চারটি। যথা—গ্রুপ ‘A’, ‘B’ ‘O’ এবং ‘AB’। আজীবন একজন মানুষের রক্তের গ্রুপ একই রকম থাকে।
প্রশ্ন-৮. সর্বজনীন রক্তদাতা এবং সর্বজনীন রক্ত গ্রহীতা কি?
উত্তর : O গ্রুপের রক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তির রক্তে A বা B কোন এন্টিজেন না থাকায় সে সব গ্রুপের রক্তের ব্যক্তিকে রক্ত দিতে পারে। এরাই হলো সার্বজনীন রক্তদাতা। AB গ্রুপের রক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তির রক্তে a বা b কোন অ্যান্টিবডি না থাকায় সে যেকোন গ্রুপের রক্ত গ্রহণ করতে পারে। এরাই হলো সার্বজনীন রক্ত গ্রহীতা।
প্রশ্ন-৯. রক্ত বাহিকায় রক্ত জমাট বাঁধে না কেন?
উত্তর : রক্ত বাহিকাতে রক্ত প্রবাহের সময় কখনো জমাট বাঁধে না। এর কারণ রঙের বেসোফিল হেপারিন নিঃসৃত করে রক্তকে রক্ত বাহিকায় জমাট বাঁধতে বাঁধা দেয়। এ কারণে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না।
প্রশ্ন-১০. খাবার থেকে আমরা কীভাবে শক্তি পাই?
উত্তর : খাবার খেলে আমাদের শরীরে বিপাক প্রক্রিয়া ঘটে এবং আমরা শক্তি পাই।