মধ্যচ্ছদা সঙ্কুচিত হলে নিচের দিকে নামে, তখন আয়তন বৃদ্ধি পায়। এটি প্রসারিত হলে উপরের দিকে উঠে এবং বক্ষ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। মধ্যচ্ছদা প্রশ্বাস গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
জীববিজ্ঞান (Biology) বিষয়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১। ভ্যাসেকটমি কি?
উত্তরঃ ভ্যাসেকটমি হলো জন্মনিরোধের জন্য স্থায়ী পদ্ধতি যার মাধ্যমে পুরুষের উভয় দিকের শুক্রানালির অংশকে কেটে বেঁধে দেওয়া হয় যাতে শুক্রাণু বাইরে আসতে না পারে।
প্রশ্ন-২। পত্রবৃন্ত কাকে বলে? এর অবস্থান কোথায়?
উত্তরঃ পাতার দণ্ডাকার অংশটিকে পত্রবৃন্ত বা বোঁটা বলে। পত্রমূল ও পত্রফলকের মাঝামাঝি জায়গায় এর অবস্থান।
প্রশ্ন-৩। যৌগিক পত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পত্রের ফলকটি সম্পূর্ণভাবে খণ্ডিত হয় এবং খণ্ডিত অংশগুলো পরস্পর হতে আলাদাভাবে অণুফলক সৃষ্টি করে তাকে যৌগিক পত্র বলে।
প্রশ্ন-৪। গুচ্ছমূল কাকে বলে?
উত্তরঃ কিছু কিছু উদ্ভিদের মূল লক্ষ করলে দেখা যায় যে, কাণ্ডের নিচের দিকে একগুচ্ছ সরু মূল সৃষ্টি হয়েছে। এদেরকে গুচ্ছমূল বলে।
প্রশ্ন-৫। অসুষম খাদ্য কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো খাদ্য তালিকায় যদি ছয়টি খাদ্য উপাদানের একটি অনুপস্থিত থাকে, তাহলে তাকে অসুষম খাদ্য বলে।
প্রশ্ন-৬। স্নেহ জাতীয় খাদ্য কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব খাদ্যে তেল বা চর্বি বেশি থাকে তাদের স্নেহ জাতীয় খাদ্য বলে। যেমন– সয়াবিন, বাদাম, সরিষা, ঘি, মাখন ইত্যাদি স্নেহ জাতীয় খাদ্য।
প্রশ্ন-৭। সমাঙ্গবর্গ উদ্ভিদ কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব উদ্ভিদের দেহ মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায় না তাদের সমাঙ্গবর্গ উদ্ভিদ বলে।
প্রশ্ন-৮। পরভোজী কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব জীব নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে না, খাদ্যের জন্য অন্য কোনো জীবিত বা মৃত জীবের উপর নির্ভর করে তাদেরকে পরভোজী বলে।
প্রশ্ন-৯। বহু বিভাজন কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে এককোষী প্রাণীরা বার বার বিভাজিত হয়ে অসংখ্য অপত্য প্রাণীর সৃষ্টি করে তাকে বহু বিভাজন বলে। যেমন- এন্টামিবা (Entamoeba histoloytica), প্যারামেসিয়াম (Paramacium caudatum) ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১০। সিন্যাপস কাকে বলে?
উত্তরঃ স্নায়ুটিস্যুর একটি নিউরনের অ্যাক্সনের সাথে দ্বিতীয় একটি নিউরনের ডেনড্রাইট যুক্ত থাকার সংযোগ স্থলকে সিন্যাপস বলে। অর্থাৎ, পরপর অবস্থিত দুটি নিউরনের সন্ধিস্থলই হলো সিন্যাপস।