শিক্ষা সংবাদ
0 min read

এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়

দেশে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী রোববার (১৭ জুলাই) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করবেন।
এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত, মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রোববার দুপুর ১টায় মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করবেন। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে কথা বলবেন।’

এসএসসি পরীক্ষার নতুন তারিখ নির্ধারণ হচ্ছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী দীপু মনি পরে বলেন, ‘রোববার আমরা তারিখ দিয়ে দেব।’

করোনা মহামারির কারণে পিছিয়ে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা এবার ১৯ জুন শুরু করে ৬ জুলাই শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু জুনের মাঝামাঝি সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জসহ দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১৯ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পরীক্ষা স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১৯ জুন থেকে এসএসসি জেনারেল, এসএসসি ভোকেশনাল এবং দাখিল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার সময়সূচি পরে জানানো হবে।

এরআগে গত ৬ জুলাই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এসএসসি এবং এইচএসসি সময়সূচি এখনও চূড়ান্ত করা সম্ভব নয়। বই হাতে পৌঁছানোর দুই সপ্তাহ পর সময়সূচী চূড়ান্ত করা হবে।

বন্যাকবলিত অঞ্চলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বন্যাকবলিত অনেক এলাকায় এখনো পানি নামেনি। আবার অনেক এলাকা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থীর বইপত্র নষ্ট হয়েছে। তাদের বইপত্র পৌঁছাতে হবে। অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে।

এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে এসএসসি এবং এইচএসসি সময়সূচি এখনও চূড়ান্ত করা সম্ভব নয়। বই হাতে পৌঁছানোর দুই সপ্তাহ পর সময়সূচী চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কিন্তু করোনা বাড়লেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।

Rate this post