রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা RDBMS কি?
ডেটাবেজে একাধিক টেবিল একটি নির্দিষ্ট ফিল্ডের (প্রাইমারি কী ও ফরেন কী) উপর ভিত্তি করে সম্পর্ক স্থাপন করাই হলো রিলেশনশীপ। রিলেশন করা ডেটা টেবিলের সমন্বয়ে গঠিত ডেটাবেজকে রিলেশনাল ডেটাবেজ বলা হয়। আধুনিক ডেটাবেজ সফটওয়্যার বলতে সাধারণত রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকেই বুঝায়। Edger Frank Codd সর্বপ্রথম ১৯৭০ সালে রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রবর্তন করেন। কয়েকটি RDBMS হলো– মাইক্রোসফট একসিস, ওরাকল, মাইএসকিউএল ইত্যাদি।
“বড় শেয়ার্ড ডেটা ব্যাংকগুলির জন্য ডেটার একটি রিলেশনাল মডেল” প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সময়, খ্যাতিমান কাগজটি খুব আগ্রহ প্রকাশ করেছিল এবং কিছু লোক বুঝতে পেরেছিল যে কোডের মূল ভিত্তিটি কীভাবে সংজ্ঞায়িত হবে? আপেক্ষিক ডেটা স্টোরেজ করার জন্য মৌলিক নিয়ম যা এটিকে সরলীকৃত করা যেতে পারে:
- ডেটাগুলি অবশ্যই সম্পর্কের হিসাবে সংরক্ষণ করা এবং উপস্থাপন করতে হবে, যেমন, টেবিলগুলির একে অপরের সাথে সম্পর্ক রয়েছে, যেমন, প্রাথমিক / বিদেশী কীগুলি।
- টেবিলগুলিতে সঞ্চিত ডেটা ম্যানিপুলেট করার জন্য, একটি সিস্টেমে রিলেশনাল অপারেটর – কোড সরবরাহ করতে হবে যা দুটি সত্তার মধ্যে সম্পর্কটিকে পরীক্ষা করতে সক্ষম করে। একটি উত্তম উদাহরণ হ’ল একটি নির্বাচনী বিবৃতি, যেখানে, এসকিউএল স্টেটমেন্ট নির্বাচন করুন * গ্রাহক_মাস্টার থেকে যেখানে গ্রাহক_সামরাম = ‘স্মিথ’ CUSTOMER_MASTER টেবিলটি জিজ্ঞাসা করবে এবং সমস্ত গ্রাহকদের স্মিথের উপাধি দিয়ে ফিরিয়ে দেবে।
বেশিরভাগ আধুনিক বাণিজ্যিক এবং ওপেন সোর্স ডাটাবেস সিস্টেমগুলি প্রকৃতির ক্ষেত্রে সম্পর্কিত এবং সুপরিচিত অ্যাপ্লিকেশনগুলি অন্তর্ভুক্ত করে, যেমন, ওরাকল ডিবি (ওরাকল কর্পোরেশন); এসকিউএল সার্ভার (মাইক্রোসফ্ট) এবং মাইএসকিউএল এবং পোস্টগ্রিস (ওপেন সোর্স)।
রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য/সুবিধা (Characteristics/Advantages of Relational Database Management System)
রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সুবিধাগুলো নিচে দেওয়া হলো–
- সহজে টেবিল তৈরি করে ডেটা এন্ট্রি করা যায়।
- ডেটা টেবিলের সাথে অন্য এক বা একাধিক ডেটা টেবিলের মধ্যে রিলেশন তৈরি করা যায়।
- অসংখ্য ডেটার মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় ডেটাকে খুঁজে বের করা যায়।
- ডেটা ভ্যালিডেশনের সাহায্যে ডেটা এন্ট্রি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
- সহজে এক ডেটাবেজ থেকে অন্য ডেটাবেজের সাথে তথ্য আদান প্রদান করা যায়।
- সংখ্যাবাচক ডেটা সমূহে সূক্ষ্ম গাণিতিক কাজ করা যায়।
- সহজে নানা ফরমেটের রিপোর্ট তৈরি করা যায় এবং প্রিন্ট করা যায়।
- প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে লেবেল তৈরি করা যায় এবং ছাপানো যায়।
- এন্ট্রি ফর্ম তৈরি করা যায়।
- বিভিন্ন ধরনের চার্ট তৈরি করা যায়।
- অন্যান্য ডেটাবেজ প্রোগ্রাম (যেমন- ফক্সপ্রো, এক্সেল ইত্যাদি) থেকে তথ্য বা ডেটা এনে ব্যবহার করা যায়।
- Executable (exe) ফাইল তৈরি করা যায়।
- সহজে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার/প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়।
রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ব্যবহার (Use of Relational Database Management System)
রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম ব্যবহারের চাহিদা অতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিচে এর ব্যবহার তুলে ধরা হলো–
- ব্যাংক ও বীমার গ্রাহকদের হিসাব-নিকাশ সেভ করে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়।
- হাসপাতালে রোগীদের রেকর্ড সংরক্ষণে এবং ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহার করা হয়।
- রেলওয়েতে টিকিটিং ও রেলগাড়ির সিডিউলিং এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
- এয়ারলাইন্সে টিকিটিং ও ফ্লাইটের সিডিউলিং এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম তৈরি এবং পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
- বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের রেকর্ড সংরক্ষণে ব্যবহার করা হয়।
- ই-কমার্স ও ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়।
- জনসংখ্যা তথ্য সংরক্ষণে এবং ভোটার তালিকা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
- কোন প্রতিষ্ঠানের ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
- সরকারি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সংস্থা/মন্ত্রণালয়ের ডেটাবেজে ব্যবহার করা হয়।
- আদমশুমারি ও ভোটার তালিকা তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
- ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ কাজে ব্যবহার করা হয়।
- বড় প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার কাজে ব্যবহার করা হয়।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা RDBMS কি?” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।