বেলুন কীভাবে বানায়?
বেলুন নিয়ে খেলতে আমাদের কার না মজা লাগে! জন্মদিন, স্কুলের ক্লাস প্রোগ্রাম—সব জায়গাতেই কিন্তু বেলুনের দরকার পড়ে। এমনকি বেলুন নিয়ে মজার ছবিও দেখেছি আমরা। ‘আপ’ ছবিতে মিস্টার ফ্রেড্রিকসন তো বাড়িতে বেলুন লাগিয়ে আকাশে উড়ে বিদেশ গেলেন। এত বেলুন তিনি পেলেন কোথায়, সেটাও অবশ্য ভাবতে হয়। তার আগে বরং জেনে নিই বেলুন কীভাবে বানায়।
বেলুন তৈরির জন্য একটা বিশেষ উপকরণ লাগে। একে বলে ল্যাটেক্স—এটা এক ধরনের তরলের মতো উপকরণ। প্রথমে একেকটি বড় পাত্রে ল্যাটেক্সের সাথে বিভিন্ন রং ঢেলে ১৫-১৬ ঘণ্টা রেখে দেওয়া হয়। রং ভালোভাবে মিশে গেলে বেলুন তৈরি করার ছাঁচে গরম পানি স্প্রে করে পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। এই ছাঁচের আকার ও আয়তন বিভিন্ন রকমের হতে পারে। তারপর এতে ল্যাটেক্স আর রঙের মিশ্রণটা নিয়ে নেওয়া হয়।
এগুলোকে এবার ক্যালসিয়াম নাইট্রেট নামের এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থে মেশানো দ্রবণে ডোবানো হয়। তারপর পুরো জিনিসটাকে শুকিয়ে নেওয়া হয়। তারপর রঙিন ল্যাটেক্সে ছাঁচ ডুবানোর পালা। ক্যালসিয়াম নাইট্রেট যেমন ছাঁচের ওপর ল্যাটেক্সের আবরণ তৈরি করে ঠিক তেমনি ছাঁচের সাথে ল্যাটেক্স লেগে যেতেও দেয় না। বাতাসের মধ্যে ল্যাটেক্স দ্রুত শুকিয়ে যায়। এবার এগুলোকে একপ্রকার ঘূর্ণায়মাণ ব্রাশের ভেতর দিয়ে নিয়ে বেলুনের মুখে একটি মোটা বেড় তৈরি করা হয়। এটি পরে বেলুনে বাতাস ঢুকানো এবং বাতাস ঢুকিয়ে মুখ আটকাতে সাহায্য করে।
বেলুনের মুখে মোটা বেড় তৈরি হয়ে গেলে এগুলোকে ২০০ থেকে ২২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার গরম পানিতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখা হয়। তারপর মেশিনের সাহায্যে বেলুনগুলোকে ছাঁচ থেকে আলগা করার পালা। সবশেষে এগুলোকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থেকে মুক্ত করতে ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হয়।
ব্যস, এভাবেই তৈরি হয়ে যায় বেলুন। এখন তোমার কতটুকু দরকার? বানাবে নাকি বেলুন? বানানো কিন্তু সোজা নয়, একদম বড়দের কাজ। তার চেয়ে বরং কিনে নিয়ে খেলাই ভালো!