এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেক নেটওয়ার্কে ডেটা পাঠানাের পদ্ধতিকে বলে রাউটিং। যে ডিভাইস রাউটিং এর কাজে ব্যবহার করা হয় তাকে রাউটার বলে। এটি ডেটাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সবচেয়ে কম দূরত্বের পথ (Path) ব্যবহার করে। রাউটার একই প্রটোকলবিশিষ্ট দুই বা ততােধিক স্বতন্ত্র নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযােগ স্থাপন করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে পারে। রাউটার একটি বুদ্ধিমান ইন্টারনেট ওয়ার্ক কানেকটিভিটি ডিভাইস যা লজিক্যাল এবং ফিজিক্যাল অ্যাড্রেস ব্যবহার করে দুই বা ততােধিক নেটওয়ার্ক সেগমেন্টের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করে।
রাউটারের সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধাঃ
১. ব্রডকাস্ট ডোমেইনকে সীমিত করে।
২. ব্রডকাস্ট ফিল্টার করতে পারে।
৩. ভিন্ন আর্কিটেকচার ও মিডিয়ার নেটওয়ার্ককে যুক্ত করতে পারে।
৪. ল্যান ওয়্যান উভয় পরিবেশেই ব্যবহার করা যায়।
অসুবিধাঃ
১. দাম বেশি।
২. রাউটেবল প্রটোকলের সাথে ব্যবহার করা দরকার।
৩. প্রসেসিং ও রাউটিং টেবিল আপডেটের কারণে ব্রিজের চেয়ে ধীরগতির।
স্টার টপোলজির বৈশিষ্ট্য কি কি?
স্টার টপোলজিতে প্রতিটি নোড (কম্পিউটার, প্রিন্টার ইত্যাদি) সরাসরি একটি হাব বা সুইচের মাধ্যমে যুক্ত থাকে। নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরিত ডেটা নির্দিষ্ট ডিভাইসে যাওয়ার পথে হাবের মধ্য দিয়ে যায়। ফলে সংকেত আদান-প্রদানে কম সময় প্রয়োজন হয়। হাব বা সুইচ দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত স্টার টপোলজির নেটওয়ার্কের কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা শনাক্ত করা সহজ হয়। তবে হাব ব্যবহার করলে সিগন্যাল ব্রডকাস্ট হয় অর্থাৎ হাবে সংযুক্ত সকল কম্পিউটারেই সংকেত যায়। কিন্তু সুইচ ব্যবহার করলে সিগন্যাল শুধু টার্গেট কম্পিউটারে যায়। সাধারণত স্টার টপোলজিতে বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করা গেলেও টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যবহারের আধিক্য রয়েছে।