প্রশ্ন-১. পদার্থবিজ্ঞান কী?
উত্তর : পদার্থবিজ্ঞান হচ্ছে বিজ্ঞানের প্রাচীনতম ও মৌলিক শাখা। বিজ্ঞানের যে শাখা পদার্থ আর শক্তি এবং দুইয়ের মাঝে যে আন্তঃক্রিয়া হয়, তাকে বোঝার চেষ্টা করে সেটা হচ্ছে পদার্থবিজ্ঞান।
প্রশ্ন-২. অদৃশ্য বস্তু কি?
উত্তর : অদৃশ্য বস্তু হচ্ছে এক ধরনের কল্পিত বস্তু যা কোন টেলিস্কোপ দ্বারা দৃষ্টিগোচর হয় না। তবে দৃশ্যমান বস্তু, বিকিরণ এবং মহাবিশ্বের বৃহৎ স্কেল গঠনের উপর এর মহাকর্ষীয় প্রভাব থেকে এর উপস্থিতি উপলব্ধি করা যায়।
প্রশ্ন-৩. উত্তল লেন্স কাকে বলে?
উত্তর : যে লেন্সের মধ্যভাগ পুরু ও প্রান্তভাগ ক্রমশ সরু তাকে উত্তল লেন্স বলে।
প্রশ্ন-৪. নীল সরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ তড়িচ্চুম্বকীয় তরঙ্গের উৎস ও দর্শকের (বা পর্যবেক্ষণ যন্ত্রের) পরস্পরের দিকে গতিশীলতার কারণে উক্ত তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য হ্রাসের ঘটনাকে নীল সরণ বলে।
প্রশ্ন-৫. শ্রেণি এবং সমান্তরাল সমবায়ের পার্থক্য লেখ।
উত্তরঃ নিচে শ্রেণি এবং সমান্তরাল সমবায়ের পার্থক্য তুলে ধরা হলোঃ
- শ্রেণি সমবায়ের ক্ষেত্রে সবগুলো উপকরণের মধ্য দিয়ে একই তড়িৎ প্রবাহ চলে, কিন্তু সমান্তরাল সমবায়ের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন তড়িৎ উপকরণের মধ্য দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রবাহ চলে।
- শ্রেণি সমবায়ে একটি মাত্র সুইচ দিয়ে সবগুলো তড়িৎ উপকরণ অন-অফ করা হয়। সমান্তরাল সমবায়ে অন-অফ করার উদ্দেশ্যে প্রতিটি তড়িৎ উপকরণের জন্য আলাদা সুইচ থাকে।
- শ্রেণি সমবায়ে একটি উপকরণ নষ্ট হয়ে গেলে বাকিগুলোও অফ হয়ে যায়। কিন্তু সমান্তরাল সমবায়ে একটি উপকরণ নষ্ট হয়ে গেলে বাকিগুলো স্বাধীনভাবে জ্বলতে সক্ষম।
প্রশ্ন-৬. শব্দ দূষণ কাকে বলে?
উত্তর : শব্দ যখন মানুষের সহনশীলতার মাত্রা ছাড়িয়ে বিরক্তি ঘটায় এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতি সাধন করে তখন তাকে শব্দ দূষণ বলে।
প্রশ্ন-৭. শব্দের জাতি কাকে বলে?
উত্তর : সুরযুক্ত শব্দের যে বৈশিষ্ট্যের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে উৎপন্ন একই প্রাবল্য ও তীক্ষ্ণতাযুক্ত শব্দের মধ্যে পার্থক্য বুঝা যায় তাকে জাতি বলে।
প্রশ্ন-৮. লোহিত সরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ তড়িচ্চুম্বকীয় তরঙ্গের উৎস ও দর্শকের (বা পর্যবেক্ষণ যন্ত্রের) পরস্পর থেকে দূরে সরে যাবার কারণে উক্ত তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য বৃদ্ধির ঘটনাকে লোহিত সরণ বলে।
প্রশ্ন-৯. বিভব শক্তি বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : স্বাভাবিক অবস্থান থেকে পরিবর্তন করে কোনো বস্তুকে অন্য অবস্থানে বা স্বাভাবিক অবস্থা পরিবর্তন করে অন্য কোনো অবস্থায় আনলে বস্তু কাজ করার যে সামর্থ্য লাভ করে তাকে বিভব শক্তি বলে।
প্রশ্ন-১০. অসহ ভার কাকে বলে?
উত্তর : সর্বাপেক্ষা কম যে ভার কোনো তারের প্রান্তে ঝোলালে তারটির স্থায়ী বিকৃতি ঘটে বা তারটি ছিঁড়ে যায় তাকে অসহ ভার বলে।
প্রশ্ন-১১. বিদ্যুৎ বিভব কাকে বলে?
উত্তরঃ অসীম দূরত্ব থেকে একটি একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ করতে হয় তাকে ঐ বিন্দুর বিদ্যুৎ বিভব বলে।
প্রশ্ন-১২. তেজস্ক্রিয়তার বিপদ প্রথম কীভাবে আবিষ্কৃত হয়?
উত্তরঃ তেজস্ক্রিয়তা এবং বিকিরণের বিপদসমূহ সহসা উপলদ্ধি করা যায় নি। বিকিরণের তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রথম লক্ষ্য করা যায় এক্স-রশ্মি ব্যবহারে যখন তড়িৎ প্রকৌশলী এবং পদার্থবিদ নিকোলা টেসলা ইচ্ছাকৃতভাবে ১৮৯৬ সালে এক্স-রশ্মির মধ্যে তাঁর আঙ্গুলগুলো তিনি প্রকাশ করেন, যদিও ঐ দাহগুলো এক্স-রশ্মি নয়, বরং ওজোনের কারণে হয়েছে বলে তিনি আখ্যায়িত করেন। তার পোড়া অংশগুলো পড়ে সেরে যায়। তেজস্ক্রিয় বিকিরণের জেনেটিক প্রভাবসমূহ (ক্যান্সার ঝুঁকিসহ) অনেক পরে আবিষ্কৃত হয়। ১৯২৭ সালে হারম্যান জোসেফ মুলার বিকিরণের জিনিগত প্রভাবসমূহ বর্ণনাপূর্বক তার গবেষণালব্ধ প্রাপ্তিসমূহ প্রকাশ করেন। তার এই আবিষ্কারের জন্য ১৯৪৬ সালে তাকে নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
প্রশ্ন-১৩. দূর সংবেদন কাকে বলে?
উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক উপায়ে বিভিন্ন যন্ত্রের মাধ্যমে দূরের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সুন্দর নিখুঁত ধারণা গড়ে তোলার পদ্ধতিকে দূরসংবেদন বা Remote Sensing বলে। এই পদ্ধতির দুটি প্রধান উপাদান হলো- ১) বিমান চিত্র (Aerial Photo) এবং ২) উপগ্রহ চিত্র (Satellite Imagery)।
প্রশ্ন-১৪. বিনতি কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো স্থানে ভূ-চৌম্বকক্ষেত্র অনুভূমিকের সঙ্গে যে কোণ উৎপন্ন করে অর্থাৎ চৌম্বক মধ্যতলে মুক্তভাবে স্থাপিত চুম্বক শলাকা অনুভূমিক তল থেকে যে কোণে নত অবস্থায় থাকে তাকে ঐই স্থানের বিনতি বলে।
প্রশ্ন-১৫. এক জুল কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বস্তুর উপর এক নিউটন বল প্রয়োগের ফলে যদি বস্তুটির বলের দিকে এক মিটার সরণ হয় তবে সম্পন্ন কাজের পরিমাণকে এক জুল বলে।
প্রশ্ন-১৬. সরল দোলকের প্রথম সূত্র (সমকাল সূত্র) বিবৃত কর
উত্তর : কোনো এক স্থানে নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট কোনো একটি সরল দোলকের বিস্তার 4° এর মধ্যে থাকলে তার প্রতিটি দোলনের জন্য সমান সময় লাগবে। গ্যালিলিও ১৫৮২ সালে এই সূত্র আবিষ্কার করেন।
প্রশ্ন-১৭. সরল দোলক কাকে বলে?
উত্তর : ক্ষুদ্র আয়তনের ওজন বিহীন, অপ্রসারণীয় সুতার সাহায্যে ঝুলন্ত এবং বিনা বাধায় দোলায়মান বস্তুকে সরল দোলক বলে।
প্রশ্ন-১৮. সেকেন্ড দোলক কাকে বলে? সেকেন্ড দোলকের দোলনকাল কত?
উত্তর : যে দোলকের দোলনকাল দুই সেকেন্ড তাকে সেকেন্ড দোলক বলে। অর্থাৎ, সেকেন্ড দোলকের দোলনকাল দুই (২) সেকেন্ড।
প্রশ্ন-১৯. গতিশক্তি কাকে বলে?
উত্তর : কোনো স্থির বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করা হলে বস্তুটি গতিশীল হয় এবং এর ফলে বস্তুটি কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন করে তাকে গতিশক্তি বলে।
প্রশ্ন-২০. দৈর্ঘ্য প্রসারণ সহগ কাকে বলে?
উত্তর : 1m দৈর্ঘ্যের কোনো কঠিন পদার্থের দণ্ডের তাপমাত্রা 1K বৃদ্ধির ফলে যতটুকু দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায় তাকে ঐ দণ্ডের উপাদানের দৈর্ঘ্য প্রসারণ সহগ বলে।