জীববিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৮)

প্রশ্ন-১। হিস্টোলজি কি?
উত্তরঃ হিস্টোলজি ভৌত জীববিজ্ঞানের একটি শাখা। এই শাখাতে টিস্যু সম্পর্কিত তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ শাখায় জীবদেহের টিস্যুগুলোর বিন্যাস, গঠন এবং কার্যাবলি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি গবেষণা করা হয়।

প্রশ্ন-২। প্রত্নতত্ত্ববিদ্যা কাকে বলে?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের যে শাখায় প্রাগৈতিহাসিক জীবের বিবরণ এবং জীবাশ্ম সম্পর্কিত বিজ্ঞানকে প্রত্নতত্ত্ববিদ্যা (Palaeontology) বলে। একে জীবাশ্মবিজ্ঞানও বলা হয়।

প্রশ্ন-৩। মৎস্য বিজ্ঞান কাকে বলে?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের যে শাখায় মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর আকৃতি, প্রকৃতি, জীবন প্রক্রিয়া, প্রজনন, প্রতিপালন, সংরক্ষণ, পরিবহণ, বিপণন, রোগ ব্যবস্থাপনা ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে মৎস্য বিজ্ঞান বলে।

প্রশ্ন-৪। ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ কাকে বলে?
উত্তরঃ জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে জিনের স্থানান্তর ঘটিয়ে যেসব উদ্ভিদ সৃষ্টি করা হয়, সেগুলোকে ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ বলে।

প্রশ্ন-৫। সায়ানোকোবালামিন এর কাজ কি?
উত্তরঃ সায়ানোকোবালামিন লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি ও উৎপাদনে সহায়তা করে। শ্বেত রক্তকণিকা ও অনুচক্রিকার সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

প্রশ্ন-৬। গ্লাইকোজেন কি?
উত্তরঃ গ্লাইকোজেন এক প্রকার জটিল শর্করা যা মানবদেহের অতিরিক্ত গ্লুকোজ থেকে উৎপন্ন হয়ে যকৃত কোষে জমা থাকে এবং প্রয়োজনে আবার গ্লুকোজে পরিবর্তিত হয়ে শক্তি সরবরাহ করে।

প্রশ্ন-৭। কোষবিদ্যা কাকে বলে?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের একক কোষের গঠন, কার্যাবলি ও বিভাজন সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে কোষবিদ্যা (Cytology) বলে।

প্রশ্ন-৮। কীটতত্ত্ব কাকে বলে?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের যে শাখায় কীটপতঙ্গের জীবন, উপকারিতা, অপকারিতা, ক্ষয়ক্ষতি, দমন ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে কীটতত্ত্ব (Entomology) বলে।

প্রশ্ন-৯। ক্লোরোসিস (Clorosis) কি?
উত্তরঃ বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদানের (যেমন : নাইট্রোজেন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, লৌহ, সালফার প্রভৃতি) অভাবে উদ্ভিদের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াই হলো ক্লোরোসিস (Clorosis)।

প্রশ্ন-১০। এককোষী জীব কাকে বলে? এককোষী জীবের উদাহরণ
উত্তরঃ যে সমস্ত জীবের দেহ একটি মাত্র কোষ দিয়ে গঠিত তাদেরকে এককোষী জীব বলে। অ্যামিবা, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি এককোষী জীবের উদাহরণ।

প্রশ্ন-১১। অটোজোম (Autosome) কাকে বলে?
উত্তরঃ কোষের যে ক্রোমোজোমগুলো শরীরবৃত্তীয়, ভ্রূণ ও দেহ গঠনে অংশ গ্রহণ করে তাদের অটোজোম বলে। মানুষের ২২ জোড়া অটোজোম থাকে।

প্রশ্ন-১২। সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে অস্থিসন্ধি ক্যাপসুল বা অস্থিসন্ধি আবরণী এবং সাইনোভিয়াল রস নামক এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থসহ অস্থিসন্ধি গহ্বর নিয়ে গঠিত হয় তাকে সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি (Synovial Joint) বলে।

প্রশ্ন-১৩। DNA অনুলিপন (DNA replication) কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় একটি DNA অণু থেকে আর একটি নতুন অণু তৈরি হয় বা সংশ্লেষিত হয় তাকে DNA অনুলিপন বলে।

প্রশ্ন-১৪। জাঙ্ক ফুড (Junk Food) কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সমস্ত খাবারে পুষ্টিমান কম এবং উচ্চ হারে ফ্যাট, চিনি এবং ক্যালরি থাকে সেই খাবারকে জাঙ্ক ফুড (Junk Food) বলে। যেমন : বার্গার, স্ন্যাকস।

প্রশ্ন-১৫। সুষম খাদ্য পরিবেশনে কী কী শর্ত পালন প্রয়োজন?
উত্তরঃ সুষম খাদ্য পরিবেশনে নিম্নোক্ত শর্তগুলো পালন করা উচিত–
১. খাবার তালিকায় মাছ-ডাল, ভাত-রুটি, শাকসবজি-ফল অন্তর্ভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ছয়টি উপাদান নিশ্চিত করতে হবে।
২. মোট ক্যালরির ৬০%-৭০% শর্করা, ৩০%-৪০% স্নেহ, ১০% প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
৩. দৈনিক মাথাপিছু নূন্যতম ৩০ গ্রাম তেল ও ২০ গ্রাম গুড়/চিনি পরিবেশন করতে হবে।

প্রশ্ন-১৬। সিনথেটিক রক্ত কি?
উত্তরঃ সিনথেটিক রক্ত হচ্ছে এক ধরনের কৃত্রিম রক্ত যা তৈরি করা হয় ফ্লোরো-কার্বন দিয়ে। হৃৎপিণ্ড থেকে কোষে গ্যাস চলাচলে এ রক্ত প্রভাব রাখতে পারে। এ রক্তের সাহায্যে রোগীকে ৩/৪ দিন বাঁচিয়ে রাখা যায়। সিনথেটিক রক্ত উদ্ভাবন করেন জাপানি বিজ্ঞানীগণ।

প্রশ্ন-১৭। সাইট্রোনোলা কি?
উত্তরঃ সাইট্রোনোলা এক ধরনের গাছ, যা মশা নিবারণ করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা সম্প্রতি মশা নিবারণী এ গাছটি উদ্ভাবন করেন। এ ধরনের মাত্র ছয়-সাতটি গাছ এক একর জায়গাকে মশামুক্ত রাখতে পারে।

প্রশ্ন-১৮। উদ্ভিদবিজ্ঞান কি?
উত্তরঃ উদ্ভিদবিজ্ঞান হচ্ছে জীববিজ্ঞানের একটি শাখা যা জীবন্ত উদ্ভিদের বিষয়ে বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষণ সংক্রান্ত কাজ করে থাকে। ঐতিহ্যগতভাবে, উদ্ভিদবিজ্ঞান ছত্রাক, শৈবাল এবং ভাইরাস নিয়েও কাজ করে।

প্রশ্ন-১৯। কোলেস্টেরল কি?
উত্তরঃ কোলেস্টেরল হলো এক প্রকার চর্বিজাতীয় স্টেরয়েড অ্যালকোহল, যা রক্তে বেশি হলে ধমনীর ভেতরের গাত্রে জমা হয়ে এর লুমেন সরু করে দেয়। ফলে রক্ত চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয় ও হৃৎপিন্ডের মাংসপেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রশ্ন-২০। Goitrogenic কি?
উত্তরঃ Goitrogenic হলো এক ধরনের সবজি যা শরীরের আয়োডিন গ্রহণ কমিয়ে দেয়। ফলে আয়োডিনের অভাবে গলগণ্ড (goitre) হয়। যেমন : পাতাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *