পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১০)

প্রশ্ন-১। তাড়িত চুম্বকের প্রাবল্য কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়?
উত্তরঃ তাড়িত চুম্বকের প্রাবল্য নিম্নোক্তভাবে বৃদ্ধি করা যায়–

  • শক্তিশালী চুম্বক ব্যবহার করে।
  • চুম্বককে বা তারকুণ্ডলীকে দ্রুত আনা নেওয়া করে।
  • তারকুণ্ডলীর পাকসংখ্যা বৃদ্ধি করে।

প্রশ্ন-২। তড়িৎ ক্ষমতা কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো পরিবাহক বা তড়িৎ যন্ত্রের মধ্য দিয়ে এক সেকেন্ড ধরে তড়িৎ প্রবাহের ফলে যে কাজ সম্পন্ন হয় বা যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তি অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয়, তাকে তড়িৎ ক্ষমতা বলে।

প্রশ্ন-৩। সীমাবদ্ধ ভেক্টর কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো স্থানে যে ভেক্টর কোনো কণার সুনির্দিষ্ট অবস্থান নির্দেশ করে তাকে সীমাবদ্ধ ভেক্টর বলে।

প্রশ্ন-৪। স্কেলার গুণন কাকে বলে?
উত্তরঃ দুটি ভেক্টরের যে গুণনে একটি স্কেলার রাশি পাওয়া যায় তাকে স্কেলার গুণন বলে।

প্রশ্ন-৫। গড় বেগ কাকে বলে?
উত্তরঃ যেকোনো সময় ব্যবধানে কোনো বস্তুর বা বস্তুকণার একক সময়ে যে সরণ হয় তাকে বস্তুটির বা কণাটির গড় বেগ বলে।

প্রশ্ন-৬। প্রাস কাকে বলে?
উত্তরঃ ভূমির সঙ্গে আনতভাবে ওপরের দিকে নিক্ষিপ্ত বস্তুকেই প্রাস বলে।

প্রশ্ন-৭। সুষম বৃত্তীয় গতি বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ বৃত্তাকার পথে সমদ্রুতিতে ঘূর্ণায়মান কোনো বস্তুকণার গতিকে সুষম বৃত্তীয় গতি বলে।

প্রশ্ন-৮। কেন্দ্রমুখী ত্বরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো বস্তুকণা যখন বৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকে তখন ব্যাসার্ধ বরাবর কেন্দ্রের দিকে একটি ত্বরণ ক্রিয়া করে, যাকে কেন্দ্রমুখী ত্বরণ বলে।

প্রশ্ন-৯। জড়তার ভ্রামক কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো অক্ষের সাপেক্ষে একটি দৃঢ় বস্তুর জড়তার ভ্রামক বলতে ওই অক্ষ থেকে বস্তুর প্রতিটি কণার দূরত্বের বর্গ ও ভরের গুণফলের সমষ্টিকে বোঝায়।

প্রশ্ন-১০। সঠিক ভেক্টর কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল ভেক্টরের মান শূন্য নয় তাদেরকে সঠিক ভেক্টর বলে।

প্রশ্ন-১১। ইলেকট্রনের তাড়ন দ্রুতি কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো পরিবাহকের মধ্যে মুক্ত ইলেকট্রনগুলো যে গড় বেগে প্রবাহিত হয়ে তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি করে তাকে ইলেকট্রনের তাড়ন দ্রুতি বলে।

প্রশ্ন-১২। তাপগতিবিদ্যা কাকে বলে?
উত্তরঃ পদার্থবিজ্ঞানের যে শাখায় তাপের সাথে শক্তি ও কাজের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে তাপগতিবিদ্যা (Thermodynamics) বলে। তাপগতিবিদ্যার মূলনীতিগুলি বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের সমস্ত শাখায় মৌলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন-১৪। কিলোগ্রাম কি?
উত্তরঃ আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে ভরের একক হলো কিলোগ্রাম। সংক্ষেপে এটি কেজি হিসেবে পরিচিত।

প্রশ্ন-১৫। সদ প্রতিবিম্ব কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো বিন্দু থেকে নিঃসৃত আলোক রশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হয়ে যদি দ্বিতীয় কোনো বিন্দুতে প্রকৃতপক্ষে মিলিত হয় তাহলে দ্বিতীয় বিন্দুকে প্রথম বিন্দুর বাস্তব প্রতিবিম্ব বা সদ প্রতিবিম্ব বলে।

প্রশ্ন-১৬। পারস্পরিক আবেশ কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো কুণ্ডলীতে তড়িৎ প্রবাহ পরিবর্তন করলে নিকটবর্তী অন্য একটি কুণ্ডলীতে যে তড়িৎ চুম্বক আবেশ সৃষ্টি হয় তাকে পারস্পরিক আবেশ (Mutual Induction) বলে।

প্রশ্ন-১৭। চুম্বক তৈরি করা যায় এমন ধাতুগুলো কি কি?
উত্তরঃ সাধারণত চৌম্বক পদার্থ দ্বারা চুম্বক তৈরি করা যায়। যেসব পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে এবং যাদের চুম্বকে পরিণত করা যায় তাকে চৌম্বক পদার্থ বলে। চৌম্বক পদার্থসমূহ হচ্ছে লোহা ও লোহার যৌগ এবং সেইসব সংকর ধাতু, যার মধ্যে লোহা ও ইস্পাত আছে। উদাহরণ : লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১৮। ক্যারেট কি? ১ ক্যারেট সমান কত গ্রাম?
উত্তরঃ ক্যারেট হলো একটি এককের নাম, যার সাহায্যে মূল্যবান পাথর ও ধাতু সামগ্রী পরিমাপ করা হয়। ১ ক্যারেট = ২ গ্রাম।

প্রশ্ন-১৯। আলফা কণার বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তরঃ আলফা কণার বৈশিষ্ট্য হলো–

  1. এর ভেদন ক্ষমতা কম।
  2. এটি মারাত্মক ক্ষতিকর ও বিপদজনক।
  3. এর বেগ আলোর বেগের শতকরা ১০ ভাগ।
প্রশ্ন-২০। সমতল দর্পণে সৃষ্ট বিম্বের বৈশিষ্ট্য কী কী?

উত্তরঃ সমতল দর্পণে সৃষ্ট বিম্বের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো–

  1. সমতল দর্পণে সৃষ্ট বিম্ব অসদ ও সোজা হয়। এরূপ বিম্বকে পর্দায় ফেলা যায় না।
  2. দর্পণ হতে লক্ষ্য বস্তুর দূরত্ব ও বিম্বের দূরত্ব সমান হয়।
  3. বিম্বের দৈর্ঘ্য লক্ষ্য বস্তুর দৈর্ঘ্যের সমান হয়।
  4. বিম্বের পার্শ্ব পরিবর্তন ঘটে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *