পড়াশোনা
1 min read

জীববিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১০)

প্রশ্ন-১। মিয়োসিস কোষ বিভাজন কোথায় ঘটে?
উত্তরঃ মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রধানত গ্যামেট সৃষ্টির সময় জনন মাতৃকোষে ঘটে। সপুষ্পক উদ্ভিদের পরাগধানী ও ডিম্বকের মধ্যে এবং উন্ন প্রাণিদেহে শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয়ের মধ্যে মিয়োসিস ঘটে।

প্রশ্ন-২। সঙ্গীকোষ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ ফ্লোয়েম টিস্যুর প্রতিটি সিভকোষের সাথে প্যারেনকাইমা জাতীয় একটি করে কোষ অবস্থান করে, যাকে সঙ্গীকোষ বলা হয়। এর কেন্দ্রিকা বেশ বড়।

প্রশ্ন-৩। কোষকঙ্কাল কি?
উত্তরঃ কোষঝিল্লি অতিক্রম করে কোষের ভিতরে ঢুকলে প্রথমেই কোষের চারদিকে জালের মতো ছড়িয়ে থাকা যে লম্বা এবং মোটা-চিকন মিলিয়ে অসংখ্য দড়ির মতো বস্তু নজরে পড়ে তাই কোষকঙ্কাল।

প্রশ্ন-৪। স্নায়ুকলা কাকে বলে? স্নায়ুকলার একক কি?
উত্তরঃ প্রাণিদেহের যে টিস্যু উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে উপযুক্ত প্রতিবেদন সৃষ্টি করতে পারে তাকে স্নায়ু টিস্যু বা স্নায়ুকলা বলে। স্নায়ুকলার একক হচ্ছে স্নায়ুকোষ বা নিউরন।

প্রশ্ন-৫। টিস্যু কাকে বলে?
উত্তরঃ বহুকোষী প্রাণীতে অনেকগুলো কোষ যখন কোনো নির্দিষ্ট কাজ করে তখন ঐ কোষগুলোকে একত্রে টিস্যু বা কলা বলে।

প্রশ্ন-৬। যোজক কলা কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব কলা প্রাণিদেহের বিভিন্ন কলা ও অঙ্গের মধ্যে সংযোগ সাধন করে তাদের যোজক কলা বলে। এই কলাতে মাতৃকার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি এবং কোষের সংখ্যা কম থাকে।

প্রশ্ন-৭। Morphology কী?
উত্তরঃ জীবের সার্বিক অঙ্গসংস্থানিক বা দৈহিক বর্ণনা নিয়ে ভৌত জীববিজ্ঞানের যে শাখায় আলোচনা করা হয় তাই Morphology।

প্রশ্ন-৮। গ্লুকোনিওজেনেসিস কাকে বলে?
উত্তরঃ গ্লুকোজের চাহিদার প্রেক্ষিতে যদি যকৃতে গ্লাইকোজেনের ঘাটতি পড়ে তখন নন-কার্বোহাইড্রেট উৎস যেমন অ্যামিনো এসিড ও গ্লিসারল প্রভৃতি থেকে গ্লুকোজ সংশ্লেষিত হয়। এ প্রক্রিয়াকে গ্লুকোনিওজেনেসিস বলে।

প্রশ্ন-৯। কোষদেহ কী?
উত্তরঃ কোষদেহ নিউরনের প্রধান অংশ। কোষদেহ কোষ আবরণী, সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস দ্বারা গঠিত। কোষদেহ বিভিন্ন আকৃতির হয়। যেমন– গোলাকার, ডিম্বাকার বা নক্ষত্রাকার। এই কোষে সেন্ট্রিওল থাকে না।

প্রশ্ন-১০। রাইজোম কি?
উত্তরঃ রাইজোম হলো এক প্রকার রূপান্তরিত কাণ্ড, যা মাটির নিচে সমান্তরালভাবে অবস্থান করে। যেমন- আদা

প্রশ্ন-১১। ইউরোকর্ডাটার বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
উত্তরঃ ইউরোকর্ডাটার বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ–
১. প্রাথমিক অবস্থায় এদের ফুলকা রন্ধ্র থাকে।
২. এদের পৃষ্ঠদেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ফাঁকা মেরুরজ্জু থাকে।
৩. এদের লেজে নটোকর্ড থাকে।
৪. এদের গলবিল প্রশস্ত ও অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত।

প্রশ্ন-১২। ফেলোপিয়ান নালি বা ডিম্বনালি বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ জরায়ুর দুই পাশ থেকে দুটি নালি উৎপন্ন হয়ে দুই ডিম্বাশয় পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। এদেরকে ফেলোপিয়ান নালি বা ডিম্বনালি বলে।
প্রতিটি ফেলোপিয়ান নালি ১২ সে.মি লম্বা হয়ে থাকে। ফেলোপিয়ান নালির প্রাচীর পেশিবহুল। ফেলোপিয়ান নালির শেষ প্রান্তে অবস্থিত অংশগুলোর মতো কিছু অভিক্ষেপকে ফিমব্রি বলে। ডিম্বপাতের পর স্থলিত ডিম্বাণুকে ফেলোপিয়ান নালিতে প্রবিষ্ট করানো এর কাজ।
ফিমব্রির ঠিক আগের স্ফীত অংশকে অ্যাম্পুলা (Ampulla) বলে। এখানে শুক্রাণু বা ডিম্বাণুর মিলন বা নিষেক ঘটে।

প্রশ্ন-১৩। হিলাম কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রতিটি বৃক্কের অবতল অংশে একটি খাঁজ দিয়ে রেচন ধমনী, শিরা ও লসিকা নালি বৃক্কে প্রবেশ করে ও বের হয় তাকে হিলাম (Hilum) বলে।

প্রশ্ন-১৪। অন্তঃঅভিস্রবণ কাকে বলে?
উত্তরঃ উদ্ভিদ বা প্রাণিদের অভ্যন্তরে কোষ থেকে কোষের মধ্যে যে অভিস্রবণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পানি চলাচল করে তাকে অন্তঃঅভিস্রবণ বলে।

প্রশ্ন-১৫। আইরিশের কাজ কি?
উত্তরঃ আইরিশের পেশিগুলো সংকুচিত ও প্রসারিত হতে পারে। এটির সংকোচন ও প্রসারণের ফলে পিউপিল ছোট-বড় হতে পারে, যার ফলে রেটিনায় আলোকরশ্মি প্রবেশ করতে পারে। অর্থাৎ আইরিশ চক্ষু লেন্সের ওপর আপতিত আলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এটিই আইরিশের কাজ।

প্রশ্ন-১৬। পিটুইটারি গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোন কোনটি?
উত্তরঃ পিটুইটারি গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোন হচ্ছে গোনাডোট্রপিক যা জননগ্রন্থির বৃদ্ধি, পরিপক্কতা, ক্ষরণ ও কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রশ্ন-১৭। যুক্ত ও বিযুক্ত বৃতি বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ বৃতি খণ্ডিত না হলে তাকে যুক্ত বৃতি বলা হয়। কিন্তু যখন বৃতি খণ্ডিত হয় তখন তাকে বিযুক্ত বৃতি বলা হয়।

প্রশ্ন-১৮। পানি ও খনিজ লবণ শোষণের ২টি পার্থক্য লেখ।
উত্তরঃ পানি ও খনিজ লবণ শোষণের ২টি পার্থক্য হলো–
i. পানির শোষণ হয় সরাসরি, আর খনিজ লবণের শোষণ হয় আয়ন আকারে।
ii. পানি মূলরোম দিয়ে শোষিত হয়, আর খনিজ লবণ শোষিত হয় ভাজক অঞ্চল দিয়ে।

প্রশ্ন-১৯। ভেদ্য পর্দা কাকে বলে? ভেদ্য পর্দার উদাহরণ

উত্তরঃ যে পর্দা দিয়ে দ্রাবক ও দ্রাব উভয়েরই অণু সহজে চলাচল করতে পারে তাকে ভেদ্য পর্দা বলে। কোষপ্রাচীর ভেদ্য পর্দার একটি উদাহরণ।

প্রশ্ন-২০। মিয়োসিস বিভাজনের প্রধান বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তরঃ মিয়োসিস বিভাজনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এতে ক্রোমোজোম একবার বিভাজিত হয়, নিউক্লিয়াস দুইবার বিভাজিত হয়। এর ফলে অপত্য কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার অর্ধেক হয়।

Rate this post