জীববিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১২)

admin
5 Min Read

প্রশ্ন-১। ক্রোমোসোমের আবিষ্কার সম্পর্কে লেখো।
উত্তরঃ ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে Strasburger নিউক্লিয়াসে ক্রোমোসোম আবিষ্কার করেন। ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে Walter Flemming ক্রোমোসোম বর্ণনা করেন এবং রং ধারণযোগ্য এ বস্তুকে নাম দেন ক্রোমোসোম। ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে W. Waldeyer সর্বপ্রথম ক্রোমোসোম নামটি ব্যবহার করেন।

প্রশ্ন-২। অ্যান্টিবডি (Antibody) কি?
উত্তরঃ দেহে যখন কোন রোগজীবাণু, ভাইরাস প্রভৃতি প্রবেশ করে, তখন তাদের প্রতিহত করার জন্য এক প্রকার প্রোটিন জাতীয় পদার্থ উৎপন্ন হয়। একে অ্যান্টিবডি (Antibody) বলে।

প্রশ্ন-৩। স্টার্চ ও সেলুলোজের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ স্টার্চ সরল শিকল ও শাখা শিকল পলিমার। অপরদিকে, সেলুলোজ একটি সরল শিকল পলিমার। স্টার্চ মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অপরদিকে, মানুষ সেলুলোজ হজম করতে পারে না বলে গরু ও ছাগলের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-৪। লাইগেশন কি?
উত্তরঃ লাইগেশন হলো গর্ভনিরোধের একটি স্থায়ী পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে মহিলাদের ক্ষেত্রে উভয় দিকের ফেলোপিয়ান নালির অংশ কেটে বেঁধে দেয়া হয়। ফলে শুক্রাণু প্রবেশের পথ বন্ধ হয়ে যায়। যেসব দম্পতি আর সন্তান চান না তাদের জন্য এ পদ্ধতি প্রযোজ্য।

প্রশ্ন-৫। বিগ বেবি সিনড্রোম কি?
উত্তরঃ জন্মের সময় অতিরিক্ত ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়ার সমস্যাই বিগ বেবি সিনড্রোম নামে পরিচিত। দীর্ঘ গর্ভকালীন সমস্যাকেও অনেক সময় বিগ বেবি সিনড্রোম বলা হয়ে থাকে।

প্রশ্ন-৬। আইভিএফ (IVF) কি?
উত্তরঃ IVF হচ্ছে মানবদেহের বাইরে শুক্রাণুর দ্বারা ডিম্বাণু নিষিক্ত করার পদ্ধতি। এ পদ্ধতিকে কৃত্রিম সন্তান জন্মদান পদ্ধতিও বলা হয়ে থাকে। এ পদ্ধতির মাধ্যমে অনেক সন্তান জন্মদানে অক্ষম নারী সন্তান লাভ করে থাকেন।

প্রশ্ন-৭। গ্যামিটোজেনেসিস কি?
উত্তরঃ গ্যামিটোজেনেসিস হচ্ছে গ্যামেট বা জননকোষ সৃষ্টির প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় জনন মাতৃকোষ হতে স্ত্রী জনন অঙ্গে ডিম্বাণু ও পুরুষের জনন অঙ্গে শুক্রাণু তৈরি হয়।

প্রশ্ন-৮। এপিডিডিমিস কি?
উত্তরঃ এপিডিডিমিস হলো পুরুষ প্রজনন তন্ত্রের একটি নালি যা শুক্রাশয় ও ভাস ডিফারেন্সকে যুক্ত করে। এটি সকল পুরুষ সরীসৃপ,পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহে থাকে।এটি একটি একক, সরু, ঘন-কুণ্ডলীকৃত নালি। মানব দেহে এর দৈর্ঘ্য ৬-৭ মিটার।

প্রশ্ন-৯। যৌন দ্বিরূপতা কি?
উত্তরঃ একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত স্ত্রী ও পুরুষ সদস্যদের মধ্যে পার্থক্যসূচক শারীরিক এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতিই ঐ প্রজাতির যৌন দ্বিরূপতা।

প্রশ্ন-১০। পামেলা দশা কি?
উত্তরঃ পরিবেশে পানি শুকিয়ে গেলে Ulothrix-এর প্রোটোপ্লাস্ট বিভক্ত হয়ে কলোনি সৃষ্টি করে এবং মিউসিলেজ নিঃসৃত আবরণীতে অপত্য কোষগুলো আবৃত থাকে। এ অবস্থাকে বলা হয় পামেলা দশা। পামেলা দশা শৈবালকে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে।

প্রশ্ন-১১। বাডিং কি?
উত্তরঃ বাডিং হলো ছত্রাকের এক ধরনের জনন যাতে ছত্রাকের দেহ থেকে কুঁড়ি সৃষ্টি হয় এবং কুঁড়িটি আলাদা হয়ে একটি স্বতন্ত্র ছত্রাকের সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন-১২। কাসপিরিয়ান স্ট্রিপ কি?
উত্তরঃ অন্তঃত্বকের কোষগুলোর ভেতরের প্রাচীর ফিতার ন্যায় যে লিগনিন ও সুবেরিনের আস্তরণ দিয়ে বেষ্টিত থাকে তাই কাসপিরিয়ান স্ট্রিপ।

প্রশ্ন-১৩। নিষ্ক্রিয় শোষণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ বিজ্ঞানীদের অনেকে মনে করেন যে উদ্ভিদের খনিজ লবণ শোষণ ব্যাপন প্রক্রিয়ায় হয়। মাটির দ্রবণ এবং মূলরোমের কোষের দ্রবণের ঘনত্বের অসমতাকে কাজ লাগিয়ে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় খনিজ লবণ উদ্ভিদ কোষে প্রবেশ করে। দ্রবণ দুটির ঘনত্ব যতক্ষণ পর্যন্ত সমান না হয় ততক্ষণ এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এ শোষণ প্রক্রিয়ায় কোনো বিপাকীয় শক্তির প্রয়োজন হয় না বলে একে নিষ্ক্রিয় শোষণ বলা হয়।

প্রশ্ন-১৪। আবৃতবীজী উদ্ভিদ কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব উদ্ভিদের ফুল, ফল ও বীজ উৎপন্ন হয় এবং বীজ নির্দিষ্ট আবরণ দিয়ে আবৃত থাকে তাদের আবৃতবীজী উদ্ভিদ বলে।

প্রশ্ন-১৫। খাদ্য জাল ও খাদ্য শৃঙ্খলের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ খাদ্য জাল ও খাদ্য শৃঙ্খলের মধ্যে পার্থক্য হলো– খাদ্য জাল একটি পরিবেশে বিদ্যমান বিভিন্ন খাদ্য শৃঙ্খলের মধ্যে সম্পর্ক প্রকাশ করে। অপরদিকে, খাদ্য শৃঙ্খল একটি পরিবেশের উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে শক্তি প্রবাহের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া প্রকাশ করে।

প্রশ্ন-১৬। অপ্রতিসাম্য কি?
উত্তরঃ যখন কোনো প্রাণীর দেহকে অক্ষ বা দেহতল বরাবর ছেদ করলে একবারও সদৃশ দুটি অংশে ভাগ করা যায় না তখন তাকে অপ্রতিসাম্য বলে। উদাহরণ– স্পঞ্জ (Cliona celata), শামুক (Pila globosa) ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১৭। সিস্টার্নি ও ভেসিকল বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ গলজি বস্তুতে অবস্থিত অসমান দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ও সমান্তরালে সজ্জিত লম্বা ও চ্যাপ্টা নালিসদৃশ বস্তুগুলোই সিস্টার্নি। আর গলজি বস্তুতে অবস্থিত বর্তুলাকার ফোস্কার মতো অংশগুলোই হলো ভেসিকল।
প্রশ্ন-১৮। জীবের শ্বসন কাজ কোন সময় ঘটে?
উত্তরঃ জীবের শ্বসন দিন রাত ২৪ ঘণ্টা ঘটে।

প্রশ্ন-১৯। জিন প্রকৌশল কি?
উত্তরঃ জিন প্রকৌশল হচ্ছে বংশগতির প্রযুক্তিবিদ্যা। যে পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষের প্রয়োজনে কোনো জীবের জিনোমের মধ্যে নতুন জিন যোগ করা বা কোনো জিন অপসারণ করা বা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হয়, সে পদ্ধতিকে জিন প্রকৌশল বলা হয়।

প্রশ্ন-২০। জীবন্ত জীবাশ্ম কাকে বলে?
উত্তরঃ বর্তমান কালের কোনো জীবিত উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য অতীতকালের কোন জীবাশ্ম উদ্ভিদের সাথে মিল সম্পন্ন হলে তাকে জীবন্ত জীবাশ্ম বলে।

Share this Article
Leave a comment
x