Modal Ad Example
পড়াশোনা

রসায়ন প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১৭)

1 min read

প্রশ্ন-১। পাতন কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো তরলকে তাপ প্রদানে বাষ্পে পরিণত করে তাকে পুনরায় শীতলীকরণের মাধ্যমে তরলে পরিণত করার পদ্ধতিকে পাতন বলে।

প্রশ্ন-২। বাষ্পীভবন কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো তরলকে তাপ প্রদান করে ঐ তরল পদার্থকে বাষ্পে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে বাষ্পীভবন বলে।

প্রশ্ন-৩। স্বতঃবাষ্পীভবন কাকে বলে?
উত্তরঃ তরল পদার্থের যে কোন তাপমাত্রায় উপরিতল থেকে ধীরে ধীরে বাষ্পে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে স্বতঃবাষ্পীভবন বলে।

প্রশ্ন-৪। প্রমাণ তড়িৎদ্বার বিভব কাকে বলে?
উত্তরঃ 25°C উষ্ণতায় কোনো ধাতব তড়িৎদ্বারকে ঐ ধাতুর লবণের 1M ঘনমাত্রার দ্রবণে নিমজ্জিত করলে তড়িৎদ্বার ও দ্রবণের সংযোগস্থলে যে বিভব পার্থক্যের সৃষ্টি হয় তার বিজারণ বিভবকে ঐ ধাতুর প্রমাণ তড়িৎদ্বার বিভব বলে।

প্রশ্ন-৫। তড়িৎবিশ্লেষ্য পরিবাহী কি?
উত্তরঃ তড়িৎবিশ্লেষ্য পরিবাহী হলো ঐ সকল পরিবাহী যাদেরকে উপযুক্ত দ্রাবকে দ্রবীভূত বা বিগলিত অবস্থায় তড়িৎ প্রবাহের প্রভাবে বিশ্লিষ্ট হওয়ার ফলে উৎপন্ন আয়ন দ্বারা তড়িতের পরিবহন ঘটে এবং একই সাথে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে।

প্রশ্ন-৬। ডিটারজেন্টের রাসায়নিক নাম কি?
উত্তরঃ ডিটারজেন্টের রাসায়নিক নাম সোডিয়াম লরাইল সালফেট।

প্রশ্ন-৭। লিটমাস কি?
উত্তরঃ লিটমাস হলো বিশেষ এক ধরনের কাগজ যা নিজের রং পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনো একটি পদার্থের অম্ল বা ক্ষার নির্দেশ করে। লাইকেন নামক এক ধরনের গাছ থেকে প্রাপ্ত রস থেকে লিটমাস কাগজ তৈরি করা হয়।

প্রশ্ন-৮। তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে অস্থায়ী আইসোটোপ বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় রশ্মি ও কণা বিকিরণ করে তাদেরকে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বলে।

প্রশ্ন-৯। নির্দেশক কি?
উত্তরঃ নির্দেশক হলো সেসব পদার্থ যারা নিজেদের রং পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনো একটি বস্তু অম্ল, ক্ষার না নিরপেক্ষ তা নির্দেশ করে। যেমন– লিটমাস কাগজ, মিথাইল অরেঞ্জ, ফেনোফথ্যালিন ইত্যাদি নানা রকমের নির্দেশক।

প্রশ্ন-১০। বিয়োজন বিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বিক্রিয়ায় কোনো যৌগ ভেঙ্গে তার সরলতম উপাদানে রূপান্তরিত হয়, তাকে বিয়োজন বিক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন-১১। পাকা আম খেতে মিষ্টি লাগে কেন?
উত্তরঃ আমে নিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড থাকে। যেমন : সাক্সিনিক এসিড, ম্যালেয়িক এসিড ইত্যাদি। আম যখন পাকে তখন এই এসিডগুলোর রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে গ্লুকোজ ও ফ্লুক্টোজের সৃষ্টি হয়, তাই পাকা আম খেতে মিষ্টি লাগে।

প্রশ্ন-১২। কাঠ জ্বালানোর অর্থ কার্বন যৌগের দহন ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ কাঠ হলো প্রধানত কার্বন দিয়ে গঠিত সেলুলোজ এর যৌগ। সুতরাং কাঠে আগুন জ্বালালে তা বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস, জলীয় বাষ্প ও তাপ উৎপন্ন করে। সুতরাং, কাঠ জ্বালানোর অর্থই হলো কার্বন যৌগের দহন।

প্রশ্ন-১৩। অ্যাভোগেড্রোর ৩য় অনুসিদ্ধান্তটি লেখ।
উত্তরঃ অ্যাভোগেড্রোর ৩য় অনুসিদ্ধান্তটি হচ্ছে– “একই তাপমাত্রা ও চাপে সকল গ্যাসেরই মোলার আয়তন সমান এবং প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে তা 22.4 লিটার।”

প্রশ্ন-১৪। মোমবাতি কি?
উত্তরঃ মোমবাতি হল হাইড্রোকার্বন অর্থাৎ হাইড্রোজেন ও কার্বনের যৌগ। মোমবাতিকে বাতাসে জ্বালানো হলে বায়ুর অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও জলীয়বাষ্প উৎপন্ন করে।

প্রশ্ন-১৫। এটম শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ এটম বা ‘atomos’ শব্দটি দুটি গ্রিক শব্দ থেকে উদ্ভূত। এটম শব্দের অর্থ অবিভাজ্য। atomos যাকে বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায় a অর্থ না এবং tomos অর্থ ভাগ করা। সুতরাং শাব্দিক অর্থে যা ভাগ করা যায় না।

প্রশ্ন-১৬। দুগ্ধবর্তী গাভীকে ক্যালসিয়াম কার্বনেট খাওয়ানো হয় কেন?
উত্তরঃ দুধের প্রধান উপাদান ক্যালসিয়াম। দুধের সাথে গাভীর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম বেরিয়ে যায়। এতে গাভীর শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই এ ঘাটতি পুরণের জন্য গাভীকে খাদ্যের সাথে ক্যালসিয়াম কার্বনেট খাওয়ানো হয়।

প্রশ্ন-১৭। যৌগে ধাতুর জারণ সংখ্যা ধনাত্মক হয় কেন?
উত্তরঃ আমরা জানি, ধাতুসমূহের জারণ সংখ্যা ধনাত্মক এবং অধাতুসমূহের জারণ সংখ্যা ঋণাত্মক। আর যৌগে ধাতুসমূহ ইলেকট্রন দান করে যৌগ গঠন করে তাই যৌগে ধাতুর জারণ সংখ্যা ধনাত্মক।

প্রশ্ন-১৮। রসায়নে কয়েকটি পরিষ্কারক সামগ্রীর নাম কি?
উত্তরঃ রসায়নে কয়েকটি পরিষ্কারক সামগ্রীর নাম হলো– ১. টয়লেট সাবান, ২. শ্যাম্পু, ৩. টুথপেস্ট, ৪. লন্ড্রি সাবান, ৫. ডিটারজেন্ট, ৬. কাপড় কাচার সোডা, ৭. ব্লিচিং পাউডার, ৮. গ্লাস ক্লিনার, ৯. টয়লেট ক্লিনার ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১৯। খাদ্য লবণ বা সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) এর ব্যবহার উল্লেখ কর।
উত্তরঃ সোডিয়াম লবণ আমাদের শরীরের ইলেকট্রোলাইটের চাহিদা পূরণ করে। খাবার লবণ ছাড়াও সোডিয়াম ক্লোরাইড বিভিন্ন যৌগ প্রস্তুতিতে, ঔষধ শিল্পে, সাবান শিল্পে এবং বস্ত্র রঞ্জন শিল্পে রং পাকা করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-২০। কৃত্রিমভাবে ফল কীভাবে পাকানো হয়?
উত্তরঃ কৃত্রিমভাবে কাচা ফলকে ইথিলিন গ্যাস দিয়ে পাকানো হয়। ব্যবসায়ীরা জেনারেটরের মাধ্যমে উৎপন্ন ইথিলিন গ্যাস পরিমিত পরিমাণ প্রয়োগ করে ফল পাকায়। ফল পাকানোর জন্য গুদামের বাতাসে 0.1% ইথিলিন গ্যাস বিদ্যমান রাখলেই চলে। এছাড়া আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে ফল পাকায় এটি পানির সাথে বিক্রিয়া করে অ্যাসিটিলিন গ্যাস উৎপন্ন করে যা ফল পাকায়।

CaC2 + 2H2O → C2H2 + Ca(OH)2
Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x