রসায়ন প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১৮)
প্রশ্ন-১। রসায়ন কাকে বলে?
উত্তরঃ বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থের গঠন, পদার্থের ধর্ম এবং পদার্থের পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে রসায়ন বলে।
প্রশ্ন-২। কেলাস কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো কঠিন পদার্থের স্বচ্ছ, স্ফটিকাকার ও নির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকৃতির গঠনকে কেলাস বলে।
প্রশ্ন-৩। ঋণাত্মক যৌগমূলক কাকে বলে?
উত্তরঃ যে যৌগমূলক অধাতুর মতো আচরণ করে তাকে ঋণাত্মক যৌগমূলক বলে। যেমন সালফেট (SO4) একটি ঋণাত্মক যৌগমূলক।
প্রশ্ন-৪। বেকিং পাউডারের মূল উপাদান কি?
উত্তরঃ বেকিং পাউডারের মূল উপাদান হলো সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট। চুনাপাথর, অ্যামোনিয়া গ্যাস এবং খাবার লবণ ব্যবহার করে সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট প্রস্তুত করা হয়।
প্রশ্ন-৫। পরমাণুতে ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউটন ছাড়া আর কোন কণিকার অস্তিত্ব আছে কী?
উত্তরঃ পরমাণুতে ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউটন ছাড়া আর কোন কণিকার অস্তিত্ব নেই। ইলেকট্রণ পরমাণুর বহিঃস্থ শেলে অবস্থান করে। প্রোটন ও নিউট্রন নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে অবস্থান করে।
প্রশ্ন-৬। পরমাণু মডেল কি?
উত্তরঃ পরমাণুতে ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন যেভাবে সজ্জিত থাকে তা প্রকাশের পদ্ধতিই পরমাণুর মডেল।
প্রশ্ন-৭। পরমাণুর ভরসংখ্যা কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনাে পরমাণুর অন্তর্গত প্রােটন ও নিউট্রনের মােট সংখ্যাকে সেই পরমাণুর ভরসংখ্যা বলে।
প্রশ্ন-৮। নিউট্রনের বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তরঃ নিচে নিউট্রনের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হলো :
১. নিউট্রনের ভর হাইড্রোজেন পরমাণুর ভরের প্রায় সমান। সুতরাং নিউট্রনের প্রকৃত ভর হল 1.675 × 10-24g।
২. নিউট্রন আধান নিরপেক্ষ।
৩. নিউট্রন নিউক্লিয়াসের মধ্যে থাকে।
৪. নিউট্রনের আসল ভর প্রোটন অপেক্ষা সামান্য বেশি।
প্রশ্ন-৯। লোহা ও সালফার কোন ধরনের পদার্থ?
উত্তরঃ লোহা ও সালফার হল মৌলিক পদার্থ। লোহা ও সালফার উভয় মৌলিক পদার্থ হলেও এদের ধর্ম সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেমন– লোহা ধাতু এবং সালফার অধাতু।
প্রশ্ন-১০। রাসায়নিক আসক্তি কাকে বলে?
উত্তরঃ রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটনের জন্য বিক্রিয়ক পদার্থগুলোর পরমাণুসমূহ পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হওয়ার জন্য যে প্রবল আকর্ষণ শক্তি অনুভব করে তাকে রাসায়নিক আসক্তি বলে।
প্রশ্ন-১১। ঊর্ধ্বপাতন কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় কোনাে কঠিন পদার্থকে তাপ প্রদান করে সরাসরি বাষ্পে পরিণত করা যায় সেই প্রক্রিয়াকে ঊর্ধ্বপাতন বলে।
প্রশ্ন-১২। নিউক্লিয়াসে কোন কোন মৌলিক কণিকা থাকে?
উত্তরঃ 1911 সালে রাদারফোর্ড প্রমাণ করেন যে, পরমাণুর একটি কেন্দ্র আছে। এই কেন্দ্রকে তিনি নিউক্লিয়াস নাম দেন। পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন নামক দুই ধরনের মূল কণিকা থাকে।
প্রশ্ন-১৩। মৌলিক কণিকা কাকে বলে?
উত্তরঃ পরমাণুকে ভাঙ্গলে যে কণিকা পাওয়া যায় তাকে মৌলিক কণিকা বলে।
প্রশ্ন-১৪। মৌলিক কণিকাগুলো কি কি?
উত্তরঃ মৌলিক কণিকাগুলো হচ্ছে ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন।
প্রশ্ন-১৫। প্রমাণ দ্রবণ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে দ্রবণের মাত্রা জানা আছে তাকে প্রমাণ দ্রবণ বলে।
প্রশ্ন-১৬। ভরক্রিয়া সূত্র কী?
উত্তরঃ ভরক্রিয়া সূত্রটি হলো– “নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট সময়ে যেকোনো বিক্রিয়ার হার ঐ সময়ে উপস্থিত বিক্রিয়কগুলোর সক্রিয় ভরের (অর্থাৎ মোলার ঘনমাত্রা বা আংশিক চাপের) সমানুপাতিক হয়।”
প্রশ্ন-১৭। সমসত্ত্ব সাম্য কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল সাম্য বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক ও উৎপাদ একই ফেজ বা দশায় বা ভৌত অবস্থায় থাকে তাদেরকে সমসত্ত্ব সাম্য বলে।
প্রশ্ন-১৮। জ্বালানি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সব বস্তু বায়ুর অক্সিজেনে দহনের ফলে প্রচুর তাপশক্তি উৎপন্ন করে তাদেরকে প্রধানত জ্বালানি বলে।
প্রশ্ন-১৯। পিলেট কাকে বলে?
উত্তরঃ প্লাস্টিকের রিসাইকেলে প্রাপ্ত দানাকৃতির বা ছোট সিলিন্ডার আকৃতির প্লাস্টিককে পিলেট বলে।
প্রশ্ন-২০। VOCs কি?
উত্তরঃ শিল্প ক্ষেত্র থেকে নির্গত উদ্বায়ী জৈব হাইড্রোকার্বনকে (Volatile Organic Hydrocarbons) কে VOCs বলা হয়।