পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১৭)
প্রশ্ন-১। কর্মদক্ষতা কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো যন্ত্র থেকে পাওয়া মোট কার্যকর শক্তি ও যন্ত্রে প্রদত্ত মোট শক্তির অনুপাতকে সেই যন্ত্রের কর্মদক্ষতা বলে। কর্মদক্ষতাকে সাধারণত η (ইটা) দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্ন-২। অভিকর্ষ বিভবশক্তি কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো বস্তুকে ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরে উঠাতে হলে অভিকর্ষ বলের বিরুদ্ধে কিছু কাজ করতে হয়, যা ঐ বস্তুতে বিভবশক্তি হিসেবে সঞ্চিত থাকে। এ শক্তিকে অভিকর্ষ বিভবশক্তি বলে।
প্রশ্ন-৩। পদার্থ সম্পর্কে অ্যারিস্টটলের মতবাদ কী?
উত্তরঃ অ্যারিস্টটলের মতে, পদার্থসমূহ অবিচ্ছেদ্য এবং ভাঙনের কোনো সীমা নেই, অর্থাৎ যতই ভাঙা হোক না কেন, পদার্থের কণাগুলো ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্রতর হতে থাকবে।
প্রশ্ন-৪। অশ্রু কি?
উত্তরঃ কর্নিয়া ও চক্ষুলেন্সের মধ্যবর্তী স্থান যে স্বচ্ছ লবণাক্ত জলীয় পদার্থ দ্বারা পূর্ণ থাকে তাকে অ্যাকুয়াস হিউমার বলে। এই অ্যাকুয়াস হিউমার হলো অশ্রু।
প্রশ্ন-৫। পারমাণবিক গঠনের জন্য কী কী বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখতে হয়?
উত্তরঃ পারমাণবিক গঠনের জন্য দুটি বিষয় বিবেচনা করা হয়। যথা– ১. সর্বশেষ কক্ষে ৮টির বেশি ইলেকট্রন থাকতে পারবে না। ২. যে কোনো কক্ষে ১৮টির বেশি ইলেকট্রন বেশি থাকবে না।
প্রশ্ন-৬। নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞান কি?
উত্তরঃ নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞান পদার্থবিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে পারমাণবিক নিউক্লিয়াস এবং তাদের উপাদান এবং মিথস্ক্রিয়া সমন্ধে অধ্যয়ন করা হয়। পারমাণবিক বিষয়বস্তুগুলির অন্যান্য বিন্যাস গুলিও এখানে অধ্যয়ন করা হয়।
প্রশ্ন-৭। পরিমাপের একক কি?
উত্তরঃ যে আদর্শ পরিমাণের সাথে তুলনা করে ভৌত রাশিকে পরিমাপ করা হয় তাকে বলা হয় পরিমাপের একক।
প্রশ্ন-৮। শক্তি ও বলের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ কোন কাজ করার জন্য ক্ষমতা অর্জন করাই মূলত শক্তি। আর বল হচ্ছে সেই জিনিস যা একটি স্থিতিশীল বস্তুর উপর প্রয়োগ করলে বস্তুটিকে গতিশীল করে বা করতে চায়; অথবা গতিশীল বস্তুর ওপর প্রয়োগ করলে বস্তুর গতিকে পরিবর্তন করে বা পরিবর্তন করতে চায়।
প্রশ্ন-৯। সুরশলাকা কি?
উত্তরঃ সুরশলাকা একটি দুই বাহু বিশিষ্ট যন্ত্র, যাকে কোন কিছুর সাথে আঘাত করা হলে এর বাহুগুলো প্রচণ্ড কম্পন সৃষ্টি করে, যার ফলে শব্দ শোনা যায়।
প্রশ্ন-১০। কাচ কি?
উত্তরঃ কাচ একটি স্বচ্ছ, অদানাদার, ভঙ্গুর কঠিন পদার্থ। এটি তাপ ও বিদ্যুৎ অপরিবাহী। সাধারণত কাচ সোডিয়াম সিলিকেট ও ক্যালসিয়াম সিলিকেটের মিশ্রণ। তবে রঙিন কাচে অবস্থান্তর ধাতুর (যেমন নিকেল) সিলিকেট থাকে।
প্রশ্ন-১১। ফটো তড়িৎ প্রবাহ কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো ধাতু খণ্ডের ওপর উচ্চ কম্পনাঙ্কের তড়িৎচ্চুম্বকীয় বিকিরণ আপতিত হলে এর পৃষ্ঠ হতে ইলেকট্রন নিঃসরণের মাধ্যমে তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি হওয়ার ঘটনাকে ফটো তড়িৎ প্রবাহ বলে।
প্রশ্ন-১২। কোন বিজ্ঞানী ইলেকট্রন আবিষ্কার করেন?
উত্তরঃ জে. জে. থমসন।
প্রশ্ন-১৩। বৈজ্ঞানিক সূত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ যখন কোনো তত্ত্ব অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সাহায্যে প্রমাণিত হয় এবং এর মূল কথাগুলো একটি উক্তির সাহায্যে প্রকাশ করা হয় তখন একে বৈজ্ঞানিক সূত্র বলে।
প্রশ্ন-১৪। ভৌতবিজ্ঞান কি?
উত্তরঃ ভৌতবিজ্ঞান হচ্ছে ভৌত জগতের অন্তর্গত বিজ্ঞান। অর্থাৎ, যাদের জীবন নেই, তাদের সম্পর্কিত বিজ্ঞানই হচ্ছে ভৌতবিজ্ঞান। এটি বিজ্ঞানের সবচেয়ে আদিম ও আধুনিক শাখা।
প্রশ্ন-১৫। আর্দ্রতা কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনাে স্থানের বা একটি নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প থাকে অর্থাৎ বায়ু কতটুকু শুকনো বা ভেজা থাকে তার নির্দেশককে বায়ুর আর্দ্রতা বলে।
প্রশ্ন-১৬। অন্তরক কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে না, তাদেরকে অন্তরক বলে।
প্রশ্ন-১৭। তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ কি?
উত্তরঃ তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ হলো এক প্রকার শক্তি, যা আলোর অনুরূপ বেগে যেকোনো মাধ্যম ব্যতিত তরঙ্গ আকারে বিচ্ছুরিত হয়।
প্রশ্ন-১৮। তীব্রতা লেভেল কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো শব্দের তীব্রতা ও প্রমাণ তীব্রতার অনুপাতের দশ ভিত্তিক লগারিদমকে তীব্রতা লেভেল বলে। তীব্রতা লেভেলের একক হচ্ছে বেল।
প্রশ্ন-১৯। পৃথিবী ও সূর্য সমান বলে পরস্পরকে আকর্ষণ করে। তবুও পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরে কেন?
উত্তরঃ পৃথিবী ও সূর্য একে অপরকে সমান বলে আকর্ষণ করে। এ বল পৃথিবীর কেন্দ্রমুখী বলের যোগান দেয়। কিন্তু সূর্যের তুলনায় পৃথিবীর ভর অতি নগন্য। তাই সূর্যের কোন কেন্দ্রমুখী বল বা ত্বরণ হয় না। তাই সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে না এবং পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরে।
প্রশ্ন-২০। পদার্থের চতুর্থ অবস্থাকে কী বলে?
উত্তরঃ পদার্থের চতুর্থ অবস্থাকে প্লাজমা অবস্থা বলে।