প্রশ্ন-১। বংশগতিবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় কেন?
উত্তরঃ বংশগতিবিদ্যায় তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হলো জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখার প্রধান বৈশিষ্ট্য। এ কারণেই বংশগতিবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয়।
প্রশ্ন-২। সিমবায়োন্ট কাকে বলে?
উত্তরঃ বিভিন্ন প্রকার গাছপালা ও প্রাণিদের মধ্যে বিদ্যমান জৈবিক সম্পর্কগুলোকে সহ-অবস্থান নামে অাখ্যায়িত করা যায়। আর সম্পর্কযুক্ত জীবগুলিকে সহবাসকারী বা সিমবায়োন্ট বলে।
প্রশ্ন-৩। কীটতত্ত্ব জীববিজ্ঞানের কোন শাখার অন্তর্ভুক্ত?
উত্তরঃ কীটতত্ত্ব জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখার অন্তর্ভুক্ত। কীট পতঙ্গের জীবন, উপকারিতা, অপকারিতা, ক্ষয়ক্ষতি, দমন ইত্যাদি সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হয়। কাজেই জীবের প্রয়োগিত বিষয় আলোচিত হওয়ায় এটি ফলিত জীববিজ্ঞানের আওতাভুক্ত।
প্রশ্ন-৪। শারীরবিদ্যা কাকে বলে?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবদেহের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জৈবরাসায়নিক কার্যাদি এবং জীবের যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় কাজের বিবরণ আলোচনা করা হয় তাকে শারীরবিদ্যা বলে।
প্রশ্ন-৫। কাইম কাকে বলে?
উত্তরঃ পাকস্থলির অনবরত সংকোচন ও প্রসারণ এবং এনজাইমের ক্রিয়ার ফলে খাদ্য মিশ্র মণ্ডে পরিণত হয়। একে পাকমণ্ড বা কাইম বলে। এই মণ্ড অনেকটা স্যুপের মতো।
প্রশ্ন-৬। ব্যাকটেরিয়া কি?
উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়া হলো এক ধরনের অতিক্ষুদ্র আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত অসবুজ এককোষী জীব।
প্রশ্ন-৭। অজীর্ণতা নিয়ন্ত্রণে করণীয় কী?
উত্তরঃ অজীর্ণতা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে যা করতে হবে তা হলো–
১. বেশি খাওয়া দাওয়া না করা।
২. আস্তে আস্তে ভালোভাবে খাবার চিবিয়ে খাওয়া।
৩. ধুমপান (যেমন- সিগারেট, বিড়ি, তামাক জাতীয় কোনো কিছু) পরিহার করা।
৪. প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা।
প্রশ্ন-৮। অক্সিজোম কাকে বলে?
উত্তরঃ ক্রিস্টির গায়ে বৃন্তযুক্ত গোলাকার বস্তু থাকে, একে অক্সিজোম বলে।
প্রশ্ন-৯। ক্যারােলাস লিনিয়াসকে দ্বিপদ নামকরণের জনক বলা হয় কেন?
উত্তরঃ সুইডিশ বিজ্ঞানী ক্যারােলাস লিনিয়াস তার Systema Naturae গ্রন্থের ১০ সংস্করণে দ্বিপদ নামকরণ নীতি প্রবর্তন করেন এবং গণ ও প্রজাতির সংজ্ঞা দেন। তিনিই প্রথম ঐ গ্রন্থে জীবের পর্ব, শ্রেণি, বর্গ, পাত্র, গণ এবং প্রজাতির ধাপগুলাে ব্যবহার করেন। এজন্যই তাকে দ্বিপদ নাকরণের জনক বলা হয়।
প্রশ্ন-১০। লসিকা কী?
উত্তরঃ বিভিন্ন টিস্যুর মধ্যবর্তী স্থানে যে জলীয় পদার্থ জমা হয় তা কতকগুলো ছোট নালীর মাধ্যমে সংগৃহীত হয়। ছোট নালীগুলো মিলিত হয়ে আবার বৃহত্তম নালীতে পরিণত হয়। এই নালীগুলোকে লসিকানালী এবং সংগৃহীত রসকে লসিকা বলে। লসিকার মধ্যে কিছু লসিকা কোষ বিদ্যমান। লসিকা ঈষৎ ক্ষারীয়, স্বচ্ছ ও হলুদ বর্ণের তরল।
প্রশ্ন-১১। শৈবাল খাদ্য উৎপাদন করতে পারে কেন?
উত্তরঃ শৈবালের কোষে ক্লোরােফিলযুক্ত প্লাস্টিড থাকে বলে এরা নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করতে পারে। শৈবাল প্রকৃত নিউক্লিয়াসযুক্ত সালোকসংশ্লেষণকারী উদ্ভিদ। এদের দেহকোষে বিদ্যমান সবুজ ক্লোরােফিলযুক্ত বর্ণকণিকা সূর্যের আলাের সাথে সালোকসংশ্লেষণ বিক্রিয়া করে। তাই শৈবাল খাদ্য উৎপাদন করতে পারে।
প্রশ্ন-১২। সন্ধিস্থল থেকে অস্থি বিচ্যুৎ হয় না কেন?
উত্তরঃ সন্ধিস্থল হলো দুই বা ততোধিক অস্থির সংযোগস্থল। প্রতিটি অস্থিসন্ধির অস্থিসমূহ এক ধরনের স্থিতিস্থাপক রজ্জুর মতো বন্ধনী দিয়ে দৃঢ়ভাবে আটকানো থাকে। এ কারণে সন্ধিস্থল থেকে অস্থি বিচ্যুত হয় না।
প্রশ্ন-১৩। সার্স এর লক্ষণ কি?
উত্তরঃ সার্স রোগের লক্ষণ অনেকটা নিউমোনিয়া রোগের মতো। সার্সের সাধারণ লক্ষণ হচ্ছে জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট। এ রোগে শ্বাসকষ্টের মাত্রা অত্যন্ত বেশি বলে এর নামকরণ করা হয়েছে Severe Acute Respiratory Syndrome সংক্ষেপে SARS. এ রোগের প্রধান লক্ষণগুলো হলো– মাঝারি থেকে তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট, কাশি, খিচুনি, গলার অস্বস্তি ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব, মাথাব্যথা, ক্ষুধামান্দ্য, অরুচিসহ গায়ে রেশ উঠা, ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে শ্বাসকষ্ট ও শুকনা কাশি তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিঃশেষ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৪। অঙ্গজ জনন বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ কোষের প্রোটোপ্লাস্টের কোনরূপ পরিবর্তন না ঘটিয়ে জীবদেহের কোন অঙ্গ হতে নতুন জীবের সৃষ্টি হওয়াকে কিংবা জীবদেহের কোন অংশ মাতৃদেহ হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনভাবে জীবন-যাপন শুরু করলে তাকে অঙ্গজ জনন বলে।
প্রশ্ন-১৫। দাঁদ কী?
উত্তরঃ দাঁদ এক ধরনের চর্মরোগ যা Tinea নামক ছত্রাকের আক্রমণ থেকে হয়ে থাকে। দাঁদ একটি প্রচলিত রোগ যা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে এটি যে কোন বয়সের মানুষকে আক্রমণ করতে পারে। শরীরের যেকোন স্থানে এর সংক্রমণ ও বংশবৃদ্ধির ফলে এ রোগের সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন-১৭। দিবস নিরপেক্ষ উদ্ভিদ কাকে বলে? দিবস নিরপেক্ষ উদ্ভিদের উদাহরণ
উত্তরঃ যেসব উদ্ভিদের ফুল ধারণের উপর দিন-রাতের দৈর্ঘ্যের কোন প্রভাব নেই তাদেরকে দিবস নিরপেক্ষ উদ্ভিদ বলে। উদাহরণ : শসা, টমেটো, সূর্যমুখী, বেগুন, ঢেড়স, সয়াবিন, তুলা, কলা, পেপে ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৮। DNA ফিঙ্গার প্রিন্টিং কি?
উত্তরঃ DNA টেস্টের বিজ্ঞানভিত্তিক এক ব্যবহারিক পদ্ধতিই হলো DNA ফিঙ্গার প্রিন্টিং।
প্রশ্ন-১৯। দ্বিপদ নাম কী?
উত্তরঃ একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুটি অংশ বা পদ নিয়ে গঠিত হয়। প্রথম অংশটি তার গণের নাম ও দ্বিতীয় অংশটি তার প্রজাতির নাম। এরূপ দুটি পদ নিয়ে গঠিত নামকে দ্বিপদ নাম বলা হয়।
প্রশ্ন-২০। মাইটোসিস কী?
উত্তরঃ যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি প্রকৃত কোষ বিভাজিত হয়ে দুটি অপত্য কোষে পরিণত হয়, সেই কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াই হলো মাইটোসিস।