পড়াশোনা
1 min read

পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-২৬)

প্রশ্ন-১। কার্যকরী দৈর্ঘ্য কাকে বলে?
উত্তরঃ ঝুলন বিন্দু থেকে ববের ভরকেন্দ্র পর্যন্ত দুরত্বকে কার্যকরী দৈর্ঘ্য বা দোলক দৈর্ঘ্য বলে। একে L দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

প্রশ্ন-২। ফোকাস দূরত্ব কাকে বলে?
উত্তরঃ লেন্সের আলোক কেন্দ্র থেকে প্রধান ফোকাস পর্যন্ত দূরত্বকে লেন্সের ফোকাস দূরত্ব বলে। একে f দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

প্রশ্ন-৩। সরণ এর মাত্রা সমীকরণ কী?
উত্তরঃ সরণ এর মাত্রা সমীকরণ হলো [L]

প্রশ্ন-৪। নিচের কোন কণাটি লেপটন শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত?
উত্তরঃ ইলেকট্রন।

প্রশ্ন-৫। ওয়াট কিসের একক?
উত্তরঃ ওয়াট উজ্জ্বলতার একক।

প্রশ্ন-৬। তড়িৎ আবেশ কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো পরিবাহকের নিকটে একটি আহিত বস্তুকে রেখে আহিত বস্তুর প্রভাবে পরিবাহকটিকে সাময়িকভাবে আহিত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ আবেশ বলে।

প্রশ্ন-৭। দোলন বা কম্পন কি?
উত্তরঃ পর্যাবৃত্ত গতিবিশিষ্ট কোনাে কণা যদি বারবার একই পথ দিয়ে আসা যাওয়া করে তবে তার গতিকে দোলন বা কম্পন বলা হয়। সুতরাং, যেকোনাে দোলন বা কম্পনই পর্যাবৃত্ত গতি কিন্তু সব পর্যাবৃত্ত গতি দোলন বা কম্পন নয়।

প্রশ্ন-৮। তড়িচ্চালক শক্তি এবং বিভব পার্থক্য বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ কোনো তড়িৎ উৎসের একক ধনাত্মক আধানকে বর্তনীর এক বিন্দু থেকে উৎসসহ সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আবার ঐ বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন করে, তথা উৎস যে তড়িৎ শক্তি ব্যয় করে তাকে ঐ উৎসের তড়িচ্চালক শক্তি বলে। যদি Q আধানকে সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আনতে W পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয়, তাহলে উৎসের তড়িচ্চালক শক্তি = IC আধানকে সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আনতে কাজের পরিমাণ – W/Q।
অপরদিকে বৈদ্যুতিক বর্তনীর দুটি বিন্দুর মধ্য দিয়ে একক ধনাত্মক আধান স্থানান্তরিত হলে যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তি অন্য কোনো ধরনের শক্তিতে রূপান্তরিত হয় তার পরিমাণকে ঐ দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্য বলে। Q আধান স্থানান্তরের জন্য রূপান্তরিত তড়িৎশক্তির পরিমাণ W হলে, ঐ দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্য হলো V = W/Q। বিভব পার্থক্য এবং তড়িচ্চালক শক্তির SI একক অভিন্ন।

প্রশ্ন-৯। কৃত্রিম উপগ্রহ কাকে বলে?
উত্তরঃ মানুষের পাঠানো যেসব বস্তু বা মহাকাশযান পৃথিবীকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরে তাদের কৃত্রিম উপগ্রহ বলে। রকেটের সাহায্যে কৃত্রিম উপগ্রহকে উৎক্ষেপণ করা হয়। পৃথিবী থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উপরে তুলে পৃষ্ঠের সমান্তরালে ৮ কিলোমিটার/সেকেন্ড বেগ দিলে কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরতে থাকবে।

প্রশ্ন-১০। চৌম্বক ভেদ্যতা কি?
উত্তরঃ কোনো পদার্থের চৌম্বক ভেদ্যতা হচ্ছে ঐ পদার্থের চৌম্বক আবেশ ও চৌম্বক প্রাবল্যের অনুপাত।

প্রশ্ন-১১। ভর কি? ভরের আন্তর্জাতিক একক কি?
উত্তরঃ ভর হলো কোনো বস্তুতে পদার্থের পরিমাণ। কোনাে বস্তুতে উপস্থিত মােট পদার্থের পরিমাণকে ঐ বস্তুর ভর বলে। ভরের আন্তর্জাতিক একক কেজি (Kg)।

প্রশ্ন-১২। শব্দোত্তর শব্দ কাকে বলে?
উত্তরঃ ২০,০০০ কম্পাঙ্কের উপরের শব্দকে শব্দোত্তর বা শ্রবণোত্তর বলে।

প্রশ্ন-১৩। ট্যাকোমিটার কাকে বলে?
উত্তরঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে মোটরের ঘূর্ণন গতিবেগ পরিমাপ করা যায়, তাকে ট্যাকোমিটার বলে। এর সাহায্যে মোটরের আরপিএম মাপা যায়।

প্রশ্ন-১৪। কোন শক্তি অন্য শক্তিতে সহজে রূপান্তরিত হতে চায় না?
উত্তরঃ তাপ।

প্রশ্ন-১৫। বৈদ্যুতিক সার্কিট কাকে বলে? এটি কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ যে পথ দিয়ে বৈদ্যুতিক কারেন্ট প্রবাহিত হয়, তাকে বৈদ্যুতিক সার্কিট বলে। বৈদ্যুতিক সার্কিট দুই প্রকার। যথা– ১. খোলা সার্কিট এবং ২. বন্ধ সার্কিট।

প্রশ্ন-১৬। ক্যাপাসিটর কী? এর একক কী?
উত্তরঃ ক্যাপাসিটর শব্দের অর্থ ধারণকারী। যে বস্তু চার্জ ধরে রাখতে পারে তাকে ক্যাপাসিটর বা ধারক বলে। একে C দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। ক্যাপাসিটর এর একক হলো ফ্যারাড।

প্রশ্ন-১৭। শান্ট কাকে বলে?
উত্তরঃ গ্যালভানোমিটারের মধ্য দিয়ে যাতে বেশি মানের প্রবাহ যেতে না পারে সেজন্য এর সাথে স্বল্পমানের যে রোধ সমান্তরালে সংযুক্ত করা হয়, তাকে শান্ট বলে।

প্রশ্ন-১৮। তড়িৎ প্রাবল্য কাকে বলে?
উত্তরঃ তড়িৎ ক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে একটি একক ধনাত্মক আধান স্থাপন করলে সেটি যে বল অনুভব করে তাকে ঐ বিন্দুর তড়িৎ প্রাবল্য বলে।

প্রশ্ন-১৯। জলবিদ্যুৎ কাকে বলে?
উত্তরঃ পানির প্রবাহ বা স্রোতকে কাজে লাগিয়ে যে তড়িৎ বা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তাকে জলবিদ্যুৎ বলে।

প্রশ্ন-২০। অসম বেগ কাকে বলে? অসম বেগের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ কোনো বস্তুর গতিকালে যদি তার বেগের মান বা দিক বা উভয়ই পরিবর্তিত হয় তাহলে সেই বেগকে অসম বেগ বলে।
উদাহরণ : আমরা সচরাচর যে সব যানবাহনের বা বস্তুর গতি দেখে থাকি সেগুলো অসব বেগ।

Rate this post