প্রশ্ন-১। গরুর দুধে আমিষের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য কোন জিন ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তরঃ গরুর দুধে আমিষের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য Protein C জিন স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রশ্ন-২। Biotechnology শব্দটির প্রবর্তক কে?
উত্তরঃ Karl Ereky Biotechnology শব্দটির প্রবর্তক।
প্রশ্ন-৩। বিটা-ক্যারোটিন কী?
উত্তরঃ বিটা-ক্যারোটিন এক ধরনের ভিটামিন-এ।
প্রশ্ন-৪। অঙ্কুরোদগম বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ বীজ থেকে শিশু উদ্ভিদ উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াকে অঙ্কুরোদগম বলে। যথাযথভাবে অঙ্কুরোদগম হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পানি, তাপ ও অক্সিজেন প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন-৫। অক্ষীয় কঙ্কাল কাকে বলে?
উত্তরঃ কঙ্কালতন্ত্রের যে অস্থিগুলো দেহের লম্বঅক্ষ বরাবর অবস্থান করে কোমল, নমনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোকে ঘিরে রাখে এবং দেহকান্ডের অংশগুলো যুক্ত করে অবলম্বন দান করে সেগুলোকে একসাথে অক্ষীয় কঙ্কাল বলে। অক্ষীয় কঙ্কাল করোটি, মেরুদণ্ড এবং বক্ষপিঞ্জর-এ বিভক্ত।
প্রশ্ন-৬। শ্বসন পথ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পথ দিয়ে ফুসফুসে বায়ু প্রবেশ করে এবং ফুসফুস থেকে তা বহির্গত হয় তাকে শ্বসন পথ (Respiratory passage) বলে। সম্মুখ নাসারন্ধ্র থেকে শ্বসন পথের শুরু।
প্রশ্ন-৭। মেডুলা কি?
উত্তরঃ মেডুলা হলো মস্তিষ্কের নিচের অংশ। মেডুলা পনসের নিম্নভাগ থেকে মেরুরজ্জুর উপরিভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত। অর্থাৎ এটি মস্তিষ্ককে মেরুরজ্জুর সাথে সংযোজিত করে। এ জন্য মস্তিষ্কের এ অংশকে মস্তিষ্কের বোঁটা বলা হয়। হৃদস্পন্দন, খাদ্য গ্রহণ ও শ্বসন ইত্যাদি কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে মেডুলা ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্ন-৮। কঙ্কালতন্ত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে গঠিত যে অঙ্গতন্ত্র দেহের কাঠামো গঠনের মাধ্যমে দেহকে নির্দিষ্ট আকৃতি প্রদান করে, অন্তঃস্থ নরম অঙ্গগুলোকে রক্ষা করে, দেহের ভার বহন করে এবং পেশি সংযোজনের জন্য উপযুক্ত স্থান সৃষ্টি করে, তাকে কঙ্কালতন্ত্র বলে।
প্রশ্ন-১০। সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত ভাইরাস এর নাম কী?
উত্তরঃ সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত ভাইরাস এর নাম টোবাকো মোজাইক ভাইরাস।
প্রশ্ন-১১। জিন কি?
উত্তরঃ জিন ক্রোমোসোমে অবস্থিত DNA এর একটি অংশ যা একটি কর্মক্ষম পলিপেপটাইড শিকল গঠনের উপযুক্ত বার্তা বহন করে।
প্রশ্ন-১২। ভিটামিন ‘এ’-এর কাজ কী কী?
উত্তরঃ ভিটামিন ‘এ’-এর কাজগুলো হলোঃ
- দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখে এবং রক্তের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখে।
- এই ভিটামিন চোখের রোডোপসিন রঞ্জক পদার্থ তৈরিতে সাহায্য করে।
- কার্বোহাইড্রেট বিপাকে সহায়তা করে।
- আবরণী কলার অখণ্ডতা রক্ষায় কাজ করে।
প্রশ্ন-১৩। মেটফরমিন কি?
উত্তরঃ মেটফরমিন বর্তমানে একটি বহুল ব্যবহৃত ঔষধ। যকৃতে গ্লুকোজ উৎপাদন কমানোর মাধ্যমে এই ঔষধ প্রাথমিকভাবে কাজ করে থাকে। মুখে গ্রহণের মাধ্যমে মেটফরমিন ভালো শোষিত হয় এবং এরা সিরাম প্রোটিনের সাথে যুক্ত হয় না। এই ঔষধ মূত্র দ্বারা বর্জিত হয় এবং পরিপাকতন্ত্রে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন-১৪। আম্বিলিকাল কর্ড কি?
উত্তরঃ আম্বিলিকাল কর্ড মূলত একটি নালি যার ভেতর দিয়ে মাতৃদেহের সাথে ভ্রুণের বিভিন্ন পদার্থের বিনিময় ঘটে। এটি ভ্রুণের নাভির সাথে যুক্ত থাকে। একে নাড়ীও বলা হয়।
প্রশ্ন-১৫। ইনসুলিন কি?
উত্তরঃ ইনসুলিন হলো অগ্ন্যাশয়ের হরমোন যা গ্লুকোজকে রক্ত থেকে কোষের মধ্যে প্রবেশ করা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি এক ধরনের পলিপ্যাপটাইড। ইনসুলিন মূলত ৫১টি অ্যামিনো অ্যাসিড নিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন-১৬। প্রাকৃতিক পরিবেশ কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট বস্তুগুলো নিয়ে যে পরিবেশ গঠিত তাকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলে।
প্রশ্ন-১৭। গ্রোথ হরমোন বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ গ্রোথ হরমোন বলতে এমন হরমোনকে বোঝায় যা মানুষের দৈহিক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। এ হরমোন যতদিন নিঃসরিত হয় ততদিন মানুষ লম্বা হয়, বিভিন্ন অস্থি সুগঠিত হয়। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পর গ্রোথ হরমোনের নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায় বলে মানুষের বৃদ্ধিও বন্ধ হয়ে যায়।
প্রশ্ন-১৮। আই ব্রো কি?
উত্তরঃ আই ব্রো হচ্ছে চোখের একটি অংশ। চোখের পাতার উপর অংশের লোমকে আই ব্রো বলে। এটি কপাল থেকে গঠিয়ে আসা ঘাম চোখে প্রবেশ করা প্রতিহত করে।
প্রশ্ন-১৯। রেচন পদার্থ বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ রেচন পদার্থ বলতে মূলত নাইট্রোজেন ঘঠিত বর্জ্য পদার্থকে বোঝায়। মানবদেহের রেচন পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে আসে। মূত্রের প্রায় ৯০% হলো পানি। অন্যান্য উপাদানের মধ্যে রয়েছে ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, ক্রিয়েটিনিন ও বিভিন্ন ধরনের লবণ।
প্রশ্ন-২০। টেস্টোস্টেরন হরমোনের কাজ কি?
উত্তরঃ টেস্টোস্টেরন হরমোন ছেলেদের শুক্রাণুর বিভিন্ন পরিবর্তনের জন্য দায়ী প্রধান হরমোন। এ হরমোন ছেলেদের শুক্রাণু তৈরি করে। বিভিন্ন গৌণ বৈশিষ্ট্য যেমন- গোঁফ, দাড়ি ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোম গজানো ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে।