পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৩১)

প্রশ্ন-১। বিদ্যুৎ চালক বল কাকে বলে?
উত্তরঃ পরিবাহীর পরমাণুগুলোর ইলেকট্রনসমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে বল বা চাপের প্রয়োজন হয় তাকে বিদ্যুৎ চালক বল বলে।

প্রশ্ন-২। কঠিন পদার্থের সঙ্গে তরল পদার্থের মূল পার্থক্য কোথায়?
উত্তরঃ কঠিন পদার্থের সঙ্গে তরল পদার্থের মূল পার্থক্য হলো কঠিন পদার্থের অবশ্যই নির্দিষ্ট আকার, আয়তন ও ওজন থাকে। কিন্তু তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন ও ওজন থাকলেও নির্দিষ্ট আকার নেই।

প্রশ্ন-৩। শক্তি ব্যান্ড কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো পদার্থের বিভিন্ন পরমাণুতে একই কক্ষপথে আবর্তনরত ইলেকট্রনগুলোর শক্তির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মানের মধ্যবর্তী পাল্লাকে শক্তি ব্যান্ড বলে।

প্রশ্ন-৪। অর্ধপরিবাহক কাকে বলে?
উত্তরঃ চতুর্যোজী বিশুদ্ধ অর্ধপরিবাহীর সাথে ত্রিযোজী বা পঞ্চযোজী মৌল খুব সামান্য পরিমাণ মিশিয়ে যে কেলাস তৈরি করা হয় তাকে অর্ধপরিবাহী এবং মৌলকে অর্ধপরিবাহক বলে।

প্রশ্ন-৫। লিকেজ প্রবাহ কাকে বলে?
উত্তরঃ ডায়োডের বিপরীত ঝোঁকের ক্ষেত্রে ভোল্টেজের মান বৃদ্ধির সাথে সাথে কারেন্টের মান বেড়ে যে নির্দিষ্ট মানে পৌঁছে স্থির হয়ে যায় তাকে লিকেজ প্রবাহ বলে।

প্রশ্ন-৬। বহির্জাত অর্ধপরিবাহী কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব অর্ধপরিবাহীতে অপদ্রব্য মিশ্রিত থাকে তাদেরকে বহির্জাত অর্ধপরিবাহী বলে।

প্রশ্ন-৭। P-টাইপ অর্ধপরিবাহী কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন বিশুদ্ধ অর্ধপরিবাহীতে ত্রিযোজী মৌল অপদ্রব্য হিসেবে অতিসামান্য পরিমাণে মেশানো হলে যে বহির্জাত অর্ধপরিবাহী উৎপন্ন হয় তাকে p-টাইপ অর্ধপরিবাহী বলে।

প্রশ্ন-৮। পানির তিন অবস্থা কী কী? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ পানির তিনটি অবস্থা হলো কঠিন, তরল এবং বায়বীয়। কঠিন অবস্থায় পানি বরফ হয়, স্বাভাবিক অবস্থায় পানি তরল থাকে এবং বায়বীয় অবস্থায় পানি বাষ্পে পরিণত হয়।

প্রশ্ন-৯। কোয়ার্ক কি?
উত্তরঃ কোয়ার্ক হলো অতি পারমাণবিক কণা যা দ্বারা প্রোটন ও নিউট্রনসমূহ গঠিত।

প্রশ্ন-১০। ঘটনা দিগন্ত কি?
উত্তরঃ ঘটনা দিগন্ত হলো কৃষ্ণবিবর অঞ্চলের সীমা।

প্রশ্ন-১১। ভূস্থির উপগ্রহ কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীকে আবর্তন করার সময় যদি তার আবর্তন কাল পৃথিবীর আহ্নিক গতির আবর্তন কালের (পৃথিবীর নিজ অক্ষে ঘূর্ণনকাল অর্থাৎ 24 ঘন্টা) সমান হয় তবে পৃথিবীর একজন পর্যবেক্ষকের নিকট উপগ্রহটি সবসময় স্থির মনে হবে। এ ধরনের উপগ্রহকে ভূস্থির উপগ্রহ বলে।

প্রশ্ন-১২। হ্যাড্রন কণা কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল মৌলিক কণা শক্তিশালী নিউক্লীয়, বিদ্যুৎ চুম্বকীয় এবং দুর্বল নিউক্লিয় এই তিন প্রক্রিয়াতে অংশ গ্রহণ করতে পারে তাদেরকে হ্যাড্রন কণা বলে।

প্রশ্ন-১৩। হ্যাড্রন কণা কয় ধরনের ও কি কি?
উত্তরঃ হ্যাড্রন কণা দুই ধরনের যথা- ১. মেসন ও ২. বেরিয়ন।

প্রশ্ন-১৪। ডিজিটাল পদ্ধতি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বর্তনী বা সিস্টেমের মান নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিবর্তিত না হয়ে দুটি নির্দিষ্ট মান গ্রহণ করে চলে তাকে ডিজিটাল পদ্ধতি বলে।

প্রশ্ন-১৫। গ্রহাণুপুঞ্জ কাকে বলে?
উত্তরঃ মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের কক্ষপথের মাঝে দিয়ে অতিক্ষুদ্র গ্রহের মতো কিছু বস্তু সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে তাদের গ্রহাণুপুঞ্জ বলে।

প্রশ্ন-১৬। মৌলিক কণা কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল কণা পরম আদি বা প্রাথমিক এবং অবিভাজ্য তাদেরকে মৌলিক কণা বলে।

প্রশ্ন-১৭। লেপটন কণা কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল কণা বিদ্যুৎ চুম্বকীয় এবং দুর্বল নিউক্লিয় পরিক্রমায় অংশগ্রহণ করতে পারে না এবং স্পিন  এবং জীবনকাল অসীম তাদেরকে লেপটন কণা বলে।

প্রশ্ন-১৮। ঈশ্বর কণা কী?
উত্তরঃ হিগস-বোসন ঈশ্বর কণা নামে পরিচিত।

প্রশ্ন-১৯। নেবুলা কী?
উত্তরঃ মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা গ্যাস ও ধুলোর সুবিশাল মেঘের সমারোহই নীহারিকা বা নেবুলা।

প্রশ্ন-২০। বায়বীয় পদার্থের আয়তন চাপের ওপর নির্ভরশীল কেন?
উত্তরঃ আমরা জানি, কঠিন ও তরল পদার্থের ক্ষেত্রে আন্তঃআণবিক দূরত্ব অত্যন্ত কম এবং এক্ষেত্রে চাপের হ্রাস ও বৃদ্ধিতে আয়তন প্রসারণ ও সংকোচন এত নগণ্য যে, তা উপেক্ষা করা যায়। কিন্তু বায়বীয় পদার্থের ক্ষেত্রে আন্তঃআণবিক দূরত্ব আণবিক ব্যাসার্ধের তুলনায় অত্যন্ত বেশি, ফলে অতিরিক্ত চাপ প্রয়ােগ করে অণুগুলােকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসা সম্ভব তথা চাপ হ্রাসের ফলে অণুগুলাে পরস্পর হতে পূর্বাপেক্ষা অধিক দূরত্বে সরে যায়। এজন্য বায়বীয় পদার্থের আয়তন গ্যাসের চাপের ওপর নির্ভরশীল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *