Modal Ad Example
পড়াশোনা

পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৩২)

1 min read

প্রশ্ন-১। সরণ ভেক্টর কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো বস্তুর অবস্থান ভেক্টরের পরিবর্তনকে সরণ ভেক্টর বলে।

প্রশ্ন-২। অবস্থান ভেক্টর কাকে বলে?

উত্তরঃ প্রসঙ্গ কাঠামোর মূল বিন্দুর সাপেক্ষে কোন বিন্দুর অবস্থান যে ভেক্টর দিয়ে নির্দেশ করা হয় তাকে ঐ বিন্দুর অবস্থান ভেক্টর বলে।

প্রশ্ন-৩। এমআরআই যন্ত্র কিসের উপর ভিত্তি করে কাজ করে?

উত্তরঃ এমআরআই যন্ত্র নিউক্লীয় চৌম্বক অনুনাদ বা Nuclear Magnetic Resonance এর ভৌত এবং রাসায়নিক নীতির ওপর ভিত্তি করে কাজ করে।

প্রশ্ন-৪। ১ (এক) ওহম কাকে বলে?

উত্তরঃ কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে ১ সেকেন্ডের জন্য ১ অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার সময় বাধার কারণে যদি ১ জুল কাজ সম্পন্ন হয় বা ০.২৪ ক্যালোরি তাপ উৎপন্ন হয়, তবে ঐ পরিমাণ বাধাকে ১ (এক) ওহম বলে।

প্রশ্ন-৫। এনজিওগ্রাফি কেন করা হয়?

উত্তরঃ এনজিওগ্রাফি করার কারণগুলো হলো–

১. হৃদপিন্ডের বাইরের ধমনীতে ব্লকেজ হলে।

২. ধমনী প্রসারিত হলে।

৩. কিডনিতে ধমনীর অবস্থা বোঝার জন্য।

৪. শিরার কোন সমস্যা হলে এনজিওগ্রাফি করা হয়।

প্রশ্ন-৬। পদার্থবিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের চাবিকাঠি বলা হয় কেন?

উত্তরঃ পদার্থবিজ্ঞান হচ্ছে বিজ্ঞানের একটি মৌলিক শাখা, যার নীতিগুলো বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার ভিত্তি তৈরি করেছে। এ জন্য পদার্থবিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের চাবিকাঠি বলা হয়।

প্রশ্ন-৮। পয়সনের অনুপাতের মাত্রা ও একক নেই কেন?

উত্তরঃ আমরা জানি, পয়সনের অনুপাত = দৈর্ঘ্য বিকৃতি/পার্শ্ব বিকৃতি।

বিকৃতি একই জাতীয় দুটি রাশির অনুপাত বলে বিকৃতির মাত্রা ও একক নেই। আবার, পয়সনের অনুপাত দুটি বিকৃতির অনুপাত বলে পয়সনের অনুপাতের কোনো মাত্রা ও একক নেই।

প্রশ্ন-৯। সমরেখ প্রবাহ কাকে বলে?

উত্তরঃ যদি প্রবাহীর বিভিন্ন স্তর পরস্পরের সমান্তরালে চলে তবে তাকে সমরেখ প্রবাহ বলে।

প্রশ্ন-১০। সমপ্রবাহ কাকে বলে?

উত্তরঃ প্রবাহীর বেগ সর্বদা ধ্রুব থাকলে তাকে সমপ্রবাহ বলে।

প্রশ্ন-১১। অসমপ্রবাহ কাকে বলে?

উত্তরঃ যদি সর্বক্ষণ প্রবাহীর বেগ একই না থাকে তবে তাকে অসমপ্রবাহ বলে।

প্রশ্ন-১২। প্রভাব গোলক কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো একটি অণুকে কেন্দ্র করে আণবিক পাল্লার সমান ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি গোলক বিবেচনা করলে ঐ গোলককে ঐ অণুর জন্য প্রভাব গোলক বলে।

প্রশ্ন-১৩। স্লাইড ক্যালিপার্সে ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহার করা হয় কেন?

উত্তরঃ সাধারণ মিটার স্কেলে মিলিমিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্য মাপা যায়। মিলিমিটারের ভাগ্নাংশ যেমন ০.১ মিলিমিটার বা ০.২ মিলিমিটার পর্যন্ত পরিমাপের জন্য ভার্নিয়ার স্কেল প্রয়োজন হয়। স্লাইড ক্যালিপার্স হলো সূক্ষ্ম পরিমাপ নির্ণয়ের একটি স্কেল। তাই মিলিমিটারের ভগ্নাংশ পরিমাপ করার জন্য স্লাইড ক্যালিপার্সের সাথে ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন-১৪। পরিবর্তী প্রবাহের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় রাশিগুলো কী কী?

উত্তরঃ পরিবর্তী প্রবাহের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় রাশিগুলো হলো–

১. বিস্তার বা শীর্ষমান।

২. পরিবর্তন চক্র বা পর্যায়বৃত্ত তরঙ্গ।

৩. দোলনকাল বা পর্যায়কাল।

৪. কম্পাঙ্ক বা কম্পনি।

প্রশ্ন-১৫। আপতিত রশ্মি কাকে বলে?

উত্তরঃ যে রশ্মি প্রতিফলকের উপর এসে পড়ে তাকে আপতিত রশ্মি বলে।

প্রশ্ন-১৬। দৈর্ঘ্যের সূত্র কী?

উত্তরঃ প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল (A) ও উপাদান একই হলে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পরিবাহীর রোধ (R) এর দৈর্ঘ্যের (l) সমানুপাতিক। অর্থাৎ R ∞ l যখন, ক্ষেত্রফল A ধ্রুব।

এ সূত্র থেকে দেখা যায় যে, একই প্রস্থচ্ছেদ ও উপাদানের দুটি পরিবাহীর মধ্যে যেটির দৈর্ঘ্য বেশি সেটির রোধও বেশি।

প্রশ্ন-১৭। ঘূর্ণন বল কাকে বলে? ঘূর্ণন বল কোন ধরনের রাশি?

উত্তরঃ স্ক্রুকে খোলার জন্য একটি মোচড় বল প্রয়োগ করলে ঘূর্ণন সৃষ্টি হয়। এরূপ বলকে ঘূর্ণন বল বলে। একে টর্ক বা বলের ভ্রামকও বলা হয়ে থাকে।

একটি ডান হাতি স্ক্রুকে ঘূর্ণন বল প্রয়োগে ঘুরানো হলে স্ক্রুটি যেদিকে অগ্রসর হয়, ঘূর্ণন বলটির দিক হবে সেদিকে। ঘূর্ণন বল একটি ভেক্টর রাশি। একে τ (টাউ) দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

প্রশ্ন-১৮। উপরের দিকে নিক্ষিপ্ত বস্তুর গতিবেগ হ্রাস পায় কেন?

উত্তরঃ উপরের দিকে নিক্ষিপ্ত বস্তুর ওপর ক্রিয়াশীল অভিকর্ষ বলের দিক নিচের দিকে। তাই অভিকর্ষজ ত্বরণের দিকও খাড়া নিচের দিকে। ফলে উপরের দিকে নিক্ষিপ্ত বস্তুর সর্বদা মন্দন ঘটে এবং এ কারণে নিক্ষিপ্ত বস্তুর গতিবেগ হ্রাস পায়।

প্রশ্ন-১৯। সমবেগ সম্পন্ন কণার দ্রুতি অসম হতে পারে না কেন?

উত্তরঃ বেগ একটি ভেক্টর রাশি, যার মান ও দিক দুই-ই আছে।

তাই বেগের মান ও দিক উভয়ই অপরিবর্তিত থাকলে বলা যায় কণাটি সমবেগ সম্পন্ন। দ্রুতি একটি স্কেলার রাশি, যার শুধু মান আছে। ফলে বেগের মান ও দিক অপরিবর্তিত থাকলে দ্রুতির মানও অপরিবর্তিত থাকবে। তাই সমবেগ সম্পন্ন কণার দ্রুতি অসম হতে পারে না।

প্রশ্ন-২০। শট সার্কিট কাকে বলে?

উত্তরঃ কোন কারণে বিপরীতধর্মী তড়িতের দুটি লাইনের মধ্যে সরাসরি সংযোগ ঘটলে সমগ্র লাইনের রোধ খুব কমে যায়। ফলে লাইনের তড়িৎ প্রবাহ হঠাৎ খুব বেড়ে যায়। এতে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয় এবং লাইনে আগুন ধরে যায়। একে শট সার্কিট বলে

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x