অধ্যায়-১১ : পারিপার্শ্বিক পরিবর্তন ও বিভিন্ন ঘটনা, সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান

স্ফুটন কোন ধরনের পরিবর্তন?

উত্তরঃ স্ফুটন এক ধরনের ভৌত পরিবর্তন।

ডিমের খোসায় কোন পদার্থ থাকে?
উত্তরঃ ডিমের খোসায় ক্যালসিয়াম কার্বনেট থাকে।

ম্যাগমা কী?
উত্তরঃ ভূ-অভ্যন্তরের উত্তপ্ত ও গলিত শিলাই হলো ম্যাগমা।

তাপহারী বিক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সকল বিক্রিয়ায় তাপ শোষিত হয়, সে সকল বিক্রিয়াকে তাপহারী বিক্রিয়া বলে।

আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তরঃ আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট্যঃ

  • প্রাথমিক অবস্থায় আগ্নেয় শিলা উত্তপ্ত থাকে।
  • আগ্নেয় শিলা গঠন প্রক্রিয়ায় ভৌত পরিবর্তন সংঘটিত হয়।
  • ম্যাগমা হতে আগ্নেয় শিলা উৎপন্ন হয়।

 

রূপান্তরিত শিলার গঠন উল্লেখ করো।
উত্তরঃ রূপান্তরিত শিলার গঠন নিচে উল্লেখ করা হলো—
রূপান্তরিত শিলা তৈরি হয় আগ্নেয় বা পাললিক শিলা থেকে। তাপ, চাপ ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রভাবে আগ্নেয় বা পাললিক শিলা পরিবর্তিত হয়ে নতুন ধরনের যে শিলা তৈরি করে তাকেই রূপান্তরিত শিলা বলে।

কাগজের টুকরা করা এক ধরনের ভৌত পরিবর্তন—ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ যে পরিবর্তনে সংশ্লিষ্ট পদার্থের অবস্থার বা আকার পরিবর্তন ঘটে কিন্তু নতুন পদার্থের সৃষ্টি হয় না ও পদার্থের ধর্মের কোনো পরিবর্তন হয় না তাকে ভৌত পরিবর্তন বলে। কাগজকে টুকরো করলে কাগজ আকারে শুধু ছোট হয় কিন্তু ধর্মের কোনো পরিবর্তন হয় না। তাই এটি ভৌত পরিবর্তন।

রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পরিবর্তনের ফলে এক বা একাধিক বস্তু প্রত্যেকে তার নিজস্ব সত্ত্বা হারিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্মবিশিষ্ট এক বা একাধিক বস্তুতে পরিণত হয় তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে।

দহন কী? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ কোনো পদার্থ বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে যে প্রক্রিয়ায় তাপশক্তি উৎপন্ন করে, সে প্রক্রিয়াই হলো দহন।
উদাহরণস্বরূপ জ্বলন্ত মোমবাতির কথা বিবেচনা করা যায়। মোমবাতি জ্বালালে কিছু মোম গলে গিয়ে নিচে জমা হয় এবং কিছু মোম আগুনে পুড়ে যায়। এক্ষেত্রে মোমবাতি বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও পানিতে পরিণত হয় এবং সাথে সাথে আলো ও তাপশক্তি উৎপন্ন হয়। এ কারণে মোমবাতি প্রজ্বলনকে দহন বিক্রিয়া বলা হয়।

গ্রাফাইট রূপান্তরিত শিলা কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ আগ্নেয় বা পাললিক শিলা পরিবর্তিত হয়ে যে নতুন ধরনের শিলা উৎপন্ন হয় তাকে রূপান্তরিত শিলা বলে।

কয়লা একটি জীবাশ্ম জ্বালানি। এটি ভূগর্ভে বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া দ্বারা রুপান্তরিত হয়ে ভিন্ন ধর্ম বিশিষ্ট শিলায় পরিণত হয়। এই শিলাকে গ্রাফাইট বলে।

 

সালোকসংশ্লেষণ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে সূর্যের আলোয় সবুজ উদ্ভিদ বাতাসের কার্বন ডাইঅক্সাইডের সাহায্যে নিজের খাবার নিজে তৈরি করে তাকে সালোকসংশ্লেষণ বলে।

ধাতুসমূহকে কীভাবে ক্ষয় হওয়া থেকে রক্ষা করা যায়?
উত্তরঃ ধাতুসমূহকে গ্যালভানাইজিং পেইন্টিং ও ইলেকট্রোপ্লেটিং করে ক্ষয় হওয়া থেকে রক্ষা করা যায়। যেমন- গ্যালভানাইজিং প্রক্রিয়ায় লোহার তৈরি দ্রব্যসামগ্রীর উপর জিংক বা দস্তার পাতলা আস্তরণ দেওয়া হয়। জিংক এর এই আবরণ লোহাকে বাতাসের অক্সিজেন ও পানি থেকে রক্ষা করে। ফলে মরিচা পড়তে পারে না। লোহার ক্ষয়ও হয় না।

চকের মধ্যে পাতলা হাইড্রোক্লোরিক এসিড যোগ করলে কী হবে?
উত্তরঃ চকের গুঁড়া হলো মূলত ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (CaCO3)। এর মধ্যে পাতলা হাইড্রোক্লোরিক এসিড যোগ করলে তাদের মাঝে বিক্রিয়া ঘটে। এই বিক্রিয়ার ফলে ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড ও পানি উৎপন্ন হয়।

 

চুলায় খড়ি বা গ্যাস পুড়ালে কোন ধরনের পরিবর্তন হয়, ভৌত না রাসায়নিক? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।

উত্তরঃ চুলায় খড়ি বা গ্যাস পুড়ালে রাসায়নিক পরিবর্তন হয়।

উত্তরের সপক্ষে যুক্তি : চুলায় খড়ি বা গ্যাস পুরানো হলো দহন প্রক্রিয়া। আর সকল দহন প্রক্রিয়ায় গ্যাস বা খড়ি বাতাসের সাথে অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে প্রচুর তাপশক্তি উৎপন্ন করে এবং সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে নতুন পদার্থ তৈরি করে।

খড়ি পুড়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড, কয়লা ও ছাই এবং গ্যাস পুড়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও পানিতে পরিণত হয়। সুতরাং উভয় ক্ষেত্রেই রাসায়নিক পরিবর্তন সংঘটিত হয়, তাই চুলায় খড়ি বা গ্যাস পোড়ালে রাসায়নিক পরিবর্তন হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *