Modal Ad Example
পড়াশোনা

জীববিজ্ঞান ২য় পত্র প্রথম অধ্যায় : প্রাণীর বিভিন্নতা ও শ্রেণিবিন্যাস

1 min read

প্রশ্ন-১। প্রাণীর বিভিন্নতা বা প্রাণবৈচিত্র কাকে বলে?

উত্তরঃ পৃথিবীর সমস্ত জলচর, স্থলচর ও খেচর প্রাণিদের মধ্যে যে জিনগত প্রজাতিগত ও বাস্তুসংস্থানগত বিভিন্নতা দেখা যায় তাকেই প্রাণীর বিভিন্নতা বা প্রাণবৈচিত্র বলে।

প্রশ্ন-২। শেণিকরণের ভিত্তিগুলো কী কী?

উত্তরঃ শেণিকরণের ভিত্তিগুলো হলো- বিভিন্ন তল, ভ্রুণস্তর, খণ্ডকায়ন, অঞ্চলায়ন, প্রতিসাম্য, সিলোম ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৩। প্রতিসাম্য বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ প্রতিসাম্য বলতে প্রাণিদেহের মধ্যরেখায় তলের দুপাশে সদৃশ বা সমান আকার-আকৃতি বিশিষ্ট অবস্থানকে বোঝায়।

প্রশ্ন-৪। সিলোম কি?

উত্তরঃ সিলোম হচ্ছে এমন কোনো গহ্বর যা মেসোডার্ম থেকে উদ্ভূত এবং পেরিটোনিয়াম নামে মেসোডার্মাল কোষস্তরে আবৃত।

প্রশ্ন-৫। কোন পর্বে অ্যাসিলোমেট প্রাণী দেখা যায়?

উত্তরঃ Porifera, Cnidaria, Platyhelminthes.

প্রশ্ন-৬। প্রকৃত সিলোমযুক্ত পর্বগুলো কী কী?

উত্তরঃ Mollusca, Annelida, Arthropoda, Echinodermata, Chordata.

প্রশ্ন-৭। প্রাণিজগতের প্রধান পর্ব কয়টি?

উত্তরঃ ৯টি।

প্রশ্ন-৮। প্রাণিজগতের কোন পর্বে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রাণী পাওয়া যায়?

উত্তরঃ Arthropoda.

প্রশ্ন-৯। অস্টিয়া কী?

উত্তরঃ Porifera পর্বের প্রাণিদের দেহপ্রাচীর অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত। এসব ছিদ্রের নামই অস্টিয়া।

প্রশ্ন-১০। নিডোসাইট কী?

উত্তরঃ Cnidaria পর্বভুক্ত প্রাণিদের বহিঃত্বকে অবস্থিত বিশেষ এক ধরনের কোষ যা চলন ও খাদ্যগ্রহণে সহায়তা করে।

প্রশ্ন-১১। শিখাকোষ কী?

উত্তরঃ Platyhelminthes পর্বের প্রাণীদের রেচন অঙ্গ যা দেখতে অনেকটা শিখা (flame)-র মতো।

প্রশ্ন-১২। ম্যান্টল কী?

উত্তরঃ Mollusca পর্বভুক্ত প্রাণীদের দেহাবরণের নাম। এ থেকে ক্ষরিত পদার্থে “খোলক” গঠিত হয়।

প্রশ্ন-১৩। সিটি কী?

উত্তরঃ Annelida পর্বের প্রাণীদের চলন অঙ্গ যা দেখতে সরু সুতার মতো।

প্রশ্ন-১৪। হিমোসিল কী?

উত্তরঃ রক্তপূর্ণ দেহগহ্বরের নাম। Arthropoda ও Mollusca পর্বের প্রাণীর দেহে পাওয়া যায়।

প্রশ্ন-১৫। মালপিজিয়ান নালি কী?

উত্তরঃ কীটদের রেচন অঙ্গ।

প্রশ্ন-১৬। কোন পর্বের প্রাণীরা সবাই সামুদ্রিক?

উত্তরঃ Echinodermata পর্বের সকল প্রাণীই সামুদ্রিক।

প্রশ্ন-১৭। কর্ডাটা পর্বের প্রধান তিনটি বৈশিষ্ট্য কী?

উত্তরঃ ১. পৃষ্ঠ-মধ্যরেখা বরাবর স্থিতিস্থাপক নটোকর্ড।, ২. নটোকর্ডের ঠিক উপরে স্নায়ুরজ্জু।, ৩. গলবিলীয় ফুলকা রন্ধ্র।

অরীয় প্রতিসাম্য কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো প্রাণীর দেহকে যদি কেন্দ্রীয় লম্ব অক্ষ বরাবর কেটে সদৃশ দুইয়ের বেশি সংখ্যক অর্ধাংশে ভাগ করা যায়, তখন সে ধরনের প্রতিসাম্যকে অরীয় প্রতিসাম্য বলে। হাইড্রা, জেলিফিশ (Aurelia), সী অ্যানিমন (Metridium) ও সম্পর্কিত গোষ্ঠিভুক্ত প্রাণী যাদের অনুলম্ব অক্ষের এক প্রান্তে মুখ অবস্থিত সে সব প্রাণীতে অরীয় প্রতিসাম্য দেখা যায়।

শ্রেণিবিন্যাস বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ প্রাণীদের মধ্যকার সাদৃশ্য, বৈসাদৃশ্য ও পারস্পরিক সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে এদেরকে দলভুক্ত করার পদ্ধতিই হলো শ্রেণিবিন্যাস। প্রত্যেক প্রাণীরই নিজস্ব কতকগুলো বৈশিষ্ট্য বা লক্ষণ থাকে। আকৃতি, গঠন, দৈহিক প্রতিসাম্য, দেহের খণ্ডকায়ন, দেহগহ্বর, লিঙ্গ, জীবনচক্র প্রভৃতির মাধ্যমে এসব বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয়। একই ধরনের প্রাণীগুলোকে এক গ্রুপে এবং ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের প্রাণীগুলোকে ভিন্ন গ্রুপে দলভুক্ত করাই হলো শ্রেণিবিন্যাস।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x