পড়াশোনা
1 min read

নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। পানির অণুর আকৃতি কীরূপ?

উত্তরঃ পানির অণুর আকৃতি  কৌণিক।

প্রশ্ন-২। ভ্যানডার ওয়ালস বল কী?

উত্তরঃ সমযোজী যৌগে অণুসমূহ যে বল দ্বারা আকৃষ্ট থাকে তা-ই হলো ভ্যানডার ওয়ালস বল।

প্রশ্ন-৩। আয়নিক বন্ধন কাকে বলে?

উত্তরঃ ইলেকট্রন আদান-প্রদানের মাধ্যমে গঠিত ক্যাটায়ন এবং অ্যানায়নসমূহ যে স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল দ্বারা যৌগের অণুতে আবদ্ধ থাকে তাকে আয়নিক বন্ধন বলে।

প্রশ্ন-৪। অরবিট কী?

উত্তরঃ নিউক্লিয়াসের চারদিকে স্থির যে বৃত্তাকার কক্ষপথে ইলেকট্রনসমূহ ঘূর্ণায়মান থাকে, তা-ই হলো শক্তিস্তর বা অরবিট।

প্রশ্ন-৫। যোজ্যতা ইলেকট্রন কী?

উত্তরঃ কোনো পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে বিদ্যমান ইলেকট্রনই হলো এর যোজ্যতা ইলেকট্রন।

প্রশ্ন-৬। নিউক্লিয়ন সংখ্যা কী?

উত্তরঃ পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত নিউট্রন ও প্রোটন সংখ্যার সমষ্টিই হলো নিউক্লিয়ন সংখ্যা।

প্রশ্ন-৭। আয়ন কী?

উত্তরঃ ইলেকট্রন ত্যাগ বা গ্রহণের ফলে সৃষ্ট ধনাত্মক ও ঋণাত্মক চার্জযুক্ত পরমাণু বা পরমাণুগুচ্ছ হলো আয়ন।

প্রশ্ন-৮। সমাণু কী?

উত্তরঃ একই আণবিক সংকেত বিশিষ্ট দুটি যৌগের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম ভিন্ন হলে তারা পরস্পরের সমাণু।

প্রশ্ন-৯। অক্সিজেনের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর 16 বলতে কী বুঝায়?

উত্তরঃ অক্সিজেনের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর 16 বলতে বোঝায়, অক্সিজেনের একটি পরমাণুর ভর হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুর তুলনায় 16 গুণ ভারী।

প্রশ্ন-১০। আইসোটোপ কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো মৌলের ভিন্ন ধরনের পরমাণু যাদের প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন তাদের ঐ মৌলের আইসোটোপ বলে। যেমন: হাইড্রোজেনের তিনটি আইসোটোপ হলো প্রোটিয়াম, ডিউটেরিয়াম এবং ট্রিটিয়াম।

প্রশ্ন-১১। ভরসংখ্যা কাকে বলে?

উত্তরঃ কোন মৌলের পরমাণুর প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যাকে ঐ মৌলের ভর সংখ্যা বলে।

প্রশ্ন-১২। ক্যাটায়ন কী?

উত্তরঃ ধনাত্মক চার্জযুক্ত পরমাণু বা যৌগ মূলকই হলো ক্যাটায়ন।

প্রশ্ন-১৩। ধাতব পরমাণুতে সর্ববহিঃস্থ স্তরের ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের সাথে কীভাবে আবদ্ধ থাকে?

উত্তরঃ ধাতব পরমাণুতে সর্ববহিঃস্থ স্তরের ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের সাথে দুর্বলভাবে আবদ্ধ থাকে।

CH4 বিদ্যুৎ পরিবহন করে না কেন?

উত্তরঃ আমরা জানি, বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য প্রয়ােজন বিচ্ছিন্ন ধনাত্মক বা ঋণাত্মক আয়ন।

জলীয় দ্রবণে সমযােজী যৌগ বিদ্যুৎ পরিবহন করে না। কারণ সমযােজী যৌগ কোনাে বিচ্ছিন্ন আয়ন তৈরি করে না। আর দ্রবণে আয়ন না থাকলে তা কখনই বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারবে না।

CH4 একটি সযােজী যৌগ। সমযােজী যৌগ হওয়ার কারণে CH4 কোনাে বিচ্ছিন্ন আয়ন তৈরি করে না। এইজন্য CH4 বিদ্যুৎ পরিবহন করে না অর্থাৎ CH4 বিদ্যুৎ অপিরিবাহী।

প্রশ্ন-১৪। ধাতব বন্ধন কাকে বলে?

উত্তরঃ ধাতব মৌলের কেলাসে পরমাণুসমূহ যে আকর্ষণ বল দ্বারা পরস্পরের সাথে আবদ্ধ থাকে তাকে ধাতব বন্ধন বলে।

প্রশ্ন-১৫। পোলারিটি কাকে বলে?

উত্তরঃ সমযোজী যৌগের অণুতে ডাইপোল (এক প্রান্ত ধনাত্মক ও অপর প্রান্তে ঋণাত্মক) সৃষ্টির ধর্মকে পোলারিটি বলে।

প্রশ্ন-১৭। কার্বন কেন আয়নিক যৌগ গঠন করে না?

উত্তরঃ কার্বন মৌলের সংকেত C। পারমাণবিক সংখ্যা 6 এবং ইলেকট্রন বিন্যাস 1s2 2s2 2p2

আমরা জানি, পারমাণুসমূহের ইলেকট্রন আদান-প্রদানের ফলে সৃষ্ট ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নসমূহের মধ্যকার বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বলই আয়নিক বন্ধন।

আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে C এর অষ্টক পূরণ তথা স্থিতিশীলতা অর্জন করতে হলে 4টি ইলেকট্রন গ্রহণ বা বর্জন করতে হয়। প্রকৃতপক্ষে 4টি ইলেকট্রন বর্জন বা গ্রহণ করা অনেক উচ্চ শক্তি সাপেক্ষ এবং অসম্ভব। তাই C আয়নিক যৌগ গঠন না করে সর্বদা 4টি ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে সমযোজী বন্ধনের মাধ্যমে বিভিন্ন যৌগ গঠন করে। যেমন CH4।

প্রশ্ন-১৮। পটাশিয়ামকে ক্ষার ধাতু বলা হয় কেন?

উত্তরঃ পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-1-এ অবস্থিত মৌলসমূহকে ক্ষারধাতু বলা হয়। কারণ এরা প্রত্যেকেই পানির সাথে বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন গ্যাস ও ক্ষার উৎপন্ন করে। পটাশিয়ামও গ্রুপ-1-এর মৌল এবং পানির সাথে বিক্রিয়ায় ক্ষার দ্রবণ তৈরি করে।

তাই পটাশিয়াম একটি ক্ষার ধাতু।

Rate this post