প্রশ্ন-১। কোডনের বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তরঃ কোডনের বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নে দেওয়া হলোঃ
- একাধিক কোডন একটি অ্যামিনো অ্যাসিডকে কোড করে।
- একটি কোডন কখনো একাধিক অ্যামিনো অ্যাসিডকে কোড করে না।
- কোডন তৈরিতে নিউক্লিয়োটাইড কখনো অভারলেপ করে না বরং ক্রমসজ্জা অনুসরণ করে।
- কোডনসমূহ সার্বজনীন অর্থাৎ বিশ্বের সকল প্রজাতির জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য এবং সেই আদিকাল থেকে শত বিবর্তন ধারা অতিক্রম করে এখনো একই রকম আছে।
প্রশ্ন-২। প্রাণরস কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রাণীদের দেহে কতকগুলো নালীবিহীন বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি আছে। এ সব গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রসকে হরমোন বা প্রাণরস বলে।
প্রাণরস পরিবহন করার জন্য কোন নির্দিষ্ট নালী থাকে না। রক্তই এক স্থান থেকে এইসব প্রাণরস বা হরমোন অন্যস্থানে পরিবহন করে।
প্রশ্ন-৩। রাফেজযুক্ত খাবার কাকে বলে?
উত্তরঃ আঁশযুক্ত খাবারকে রাফেজযুক্ত খাবার বলে। যেমন : শস্য দানার বহিরাবরণ, সবজি, ফলের খোসা, উদ্ভিদের ডাটা, ফলমূল, পাতার আঁশ ইত্যাদি। এগুলো জটিল শর্করা। এ ধরনের খাবার খেলে স্থূলতা, ক্ষুধা প্রবণতা এবং চর্বি জমার প্রবণতা হ্রাস পায়।
প্রশ্ন-৪। ট্রাকশন তন্তু বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ মাইটোসিস কোষ বিভাজনের প্রো-মেটাফেজ ধাপে ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার স্পিন্ডলযন্ত্রের কিছু নির্দিষ্ট তন্তুর সাথে সংযুক্ত থাকে। এই তন্তুগুলোকে বলা হয় ট্রাকশন তন্তু। ক্রোমোজোমের সাথে এই তন্তুগুলো সংযুক্ত থাকে বলে এদের ক্রোমোজোমাল তন্তুও বলা হয়।
প্রশ্ন-৫। আবাদ মাধ্যম কি?
উত্তরঃ আবাদ মাধ্যম হলো টিস্যু কালচার প্রযুক্তির একটি অংশ। উদ্ভিদের বৃদ্ধির অত্যাবশ্যকীয় খনিজ পুষ্টি, ভিটামিন, ফাইটোহরমোন, গ্লুকোজ এবং প্রায় কঠিন মাধ্যম তৈরির জন্য জমাট বাঁধার উপাদান যেমন– অ্যাগার, প্রভৃতি সঠিক মাত্রায় মিশিয়ে যে মাধ্যম তৈরি করা হয় তাই হলো আবাদ মাধ্যম।
প্রশ্ন-৬। জৈবিক দমন কাকে বলে?
উত্তরঃ পরজীবী পোকামাকড় ব্যবহার করে ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমনের প্রক্রিয়াকে জৈবিক দমন বলে। ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গের প্রাকৃতিক শত্রুসমূহ, যেমন- শিকারি পরভোজী জীব, পরজীবী রোগজীবাণু ইত্যাদি কৃত্রিম উপায়ে বাড়িয়ে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করাই জৈবিক দমন।
প্রশ্ন-৭। শ্বাসক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় দেহে অক্সিজেন গ্রহণ এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড নিষ্কাশন করা হয় তাকে শ্বাসক্রিয়া বলে। স্নায়ুবিক উত্তেজনায় অক্সিজেন যুক্ত বায়ু ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং নিঃশ্বাসের মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইড যুক্ত বায়ু বাইরে নির্গত হয়।
প্রশ্ন-৮। যৌগিক ফল কাকে বলে? যৌগিক ফলের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ একটি মঞ্জরির সম্পূর্ণ অংশ যখন একটি ফলে পরিণত হয়, তখন তাকে যৌগিক ফল বলে। যেমন– আনারস, কাঁঠাল ইত্যাদি। এ ফলের ভেতরে অসংখ্য বীজ থাকে। যৌগিক ফল রসালো ও অপ্রকৃত প্রকৃতির হয়।
প্রশ্ন-৯। ভেদ্য পর্দা ও অভেদ্য পর্দা কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পর্দা দিয়ে দ্রাবক ও দ্রাব উভয়েরই অণুু সহজে চলাচল করতে পারে তাকে ভেদ্য পর্দা বলে। অপরদিকে, যে পর্দা দিয়ে দ্রাবক ও দ্রাব উভয় প্রকার পদার্থের অণুগুলো চলাচল করতে পারে না তাকে অভেদ্য পর্দা বলে।
প্রশ্ন-১০। ত্রিস্তরবিশিষ্ট বা ট্রিপ্লোব্লাস্টিক প্রাণী কি?
উত্তরঃ যে সব প্রাণীর ভ্রূণের কোষগুলো তিনটি স্তরে সাজানো থাকে, সে সব প্রাণী হচ্ছে ত্রিস্তরবিশিষ্ট বা ট্রিপ্লোব্লাস্টিক (Triploblastic) প্রাণী। Cnidaria পরবর্তী সব পর্বের প্রাণীই ট্রিপ্লোব্লাস্টিক। এদের ভ্রূণীয় কোষগুলো এক্টোডার্ম, মেসোডার্ম ও এন্ডোডার্ম-এ তিনটি স্তরে সাজানো থাকে।
প্রশ্ন-১১। কুনোব্যাঙ কোন শ্রেণির প্রাণী? কুনোব্যাঙ এর বৈশিষ্ট্য কি কি?
উত্তরঃ কুনোব্যাঙ উভচর শ্রেণির প্রাণী। এর বৈশিষ্ট্যগুলো হল–
১। দেহত্বক আঁইশবিহীন।
২। ত্বক নরম, পাতলা, ভেজা ও গ্রন্থিযুক্ত।
৩। শীতল রক্তের প্রাণী।
৪। পানিতে ডিম পাড়ে।
৫। জীবনচক্রে সাধারণত ব্যাঙাচি দশা দেখা যায়।
৬। এরা জীবনের প্রথম অবস্থায় সাধারণত পানিতে এবং মাছের মতো বিশেষ ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় ও পরিণত বয়সে ডাঙ্গায় বাস করে।
প্রশ্ন-১২। প্রতিসাম্য বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ প্রতিসাম্য বলতে প্রাণিদেহের মধ্যরেখীয় তলের দুপাশে সদৃশ বা সমান আকার-আকৃতিবিশিষ্ট অংশের অবস্থানকে বোঝায়। যেসব প্রাণীর দেহকে কোন না কোন অক্ষ বা তল বরাবর সমান অংশে ভাগ করা যায় তাদের প্রতিসম প্রাণী (symmetrical animal) বলে। আর যেসব প্রাণীর দেহে এরূপ বিভাজন সম্ভব হয় না তাদের অপ্রতিসম প্রাণী (asymmetrical animal) বলে অভিহিত করা হয়।
প্রশ্ন-১৩। জিনোম কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন জীবের জিনোম বলতে সেটির সমস্ত বংশগতিক তথ্যের সমষ্টিকে বোঝায়। নিউক্লিয়াস, মাইটোকন্ড্রিয়া এবং উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ক্লোরোপ্লাস্টের সকল ডিএনএ নিয়ে একটি জীবদেহের জিনোম গঠিত হয়।
প্রশ্ন-১৪। জিনোম সিকোয়েন্সিং কাকে বলে?
উত্তরঃ জিনোমের বিভিন্ন বিন্যাস জীবের ভিন্নতা নির্ধারণ করে দেয়। আর এই বিন্যাস বা প্যাটানকে পাঠোদ্ধার করার প্রক্রিয়াকে জিনোম সিকোয়েন্সিং (Genome Sequencing) বলে। জিনোম শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন জার্মানির হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক হ্যান্স ভিঙ্কলের প্রায় ১০০ বছর আগে( ১৯২০)।
জার্মান জিন (Gene) আর গ্রিক ওম (ome) শব্দের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছিল জিনোম শব্দটি।
প্রশ্ন-১৫। নিউক্লিয়াসকে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয় কেন?
উত্তরঃ নিউক্লিয়াস কোষের প্রধান অংশ। প্রতিটি কোষে সাধারণত একটি নিউক্লিয়াস থাকে। নিউক্লিয়াস কোষের সকল জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। সেজন্য নিউক্লিয়াসকে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়।
প্রশ্ন-১৬। লাইকোপেন কি?
উত্তরঃ টমেটোর লাল টকটকে রঙের জন্য দায়ী রঞ্জক পদার্থই হচ্ছে লাইকোপেন।
প্রশ্ন-১৭। ছোঁয়াচে রোগ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে রোগের সংস্পর্শে নিরোগ প্রাণী ও উদ্ভিদ রোগে আক্রান্ত হয় সে রোগকে ছোঁয়াচে রোগ বলে।
প্রশ্ন-১৮। পলিজিন কাকে বলে?
উত্তরঃ দুই বা তারও বেশি জিন যখন জীবের কোনো একটি বৈশিষ্ট্যের বহিঃপ্রকাশ নিয়ন্ত্রণ করে তখন ঐ জিনগুলোকে পলিজিন বলে।
প্রশ্ন-১৯। অটোসোম কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব ক্রোমোসোম জীবের দৈহিক বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটায় তাদের অটোসোম বলে। যেমন- মানুষের ২৩ জোড়া ক্রোমোসোমের মধ্যে ২২ জোড়াই অটোসোম। এদের A দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্ন-২০। গলদা ও বাগদা চিংড়ির মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ গলদা ও বাগদা চিংড়ির মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ–
গলদা
১. গলদা মিঠা পানির চিংড়ি।
২. গলদা চিংড়ির মাথা ও দেহ প্রায় সমান।
৩. পুরুষ গলদার ২য় জোড়া পা বেশ বড়।
বাগদা
১. বাগদা লোনা পানির চিংড়ি।
২. বাগদা চিংড়ির মাথা দেহের থেকে ছোট হয়।
৩. বাগদা চিংড়ির সব পা একই।