ষষ্ঠ অধ্যায় : মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ, পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

মহাকর্ষ কাকে বলে?

উত্তরঃ মহাবিশ্বের যেকোনো দুটি বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ তাকে মহাকর্ষ বলে।

অভিকর্ষ কাকে বলে?

উত্তর : পৃথিবী এবং এর আশেপাশের বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ তাকে অভিকর্ষ বা মাধ্যাকর্ষণ বলে।

মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র প্রাবল্য কি?

উত্তরঃ মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র প্রাবল্য হলো একক ভরের বস্তুর ওপর প্রযুক্ত মহাকর্ষ বল।

মহাকর্ষীয় প্রাবল্য কী?

উত্তরঃ মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে একক ভরের একটি বস্তু স্থাপন করলে সেটি যে বল লাভ করে তাকে ঐ বিন্দুর মহাকর্ষীয় প্রাবল্য বলে।

কেপলারের ৩য় সূত্র লিখ।

উত্তরঃ প্রতিটি গ্রহের পর্যায়কালের বর্গ সূর্য হতে তার গড় দূরত্বের ঘনফলের সমানুপাতিক। T2 ∞ a3।

চক্রগতির ব্যাসার্ধ কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো অক্ষের সাপেক্ষে ঘূর্ণনরত একটি দৃঢ় বস্তুতে যদি এমন একটি বিন্দু বিবেচনা করা হয়, যেখানে বস্তুর সব ভর কেন্দ্রীভূত আছে বলে ধরা যায় এবং ঘূর্ণন অক্ষ সাপেক্ষে ওই বিন্দু বস্তুর জড়তার ভ্রামক সমগ্র দৃঢ় বস্তুর জড়তার ভ্রামকের সমান হয়, তবে ঘূর্ণন অক্ষের সাপেক্ষে ওই বিন্দুর দূরত্বকে চক্রগতির ব্যাসার্ধ বলে।

ভূ-স্থির কৃত্রিম উপগ্রহ কাকে বলে?

উত্তর : কোনো কৃত্রিম উপগ্রহের আবর্তনকাল যদি পৃথিবীর আহ্নিক গতির আবর্তনকালের সমান (অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা) হয় তবে পৃথিবীর একজন পর্যবেক্ষকের কাছে উপগ্রহটি স্থির বলে মনে হবে। এ ধরনের উপগ্রহকে ভূস্থির কৃত্রিম উপগ্রহ বলে।

নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রটি বর্ণনা করো।

উত্তরঃ মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে আকর্ষণ করে এবং এ আকর্ষণ বলের মান বস্তুকণাদ্বয়ের ভরের গুণফলের সমানুপাতিক এবং এদের দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক এবং বল বস্তুকণাদ্বয়ের সংযোজক সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে।

মহাকর্ষীয় ধ্রুবক কী?

উত্তরঃ একক ভর বিশিষ্ট দুটি বস্তু কণা একক দূরত্ব থেকে যে পরিমাণ বল দ্বারা পরস্পরকে আকর্ষণ করে তার সংখ্যাগত মানকে মহাকর্ষীয় ধ্রুবক বলে।

স্বাভাবিক উপগ্রহ কাকে বলে?

উত্তরঃ যেসব উপগ্রহ প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্ট তাদেরকে স্বাভাবিক উপগ্রহ বলে।

কৃত্রিম উপগ্রহ কাকে বলে?

উত্তরঃ মানুষের পাঠানো যেসব মহাকাশ যান পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে তাদের কৃত্রিম উপগ্রহ বলে।

অভিকর্ষ কেন্দ্র কাকে বলে?

উত্তরঃ একটি বস্তুকে যেভাবেই রাখা হোক না কেন বস্তুর ভেতরে অবস্থিত যে বিন্দুর মধ্য দিয়ে মোট ওজন ক্রিয়া করে সেই বিন্দুকে বস্তুর অভিকর্ষ কেন্দ্র বলে।

গ্রহের গতি সম্পর্কিত কেপলারের দ্বিতীয় সূত্রটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : গ্রহের গতি সম্পর্কিত কেপলারের দ্বিতীয় সূত্রটি হলো : ‘যেকোনো গ্রহ ও সূর্যের সাথে সংযোগকারী রেখা সমান সময়ে সমান ক্ষেত্রফল অতিক্রম করে।’

ধরি, কোনো গ্রহের কক্ষপথের P অবস্থান হতে Q অবস্থানে যেতে যে সময় লাগে, R হতে S অবস্থানে যেতে সেই একই সময় লাগে। সূর্য উপবৃত্তাকার কক্ষপথের নাভি F-এ থাকলে, কেপলারের দ্বিতীয় সূত্রমতে, PFQ-এর ক্ষেত্রফল = RFS-এর ক্ষেত্রফল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *