পঞ্চম অধ্যায় : বায়ুমণ্ডল, নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ

প্রশ্ন-১। বায়ুমণ্ডল কাকে বলে?
উত্তরঃ যে গ্যাসীয় আবরণ পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে তাকে বায়ুমণ্ডল বলে।
প্রশ্ন-২। স্ট্রাটোবিরতি কাকে বলে?
উত্তরঃ স্ট্রাটোমণ্ডল ও মেসোমণ্ডলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে তাপমাত্রার স্থিতাবস্থাকে স্ট্রাটোবিরতি বলে।
প্রশ্ন-৩। নিরক্ষরেখা কাকে বলে? নিরক্ষরেখা অপর নাম কি?
উত্তরঃ পৃথিবীর ঠিক মাঝখান দিয়ে যে রেখাটি পূর্ব-পশ্চিমে সমগ্র পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে তাকে নিরক্ষরেখা বলে। নিরক্ষরেখার অপর নাম– বিষুবরেখা (Equator), ০° অক্ষরেখা (0° Latitude), মহাবৃত্ত (Great circle)।
প্রশ্ন-৪। পৃথিবীর আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ পৃথিবীর প্রায় ২৪ ঘণ্টায় নিজের অক্ষের উপর একবার আবর্তন করছে। একে বলে আহ্নিক গতি। এর ফলেই পর্যায়ক্রমে দিন ও রাত্রি ঘটে। পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে নির্দিষ্ট উপবৃত্তকার কক্ষপথে বছরে একবার পাক দেয় বা ঘুরে আাসে। একে বলে পৃথিবীর বার্ষিক গতি। এই গতির ফলে রাতের আকাশ ধীরে ধীরে বদলায় এবং এক বছর পর আবার আগের আকাশ দেখা যায়।
প্রশ্ন-৫। গুরুমন্ডল কাকে বলে?
উত্তরঃ ভূত্বকের নিচে প্রায় ২,৮৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পুরুমন্ডলকে গুরুমন্ডল বলে। গুরুমন্ডল মূলত ব্যাসল্ট (Basalt) শিলা দ্বারা গঠিত। এ অংশে রয়েছে সিলিকা, ম্যাগনেসিয়াম, লোহা, কার্বন ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ।
প্রশ্ন-৬। অক্ষাংশ কাকে বলে?
উত্তরঃ নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে বা দক্ষণে কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে অক্ষাংশ বলে। জ্যামিতিক কোণের মতো অক্ষাংশের পরিমাপও ডিগ্রি, মিনিট ও সেকেন্ডে প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্ন-৭। বায়ুপ্রবাহ কাকে বলে?
উত্তরঃ বায়ুর তাপ ও চাপের পার্থক্যের জন্য বায়ু সর্বদা একস্থান থেকে অন্যস্থানে প্রবাহিত হয়। ভূপৃষ্ঠের সমান্তরাল বায়ু চলাচলকে বায়ুপ্রবাহ বলে। বায়ুপ্রবাহ সাধারণত কয়েকটি বিশেষ নিয়ম দ্বারা পরিচালিত হয়।
প্রশ্ন-৮। নিয়ত বায়ুপ্রবাহ কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ নিয়ত বায়ুপ্রবাহ তিন প্রকার। যথা- অনয় বায়ু, পশ্চিমা বায়ু ও মেরু বায়ু।
প্রশ্ন-৯। মৌসুমি বায়ু কাকে বলে?
উত্তরঃ মৌসুমি আরবি শব্দ। এর অর্থ ঋতু। ঋতুভেদে যে বায়ু প্রবাহিত হয় বা ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে যে বায়ুর দিক পরিবর্তন হয়, তাকে মৌসুমি বায়ু বলে। মৌসুমি বায়ুর সৃষ্টি হয় শীত ও গ্রীষ্ম ঋতুতে, বিশাল জলভাগ ও স্থলভাগের উপরকার বায়ুর তাপমাত্রা ও চাপের পার্থক্যের কারণে।
প্রশ্ন-১০। ট্রপোমণ্ডলের বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তরঃ ট্রপোমণ্ডলের বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা হলোঃ
  • ভূপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর ঘনত্ব কমতে থাকে, সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে উষ্ণতা। সাধারণভাবে প্রতি ১,০০০ মিটার উচ্চতায় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
  • উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যায়।
  • নিচের দিকের বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকে।
  • ধূলিকণার অবস্থানের ফলে সমগ্র বায়ুমণ্ডলের ওজনের প্রায় শতকরা ৭৫ ভাগ এই স্তর বহন করে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *